নেত্রকোনা পৌরসভার ৯নং ওয়ার্ডের হোসেনপুরস্থ গোলাপখালী খালের ওপর বক্সকালভার্টটি ১২ বছর পূর্বে ভেঙে গেলেও অদ্যাবদি তা পুনর্নির্মাণ না করায় এলাকাবাসীকে সীমাহীন দুর্ভোগ পোহাতে হয়। ফলে ঝুঁকি নিয়ে সাঁকো দিয়ে যাতায়াত করতে হচ্ছে এলাকাবসীর।
হোসেনপুর এলাকার বাসিন্দা রুহুল আমিন জানান, ২০০৪/২০০৫ সালের দিকে এলাকাবাসীর দাবির প্রেক্ষিতে নেত্রকোনা পৌরসভা হোসেনপুরস্থ গোলাপখালী খালের ওপর একটি বক্সকালভার্ট নির্মাণ করে। ফলে এ অঞ্চলের লোকজনের যাতায়াতের সুযোগ সুবিধা বৃদ্ধি পায়। ২০০৯ সালে হোসেনপুর বিলের পানি নামার সময় বক্সকালভার্টটি ভেঙে খালে পড়ে যায়। এরপর বারবার পৌরসভাকে জানালেও অদ্যাবদি বক্সকালভার্টটি পুনর্নির্মাণের না নেয়ায় চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে এলাকাবাসীকে। প্রায় ১২ বছর ধরে বর্ষাকালে বাঁশের সাঁকো দিয়ে আর শুকনো মওসুমে খালের তলদেশ দিয়ে পায়ে হেঁটে যাতায়াত করতে হচ্ছে। স্কুলছাত্রী বন্যা জানান, বর্ষাকালে সাঁকো দিয়ে স্কুলে যেতে গিয়ে অনেকেই পানিতে পড়ে যায়। তাদের বই খাতা পানিতে বিনষ্ট হয়। মাদরাসারছাত্র সিয়াম জানান, সাঁকো দিয়ে মাদরাসায় যেতে আসতে খুব ভয় হয়। হাফিজুর রহমান জানান, এলাকার কেউ অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে অ্যাম্বুলেন্সে নিয়ে যাওয়া তো দূরের কথা, রিকশা ভ্যানে করে নিয়ে যাওয়াও সম্ভব হয় না। সবচেয়ে বেশি সমস্যায় পড়তে হয় গর্ভবর্তী মায়েদের নিয়ে। স্থানীয় আনন্দ বাজার শাহী মসজিদের ইমাম মাওলানা কুতুব উদ্দিন বলেন, আমাকে পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ পড়াতে হয়। সড়ক বাতি না থাকায় সাঁকো দিয়ে এশা ও ফজরের নামাজ পড়াতে যেতে অনেক কষ্ট হয়। আমি পৌর মেয়রের কাছে বক্সকালভার্টটি দ্রুত পুনর্নির্মাণের জোর দাবি জানাচ্ছি। আলমগীর হোসেন বলেন, নির্বাচন এলেই মেয়র, কাউন্সিলররা বক্সকালভার্ট নির্মাণের আশ্বাস দিয়ে এলাকাবাসীর কাছ থেকে ভোট নেন। পরবর্তীতে তারা তাদের প্রতিশ্রুতির কথা বেমালুম ভুলে যান।
এ ব্যাপারে স্থানীয় কাউন্সিলর হেলাল উদ্দিন শেখ বলেন, আমি বক্সকালভার্টটি পুনর্নির্মাণের জন্য পরিষদের সভায় বারবার উপস্থাপন করেছি। আশা করছি, শুকনো মওসুমে বক্সকালভার্টটি নির্মাণ করার প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেয়া হবে। পৌর মেয়র আলহাজ নজরুল ইসলাম খান বলেন, স্থানীয় এলাকাবাসীর কাছ থেকে লিখিত আবেদন পেলে বক্সকালভার্টটি নির্মাণের উদ্যোগ নেয়া হবে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন