লক্ষ্যটা বড়ই- ১৬২ রানের। সে লক্ষ্যে শুরুটা ভালোই করেছিলেন মোহাম্মদ নাঈম শেখ আর লিটন দাস। দেখে শুনে খেলছিলেন এই দুই ওপেনার। চার-ছক্কার ফাঁকে ফাঁকে রানও আসছিল বলে বলে। তবে দুর্দান্ত এক ক্যাচে লিটনের বিদায়ে ভাঙল ২৬ রানের জুটি।
প্রথম চার ওভারে সতর্ক ব্যাটিংয়ে উইকেট হারায়নি বাংলাদেশ। পঞ্চম ওভারে পতন হলো প্রথম উইকেটের। আউট হলেন লিটন। বোলার এজাজ প্যাটেলের চেয়ে অবশ্য এটায় কৃতিত্ব বেশি ফিল্ডার স্কট কুগেলেইনের।
বাঁহাতি স্পিনার এজাজের ঝুলিয়ে দেওয়া বল জায়গা বানিয়ে ইনসাইড আউট শট খেলার চেষ্টা করেন লিটন। কিন্তু বলের পিচ পর্যন্ত যেতে না পারায় ব্যাটের কানায় লেগে বল যায় ব্যাকওয়ার্ড পয়েন্টে। পয়েন্টের ফিল্ডার কুগেলেইন বাঁদিকে ঝাঁপিয়ে বাঁহাতেই নেন অসাধারণ এক ক্যাচ।
লিটন আউট হলেন ১২ বলে ১০ রান করে। ৪.২ ওভারে বাংলাদেশ ১ উইকেটে ২৬। সিরিজের আগের চার ম্যাচে লিটনের রান ১, ৩৩, ১৫ ও ৬।
ব্যবধান ৪-১ করতে বাংলাদেশের চাই ১৬২
আগেই নিশ্চিত হয়েছে সিরিজ। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের দলও দিয়ে দিয়েছে বিসিবি। উপলক্ষ্যটা এবার নিজেদের প্রমাণের আর বিশ্বকাপের কম্বিনেশন ঠিক করা। সে লক্ষ্যে নিউজিল্যান্ড সিরিজের শেষ টি-টোয়েন্টিতে জয়ের জন্য ১৬২ রানের টার্গেট পেয়েছে বাংলাদেশ।
শুক্রবার মিরপুর শের-ই-বাংলা স্টেডিয়ামে ৫ম টি-টোয়েন্টিতে টস জিতে ব্যাট করতে নেমে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৫ উইকেট হারিয়ে ১৬১ রান তোলে নিউজল্যান্ড। আজও অনবদ্য ফিফটিতে রানের চাকা সচল রেখেছিলেন অধিনায়ক টম লাথাম। ৩৭ বলে ২টি করে চার-ছক্কায় অপরাজিত ছিলেন কাটায় কাটায় ৫০ করে।
ফিফটি পেতে পারতেন ঝড়ো শুরু করা ওপেনার ফিন আলানও। তবে ২৪ বলে ৪টি চার ও ৩টি ছক্কায় থামেন ৪১ রানে। এছাড়া ২০ রান আসে হেনরি নিকোলসের ব্যাট থেকে, রাচিন রবীন্দ্র আর কোল ম্যাকনকির (অপরাচিত) ১৭ রানের ইনিংস দুটিতে স্বাগতিকদের বড় লক্ষ্য দিতে পারে সফরকারীরা।
দলের দুই সেরা তারকা সাকিব আল হাসান আর মুস্তাফিজুর রহমানকে ছাড়া বোলিংয়ে দ্যুতি ছড়িয়ে জোড়া শিকার শরীফুল ইসলামের। এছাড়া একটি করে উইকেট পেয়েছেন তাসকিন আহমেদ, নাসুম আহমেদ আর আফিফ হোসেন।
কিপিংয়ে সেরার প্রমাণ দিচ্ছেন সোহান
টানা দুই সিরজজুড়ে দক্ষতার স্বাক্ষর রেখে চলেছেন নুরুল হাসান সোহান। উইকেট কিপিংয়ে নিজেকে টেনে তুলছেন সেরার কাতারে।
বর্তমান দলে তিনজন কিপার থাকার পরও তাকেই কেন সেরা মনে করা হয়, তার একটি নমুনা আজ দেখালেন সোহান। অসাধারণ রিফ্লেক্স ক্যাচে ফেরালেন হেনরি নিকোলসকে।
প্রথম স্পেলে দুর্দান্ত বল করা তাসকিন দ্বিতীয় স্পেলে আসে ১৭তম ওভারে। তৃতীয় বলটি করেন অফ স্টাম্পের বেশ বাইরে। ব্যাট চালিয়ে দেন নিকোলস, কানায় লেগে বল গুলির বেগে যায় পেছনে। চোখের পলকে বাদিকেঁ ঝাঁপিয়ে তা গ্লাভসবন্দি করেন সোহান।
২১ বলে ২১ রান করে বিদায় নিলেন নিকোলস। ভাঙল ৩৫ বলে ৩৫ রানে জুটি। নিউজিল্যান্ড ১৬.৩ ওভারে ৫ উইকেটে ১১৮।
শরীফুলের জোড়া আঘাত
এবার ওভারের প্রথম বলেই ছয় খেলেন শরীফুল। পাওয়ারপ্লে শেষ না হতেই ৫০ পেরোল নিউজিল্যান্ড। দুই ওপেনার অ্যালেন ও রবীন্দ্র দারুণ সুচনা এনে দিয়েছেন দলকে। বলতে বলতেই তুলতে মারতে গিয়ে ক্যাচ দিলেন রাচিন। পরের বলে এলবিডব্লুর আবেদন। রিভিও নিয়ে বেঁচে গেলেও শেষ বলে বোল্ড হয়ে গেলেন অ্যালেন। যে শরীফুলকে হাত খুলে খেলছিলেন দুই ওপেনার, তাঁর বলে ফিরে গেলেন দুজনই। পাওয়ারপ্লের ৬ ওভার শেষে নিউজিল্যান্ডের সংগ্রহ ২ উইকেটে ৫৮।
শরীফুলের ওপর চড়াও হলেন অ্যালেন
বোলিংয়ে পরিবর্তন। চতুর্থ ওভারে বোলিংয়ে এসেছেন শরীফুল। শরীফুলের ওপর চড়াও হয়েছেন ফিন অ্যালেন । টানা তিন বলে মেরেছেন ৪, ৬, ৪। শেষ বলে আবারও শরীফুলকে সীমানা ছাড়া করলেন রবীন্দ্র। নিজের প্রথম ওভারেই শরীফুল দিলেন ১৯ রান।
গতির ঝড় তুলেছেন তাসকিন
তৃতীয় ওভারে আবারও তাসকিন। ঘরের মাঠে ৫ বছরেরও বেশি সময় পর নেমে গতির ঝড় তুলেছেন এই ফাস্ট বোলার। দুটি ওভারেই দারুণ নিয়ন্ত্রিত বোলিং করেছেন। নিজের দ্বিতীয় ওভারে দিলেন ৫ রান। ৩ ওভার শেষে কিউইদের সংগ্রহ ১৯ রান
রবীন্দ্রর ক্যাচ ছাড়লেন শামিম
তাসকিন আহমেদকে দিয়ে আক্রমণ শুরু করেছে বাংলাদেশ। প্রথম ওভারে তাসকিন আহমেদ দিয়েছেন ২ রান। নাসুমের দ্বিতীর ওভারের প্রথম বলেই ডিপ মিড উইকেটে ক্যাচ দিয়েছিলেন রবীন্দ্র। দৌড়ে এসে বল তালুবন্দী করতে পারেননি শামিম। এই ওভার থেকে রান এসেছে ১২
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন