শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

বিনোদন প্রতিদিন

বৃন্দাবন দাসকে নিয়ে শাহনাজ খুশির আবেগঘন পোস্ট

বিনোদন ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ১১ সেপ্টেম্বর, ২০২১, ১২:৫৮ পিএম

ছোট পর্দার জনপ্রিয় অভিনেত্রী শাহনাজ খুশি। নাট্যকার বৃন্দাবন দাসের সঙ্গে তার ছিমছাম সংসার। দিব্য জ্যোতি ও সৌম্য জ্যোতি, দুই ছেলেকে নিয়ে তাদের সংসারে সুখের কমতি নেই। শুক্রবার (১০ সেপ্টেম্বর) নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক আইডিতে স্বামী বৃন্দাবন দাসকে নিয়ে একটি আবেগঘন পোস্ট দিয়েছেন অভিনেত্রী শাহনাজ খুশি।

নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে খুশি জানান, তার স্বামী (বৃন্দাবন দাস) পত্রিকা, টেলিভিশন সাক্ষাৎকার থেকে অনেক দূরে থাকে। নিজের ভেতরে আবাস গড়ে বসবাস করা সেই মানুষের আজ অনেক নিউজ প্রকাশ হয়েছে।

স্বামীকে উদ্দেশ্য করে খুশি বলেন, কিছু মানুষ জন্মায়, শুধু দেওয়ার জন্য। প্রচার মিডিয়ার প্রতি তার এ আত্মঅভিমান, সুতীক্ষ্ণ অভিযোগ কেবল আমি জানি।

যৌথ জীবনের ২৬ বছর পাড়ি দিয়েছেন অভিনেত্রী শাহনাজ খুশি ও নাট্যকার বৃন্দাবন দাস। সেদিন না হয়েছিল গায়েহলুদ, না বেজেছিল সানাই। কনের গায়ে ছিল না বিয়ের গয়না বা নতুন শাড়ি। তবে দুজনেরই ছিল বুকভরা ভালোবাসা আর আশা। সেই আশা ও ভালোবাসায় ভর করে অনিশ্চিতের পথে পা বাড়িয়েছিলেন দুজন। বিয়ের পর স্বজনদের তিরস্কার, অভিযোগ, আক্রোশে থমকে গিয়েছিল নবদম্পতি।

বিয়ের পর তারা ভালোবাসতে ভুলে গিয়েছিলো। আড্ডাপ্রিয় দুজন মানুষ তখন কেবল বেঁচে থাকার চেষ্টা করতেন। বন্ধুর সেই পথ পাড়ি দেওয়ার সময় মতের অমিল হতো দুজনের, কিন্তু কখনোই বিরোধ হয়নি। সিদ্ধান্ত গ্রহণে অনেকবার সংশয়ে পড়েছেন তারা, কিন্তু কখনো সংঘাত হয়নি। একসঙ্গে মাটি আঁকড়ে বেঁচে থাকার স্বপ্ন দেখে গেছেন। প্রতিদিন নতুন করে বেঁচে থাকার সংগ্রাম করতে করতে সাফল্য আজ তাদের নিত্যসঙ্গী।

বৃন্দাবন দাস বাংলাদেশের জনপ্রিয় নাট্যকার, অভিনেতা ও লেখক। টিভি নাটক ‘ছায়াবাজ’-এর জন্য ‘সেরা নাট্যকার’ হিসেবে তিনি বাংলাদেশ চলচ্চিত্র সাংবাদিক সমিতি (বাচসাস) পুরস্কার, ২০০৮ লাভ করেন। বৃন্দাবন দাসের লেখা উল্লেখযোগ্য নাটকগুলোর মধ্যে রয়েছে- বন্ধুবরেষু, ঘর-কুটুম, আলতা সুন্দরী, জামাই মেলা, হাড়কিপটে, মোহর শেখ, সাকিন সারি সুরি, চৈতা পাগল, পাত্রী চাই, পত্রমিতালী, সার্ভিস হোল্ডার, কাঁটা হেরি ক্ষান্ত কেন ইত্যাদি

বর্তমানে শাহনাজ খুশিও ব্যস্ত অভিনেত্রী। দুজনই কর্মব্যস্ত জীবন কাটাচ্ছেন। তাদের সংগ্রামের দিন ফুরিয়েছে। ফিরেছে ভালোবাসা দিন। এখন প্রতিদিন ভোরে হাত ধরে হাঁটতে যান তারা। রং মিলিয়ে পোশাক পরেন। এভাবেই সারাটি জীবন কাটিয়ে দিতে চান তারা। এই ভালোবাসার পথ যেন আজীবন একই ছন্দে চলে, এমনই প্রত্যাশা তাদের।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (5)
Add
Md. Lutfar Rahman ১১ সেপ্টেম্বর, ২০২১, ১:৩৯ পিএম says : 0
Shahnaz Khushi May be Muslim and her husband is may be Hundu how its possible their sons are hindu or muslim or thers?
Total Reply(0)
Add
Mustufa Anower Ripon ১১ সেপ্টেম্বর, ২০২১, ৬:২২ পিএম says : 0
একজন হিন্দু তো অন্য জন মুসলিম। এদের জন্যই সমাজে এতো সমস্যা। এদের ছেলে মেয়ে কি হবে কে জানে। সমাজের বারোটা বাজাচ্ছে এরা।
Total Reply(0)
Add
Mustufa Anower Ripon ১১ সেপ্টেম্বর, ২০২১, ৬:২২ পিএম says : 0
একজন হিন্দু তো অন্য জন মুসলিম। এদের জন্যই সমাজে এতো সমস্যা। এদের ছেলে মেয়ে কি হবে কে জানে। সমাজের বারোটা বাজাচ্ছে এরা।
Total Reply(0)
Add
Murshed Alam ১১ সেপ্টেম্বর, ২০২১, ৬:২২ পিএম says : 0
দারুণ খবর, আর কোনো খবর দেশে ছিলনা বুঝি
Total Reply(0)
Add
Shohag ২২ জুন, ২০২২, ৮:৩৮ এএম says : 0
Aigulai holo Dajjal Er follower. Dhormo raika Valobasha.ore valobasha Niye geli amai noroke.
Total Reply(0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর