শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

নবাব সিরাজউদ্দৌলা শাহাদতবার্ষিকী সংখ্যা

আমেনার গল্প হার মানায় সিনেমাকেও

২৩ বছর পর ঘরে ফেরত

মহসিন রাজু | প্রকাশের সময় : ৮ সেপ্টেম্বর, ২০২১, ১২:০১ এএম

২৩ বছর নিখোঁজ থাকার পর নেপাল থেকে আসা আমেনা (৮০) কে নিয়ে বগুড়ার ধুনট উপজেলার ছোট চাপড়া গ্রাম এখন সরগরম। বগুড়া থেকে দলে দলে ছুটছে মিডিয়া কর্মী। মিডিয়া কর্মীদের দেখে দলে দলে ভীড় করছে গ্রামের মানুষ। তবে সব আকর্ষণের কেন্দ্র বিন্দু আমেনা। তাকে এক নজর দেখার জন্য সবার সেকি আকুতি!
তবে আমেনা কিন্তু ভাবলেশহীন। কোন কিছুতেই তার বিশেষ আগ্রহ নেই। কেন সে ২৩ বছর আগে বাড়ি বাড়ি ছাড়লো, কিভাবে নেপালে গেল, সেখানে কার কাছে ছিল, দেশে ফিরে ছেলে-মেয়েদের চিনতে পারছে কি না এসব প্রশ্নের উত্তরে আমেনার যে উত্তর তার কোন অর্থ খুঁজে পাওয়া যায় না।

এ ব্যাপারে আমেনার বড় ছেলে আমজাদ ও মেয়ে আম্বিয়ার কথা তাদের মা’ এরকমই। তিনি মানসিকভাবে অসু¯,’ তাকে এজন্যে পাবনা মানষিক হাসপাতালে চিকিৎসাও করানো হয়েছে। আমজাদ জানালেন, ১৯৯৮ সালে তাদের মা’ নিখোঁজ হলে সম্ভাব্য সব জায়গায় তাকে খোঁজাখুঁজি করা হয়। ২০০৮ সালে ভোটার আইডি করার সময় তাদের মাকে মৃত হিসেবে উল্লেখ করা হয়। এরপর তারা ধরেই নেন মাকে আর জীবিত দেখতে পাবেন না।
তবে সম্প্রতি নেপালের বাংলাদেশ দূতাবাসকে সেখানকার একটি সেফহোম কর্তৃপক্ষ জানায়, একজন বৃদ্ধা বাংলাদেশি তাদের হেফাজতে আছে। চলতি বছরের ৩০ মে বাংলাদেশ দূতাবাস বিষয়টি অনুসন্ধান করে ঢাকায় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে জানালে দীর্ঘ অনুসন্ধানের পর আমেনার ছেলেদের সাথে যোগাযোগ করা হয়। এরপর গত সোমবার দুপুরে বিমান যোগে আমেনা ঢাকায় আসলে, একটি মাইক্রোবাস তার স্বজনরা বিমান বন্দর থেকে বগুড়ার ধুনট পল্লীর চিকাশি ইউনিয়নের ছোট চাপড়া গ্রামে নিয়ে আসে। এখানে আমেনার বড় ছেলে আমজাদের বাড়ি।

অন্যদিকে ধুনটের মাইজবাড়ি গ্রামে আমেনার মরহুম স্বামীর বাড়ি। সেখানে তার অপর ২ সন্তানের বসবাস। কদিন পর সেখানেই পাঠানো হবে আমেনাকে। তবে অসংলগ্ন এলামেলো কথা বলার কারণে আমেনা আসলে কিভাবে কার সাথে নেপালে গেল আর এতদিন সে কিভাবে থাকলো সে রহস্য হয়তো কখনোই জানা যাবে না বলে ধারণা করা হচ্ছে।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন