দেশের চলচ্চিত্র শিল্পীদের একমাত্র সংগঠন শিল্পী সমিতি। সম্প্রতি নানা বিষয় নিয়ে বাংলাদেশ শিল্পী সমিতি আলোচনার মধ্যেই আছে। এদিকে শিল্পী সমিতির বর্তমান কমিটির মেয়াদ শেষে দিকে। ঠিক এমন সময় বাংলাদেশ শিল্পী সমিতির উপর নিজের বিরক্তের কথা প্রকাশ করলেন পাঁচবার জাতীয় চলচ্চিত্র পুরষ্কার বিজয়ী জনপ্রিয় নায়ক ফেরদৌস আহমেদ।
ফেরদৌস বলেন, ‘দুই বছর শিল্পীদের হাতে কাজ নেই। এ সমিতি দিয়ে তো শিল্পীদের ভাগ্য পরিবর্তন হচ্ছে না। চলচ্চিত্রের কোনো পরিবর্তন আনতে পারছি না আমরা। এমনিতে চলচ্চিত্র জগতের মানুষের দুঃসময় চলছে। নতুন ছবি মুক্তি পাচ্ছে না। এসব নিয়ে না ভেবে অনেকেই নির্বাচনী প্যানেল সাজানো নিয়ে ব্যস্ত! তার ওপর শিল্পী সমিতির বর্তমান কর্মকান্ড খুবই হাস্যকর ও বিরক্তিকর।’
উল্লেখ্য, বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির বর্তমান কমিটির মেয়াদ শেষের পথে। এই কমিটির সভাপতি হচ্ছেন মিশা সওদাগর আর সেক্রেটারি জায়েদ। এই কমিটির মেয়াদ শেষ হওয়ার রেশ ধরে এখনই নির্বাচন নিয়ে চলছে নানা আলোচনা। প্যানেল সাজানো নিয়ে ব্যস্ত কেউ কেউ। কে কে প্রার্থী হবেন তা নিয়ে চলছে নানা গুঞ্জন। চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির নির্বাচনী ইস্যু নিয়েই চরম বিরক্ত ফেরদৌস।
তিনি বলেন, ‘চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির নির্বাচন হলো শিল্পীদের ঘরোয়া বিষয়। এ নিয়ে এত মাতামাতির কিছু নেই। কে নির্বাচন করবেন আর কে করবেন না- এটা তো শিল্পীরাই ঠিক করবেন। এটাকে বড় একটি বিষয়ে পরিণত করা হয়েছে। বাইরেও বিষয়টি নিয়ে আলোচনা হচ্ছে। যেজন্য শিল্পী সমিতির নির্বাচন নিয়ে আমি খুব বিরক্ত।’
সামনেই বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির নির্বাচন। সেই নির্বাচনে অংশ নেয়ার ব্যাপারে ফেরদৌস বলেন, ‘অনেকেই আমাকে এ প্রশ্ন করছেন। যদি ইচ্ছা হয় নির্বাচন করব, না হলে করব না। এটি নিয়ে অন্যদের মাথাব্যথা কেন শুরু হয়েছে?’
ফেরদৌস আরও বলেন, ‘মনে রাখতে হবে এটা শিল্পীদের একটি সমিতি। তাদের আড্ডা দেওয়ার জায়গা। এমনিতে চলচ্চিত্র জগতে মানুষদের দুঃসময় চলছে। দুই বছর শিল্পীদের হাতে কাজ নেই। নতুন ছবি মুক্তি পাচ্ছে না। কিছু শিল্পীদের নিয়ে আলোচনা-সমালোচনা চলছে। তাদের কারণে ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ হচ্ছে। এসব নিয়ে না ভেবে অনেকেই নির্বাচনী প্যানেল সাজানো নিয়ে বেশী ব্যস্ত! অথচ প্রকৃত শিল্পীরা সমিতির পদ চান না তারা কাজ চান। সিনেমার উন্নয়ন চান।’
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন