দক্ষিণাঞ্চলে ৪ দিন পরে করোনা সংক্রমনে আবার মৃত্যুর ঘটনা ঘটল। টানা ২৬ দিন বরিশাল শের এ বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বেডে মৃত্যৃর সাথে লড়াই করে হেরে গেলেন আগৈলঝাড়ার ৬০ বছরের একজন। এনিয়ে বরিশালে ২২৫ জন জন সহ দক্ষিণাঞ্চলে মৃত্যুর মিছিলে যোগ হল ৬৬৯ জন। গত ৭ থেকে ১০ সেপ্টেম্বর দক্ষিণাঞ্চলে করেনায় কোন মৃত্যু সংবাদ ছিলনা। আর গত ৪৮ ঘন্টায় ৭৮ জন সহ এ অঞ্চলে সর্বমোট আক্রান্তের সংখ্যা দাড়িয়েছে ৪৪ হাজার ৫১৪ জনে। ফলে এ অঞ্চলে মৃত্যুর গড়হার ১.৫০%-এর পাশাপাশি গড়সংক্রমন হার এখনো ২১.৮৬%। এ নিয়ে চলতি মাসে দক্ষিণাঞ্চলে ৭৫৯ জন সংক্রমনে শিকার হবার পাশাপাশি ১৫ জনের মৃত্যু হল। আর মহানগরীতে এসময়ে ১১৫ জন আক্রান্ত হলেও কোন মৃত্যু নেই। তবে দক্ষিণাঞ্চলের ৬% জনসংখ্যার এ নগরীতে গত ৪৮ ঘন্টায় ১৬ জন সহ ইতোমধ্যে ১০ হাজার ৩৩৭ জন আক্রান্ত হয়েছেন। মারা গেছেন ১০১ জন।
এদিকে ভেকসিনের অভাবে বরিশাল মহানগরীতে রোববার থেকে নতুন করে প্রথম ডোজের টিকা প্রদান সম্ভব হবেনা বলে সিটি করপোরেশনের সংশ্লিষ্ট সূত্র জানিয়েছে। তবে স্বাস্থ্য বিভাগ থেকে সময়মত চাহিদা না দেয়ার কথা জানিয়ে যতদ্রুত সম্ভব ভেকসিন সরবারহের জন্য সেন্ট্রাল স্টোরকে বলা হয়েছে বলে জানান হয়েছে।
অপরদিকে এমাসের শুরু থেকেই সংক্রমন হার হ্রাসের সাথে সুস্থতার সংখ্যাও কমছে। স্বাস্থ্য বিভাগের অনুমিত হিসেবে গত ৪৮ ঘন্টায় নতুন ১৩৪ জন সহ দক্ষিণাঞ্চলে সর্বমোট সুস্থ হয়ে উঠেছেন ৪১ হাজার ৩৫৪ জন। সুস্থতার গড়হার এখন ৯২.৯০%।
এদিকে শুক্রবার ছুটি দিন বিধায় নমুনা পরিক্ষা হ্রাসের কারণে বরগুনা ও ঝালকাঠীতে গত ২৪ ঘন্টায় কোন করোনা রোগী শনাক্ত হয়নি। এসময়ে দক্ষিণাঞ্চলের ৬ জেলায় মাত্র ৩৩১ জনের নমুনা পরিক্ষা হয়েছে। তবে এ সময়ে ভোলতে ১৫ জন, মহানগরীতে ৮ জন সহ জেলায় বরিশাল জেলায় ১০ জন এবং পটুয়াখালী ও পিরোজপুরে ৩ জন করে করোনা রোগী শনাক্ত হয়েছে।
এনিয়ে বরিশালে বরিশালে মোট সংক্রমনের শিকার ১৮ হাজার ৮৮ জনের মধ্যে মুত্যু হয়েছে ২২৫ জনের। পটুয়াখালীতে ৬ হাজার ১৫১ জনের দেহে করেনা পজিটিভ শনাক্ত হয়েছে। মারা গেছেন ১০৭ জন। ভোলাতে এখনো পরিস্থিতির মোটা দাগের উন্নতি হয়নি। দ্বীপ জেলাটিতে এপর্যন্ত মোট ৬ হাজার ৭০৫ জন আক্রান্তের মধ্যে ৮৯ জনে মৃত্যু হয়েছে। পিরোজপুরে আক্রান্তের সংখ্যা ৫ হাজার ২০৭। মারা গেছেন ৮৩ জন। দক্ষিণাঞ্চলের সর্বাধীক মৃত্যুহারের বরগুনাতে ৩ হাজার ৭৮৩ জন আক্রান্তের মধ্যে মৃত্যু হয়েছে ৯৬ জনের। জেলাটিতে গড় মৃত্যুহার এখনো ২.৫৪%। দক্ষিণাঞ্চলের সবচেয়ে ছোট জেলা ঝালকাঠীতে সংক্রমন কিছুটা কমলেও এখনো গড় সংক্রমন হার ২৬.১২%। যা এ অঞ্চলের সর্বোচ্চ। জেলাটিতে ইতোমধ্যে ১৭ হাজার ৫৩৭ জনের নমুনা পরিক্ষায় ৪ হাজার ৫৮০ জনের দেহে করোনা পজিটিভ শনাক্ত হয়েছে। জেলাটিতে এ পর্যন্ত মৃত্যু হয়েছে ৬৯ জনের।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন