বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১, ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

সারা বাংলার খবর

গুলশান-বনানী এলাকায় নিরাপত্তা বাড়ানো হয়েছে - আনিসুল হক

প্রকাশের সময় : ৬ অক্টোবর, ২০১৬, ১২:০০ এএম

স্টাফ রিপোর্টার : গুলশানের হলি আর্টিজানে সন্ত্রাসী হামলার তিন মাস পরও বাংলাদেশে অবস্থানরত বিদেশী রাষ্ট্রদূতদের আতংক পুরোপুরি কাটেনি। তারা জানিয়েছেন, সরকারের পদক্ষেপে তারা সন্তুষ্ট, ভয়ও কিছুটা কেটেছে, তবে সম্পূর্ণভাবে দূর হয়নি। এজন্য তারা নিরাপত্তা ব্যবস্থা আরো উন্নত করার দাবি জানিয়েছেন। এর পাশাপাশি গুলশান-বনানী-বারিধারা এলাকায় পুলিশের গড়ে তোলা নিরাপত্তা বলয় আরো এক বছর বহাল রাখার আহবান জানিয়েছেন তারা।
গতকাল বুধবার ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের (ডিএনসিসি) গুলশান কার্যালয়ে আয়োজিত এক বিশেষ আলোচনা সভায় বিদেশী রাষ্ট্রদূতরা এ কথা বলেন। সভা শেষে সাংবাদিকদের সাথে কথা বলার সময় মেয়র আনিসুল হক এ তথ্য জানান। ডিএনসিসির উদ্যোগে আয়োজিত সভায় পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম, ডিএমপি কমিশনার আসাদুজ্জামান মিয়া, এনএসআই এর মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মোহাম্মদ শামসুল হক পিএসসি, এফবিসিসিআই সভাপতি মতলুব আহমেদ, সাবেক সভাপতি কাজী আকরাম হোসেন ও নাসির উদ্দিন, আমেরিকান রাষ্ট্রদূত মার্শা বার্নিকাট, ব্রিটিশ হাইকমিশনার অ্যালিসন ব্লেকসহ বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রদূতরা উপস্থিত ছিলেন।
সভা শেষে এক সংবাদ সম্মেলনে মেয়র জানান, বিদেশী রাষ্ট্রদূতদের বেশিরভাগ গুলশান-বনানী এলাকায় থাকেন। ডিএনসিসি এলাকার বাসিন্দা হিসেবে তাদের বিভিন্ন সমস্যা দেখার দায়িত্ব আমাদের। তাছাড়া বিদেশী বিনিয়োগকারীরাও এ এলাকায় অবস্থান করে থাকেন। গুলশান হলি আর্টিজানে হামলার পর তিন মাসের বেশি সময় পার হয়েছে। এর মধ্যে পরিস্থিতির উন্নয়নের জন্য সরকার, পুলিশ, ডিএনসিসি ও সোসাইটির পক্ষ থেকে বিভিন্ন পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে। এখন রাষ্ট্রদূতরা কি ভাবছেন তা জানতেই তাদেরকে আমরা ডেকেছি। তারা আমাদেরকে বিভিন্ন বিষয়ে তাদের মতামত জানিয়েছেন, তারা বলছেন, পরিস্থিতি আগের থেকে ভালো। তাদের ভয় কিছুটা কেটেছে, তবে পুরোপুরি দূর হয়নি। তারা আমাদের আরো কিছু পদক্ষেপ নিতে বলেছে, যাতে তাদের ভয় পুরোপুরি দূরীভুত হয়। তারা পুলিশের নিরাপত্তা সরঞ্জাম আরো উন্নত করার তাগিদ দিয়েছে। একইসাথে ডিপ্লোমেটিক জোনে পুলিশের গড়ে তোলা নিরাপত্তা বলায় আরো ছয় মাস থেকে এক বছর অব্যাহত রাখার দাবি জানিয়েছে।
মেয়র বলেন. আমরা তাদের এ ব্যাপারে আশ্বস্ত করেছি। একইসাথে তাদের বলেছি বর্তমান পরিস্থিতি শুধুমাত্র বাংলাদেশেই ঘটছে এমন নয়, এটি এখন বিশ্বের সার্বজনিন সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে। তবে এ দেশের মানুষ কোনভাবেই সন্ত্রাসীদের সহ্য করবেনা। আনিসুল হক জানান, রাষ্ট্রদূতরা আমাদের কথায় আশ্বস্ত হয়েছেন।
এক প্রশ্নের জবাবে মেয়র বলেন, হলি আর্টিজানে হামলার পর বিদেশী ক্রেতাদের অনেকে দেশ ত্যাগ করেছিল। এতে গুলশান-বনানীর অনেক হোটেল ক্রেতার অভাবে বন্ধ হয়ে যায়। তবে এখন পরিস্থিতি দিনদিন উন্নত হচ্ছে। এখন ২৫-৩০ ভাগ ক্রেতা পাচ্ছেন আবাসিক হোটেলগুলো।
সভায় প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম বলেন, বিদেশী রাষ্ট্রদূতদের আমরা বলেছি গত ৭ জুলাইয়ের পর দেশে আর কোন বড় ধরনের হামলা হয়নি। তবে আমরা সতর্ক রয়েছি। আইনশৃংখলা বাহিনী পরিস্থিতি উন্নয়নে ব্যাপক কাজ করছে। তারাও আমাদের কাজে সন্তুষ্ট হয়েছেন, তবে তারা মাত্র তিন মাসে পুরোপুরি ভয় কাটাতে পারেননি।
ডিএমপি কমিশনার আসাদুজ্জামান মিয়া বলেন, রাষ্ট্রদূতরা নিরাপত্তা সরঞ্জাম আরো উন্নত করার দাবি জানিয়েছেন। আমরা এ ব্যাপারে উদ্যোগ নিচ্ছি।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন