শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

জাতীয় সংবাদ

নিরপেক্ষ সরকার-ইসি ছাড়া কোনো নির্বাচন হবে না

আলোচনা সভায় মির্জা ফখরুল

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ১২ সেপ্টেম্বর, ২০২১, ১২:০০ এএম

নিরপেক্ষ সরকার এবং নির্বাচন কমিশন (ইসি) গঠন ছাড়া দেশে আগামীতে জাতীয় নির্বাচন হবে না বলে হুশিয়ারি দিয়েছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী সংসদের সভায় আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন নিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বক্তব্যের প্রতিক্রিয়া জানাতে গিয়ে গতকাল শনিবার এক আলোচনা সভায় তিনি এই হুশিয়ারি দেন।

মির্জা ফখরুল বলেন, উনি (শেখ হাসিনা) নির্বাচনের কথা বলেছেন, তার দলের কার্যনির্বাহী পরিষদের সভায় সবাইকে নির্বাচনের প্রস্তুতি নিতে বলেছেন। কোন নির্বাচন? যে নির্বাচন শুধুমাত্র আপনাকে নির্বাচিত করবে সেই নির্বাচন, যে নির্বাচনে জনগণ ভোট দিতে যেতে পারবে না এমনকি তাদের বাড়ি-ঘরে আক্রমণ করা হবে, ভোটকেন্দ্রে গেলে তাদেরকে বেইজ্জতি করা হবে, নির্যাতন করা হবে সেই নির্বাচন? যে নির্বাচনের আগের রাত্রেই আপনারা দখল করে নিয়ে চলে যাবেন সেই নির্বাচন? যে নির্বাচন আপনাদের ক্ষমতায় যাওয়ার আরেকটা পথ সুগম করবেন সেই নির্বাচন?

বিএনপি মহাসচিব বলেন, আমরা পরিস্কার ভাষায় বলতে চাই, বাংলাদেশে আর সেই ধরনের নির্বাচন হবে না। আমাদের খুব পরিস্কার কথা -নির্বাচন একটা হবে। সেই নির্বাচন অবশ্যই হতে হবে নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে, নিরপেক্ষ নির্বাচন কমিশনের পরিচালনায়। আর সবার আগে গণতন্ত্রের আপোষহীন নেত্রী দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে মুক্তি দিতে হবে এবং একই সঙ্গে মুক্ত করতে হবে যারা কারাগারে আছেন গণতন্ত্রের কর্মী-নেতা, শুধু রাজনৈতিক প্রতিহিংসার কারণে যাদেরকে আটক করে রাখা হয়েছে তাদেরকে মুক্তি দিতে হবে। আর ৩৫ লাখ মানুষের বিরুদ্ধে যে মিথ্যা মামলা আছে সেই মামলাগুলোকে প্রত্যাহার করতে হবে। এর আগে কোনো নির্বাচন হবে না এদেশে।
নির্বাচন কমিশন গঠন সংসদ আইন প্রণয়নে আপত্তি জানিয়ে মির্জা ফখরুল বলেন, নির্বাচন কমিশন গঠন হবে তখনই যখন একটা সত্যিকার অর্থেই নিরপেক্ষ নির্বাচন কমিশন গঠন হতে পারে সেই ব্যবস্থা তৈরি করা হয়। আইন করা হবে বলছেন। কোন আইন? আপনারা আইন করবেন পার্লামেন্টে যেখানে আর কেউ নেই, কথা বলার সুযোগ নেই বা আপনারা একরতফা আইন পাস করে নিয়ে যাবেন আপনাদের সুবিধার জন্য। সেই আইনের মধ্য দিয়ে যে নির্বাচন কমিশন গঠন করা হলে সেটাও এদেশের মানুষ মেনে নেবে না।

জাতীয় প্রেসক্লাবের আব্দুস সালাম হলে জাতীয়তাবাদী মহিলা দলের ৪৩তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে এই আলোচনা সভা হয়।
গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার আন্দোলনের জন্য মহিলা দলকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহবান জানিয়ে বিএনপি মহাসচিব বলেন, বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি এবং গণতন্ত্রের মুক্তি-এই প্রত্যাশায় মহিলাদেরকে সংগঠিত করে আন্দোলন, আন্দোলন, আন্দোলনের কোনো বিকল্প নেই-একথা মনে করে আমাদেরকে রাস্তায় নেমে পড়তে হবে।
স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, আজকে যেভাবে আমাদেরকে হয়রানি করছে, বসে থাকার কোনো কারণ নেই। এখন আমাদের একটাই উদ্দেশ্য- শেখ হাসিনারে মারো টান, গদি হবে খান খান। অর্থ্যাৎ শেখ হাসিনার পতন সকল সমস্যার সমাধানের পথ খুলবে। আসুন সেই একদফায় এগিয়ে যাই। দলের মহাসচিবসহ আমাদের চেষ্টা চলছে সুদৃঢ় একটা জাতীয় ঐক্য গড়ে তোলা এবং সকল দলমত নির্বিশেষ একটাই ইস্যু- অবাধ সুষ্ঠ নির্বাচনের গ্যারেন্টি, হাসিনার পদত্যাগ। তার এই পদত্যাগ আমরা নিশ্চিত করি।

তিনি বলেন, নির্বাচন কমিশন গঠন হয়তবা মতামত আমরা দেবো। তবে আমি বলব, শেখ হাসিনাকে ক্ষমতায় রেখে ফেরেস্তা এনেও যদি নির্বাচন কমিশন করা হয় তারপরেও লাভ হবে না। শয়তানে যেখানে আসর করে সেখানে ফেরেস্তারাও অসহায় হয়ে যায়। সুতরাং শয়তানের আসর থেকে দেশকে মুক্তি করতে হলে এক দফা এক দাবি, শেখ হাসিনা কবে যাবি-এই শ্লোগান নিয়ে আমরা এগিয়ে যাই।
সংগঠনের সভাপতি আফরোজা আব্বাসের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক সুলতানা আহমেদের সঞ্চালনায় আলোচনা সভায় জাতীয়তাবাদী মহিলা দলের নেওয়াজ হালিমা আরলি, হেলেন জেরিন খান, ইয়াসমীন আরা হক, চৌধুরী নায়াব ইউসুফ প্রমূখ বক্তব্য রাখেন।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (1)
মোহাম্মদ দলিলুর রহমান ১২ সেপ্টেম্বর, ২০২১, ২:১২ এএম says : 0
সংসদীয় পদ্ধতি কি জন্য করেছেন, রাষ্ট্রপতি পদ্ধতি বাতিল কি জন্য করেছেন =যদি ক্ষমতা হাতে রেখে নির্বাচন নিজের হাতের ইশারায় হবে,।পার্থক্য কি রইল =রাষ্ট্রপতি পদ্ধতি =আর সংসদীয় পদ্ধতি =ঐ দলীয় আমলাতান্ত্রিক সংসদীয় পদ্ধতি =ঘু=এবং =গোবরে =পার্থক্য কি রইল=তাহা হলে তো 1990তে এরশাদ কে স্বৈরাচার বলে ক্ষমতা থেকে সরানো হয়েছে সেই জন্য,ক্ষমাপ্রার্থনা করতে হবে।অন্যথায় নিরপক্ষ সরকারের হাতে ক্ষমতা দিয়ে নিরপক্ষ নির্বাচন করে ক্ষমতায় আসতে হবে,অন্যথায় সংসদীয় পদ্ধতির দরকার নেই,আমলাতান্ত্রিক সংসদীয় পদ্ধতি চলবে জনগণের অধিকার নেই,থাকবে না তাহা কি করে হবে,যদি সেটা না হয় রাষ্ট্র পতি শাসনই ভালো। এক জন লুঠ পাঠ করতে হিসাব নিকাস করে করবে,এখন আমলাতান্ত্রিক সংসদীয় পদ্ধতি 360জনের মন্ত্রী পরিষদ সবাই একদলীয় এক দলের দলীয় সিদ্ধান্ত,কিসের জনগণ কি সিদ্ধান্ত দিবেন জনগণ,আমলারাই সব কিছু,রাষ্ট্রপতি একজন পিছে জনগণ দৌড়াইতে পারবে হিসাব নিকাশ নিতে পারবে,কিন্তু 360 আমলার লুট পাঠ কি করে হিসাব নিবেন ,সবাই (চেরাগআলী)আবার ক্ষমতা নিজের হাতে ,।এরশাদ কি অন্যায় করেছে কই পরিবর্তন নেই।ঘু গোবর সমান। সামান্য ছোট একটি দেশে কি এমন সংসদীয় পদ্ধতির পয়োজন,আবার ঐ 1990 এর মতেই। এক পকির হাটিতে হাটিতে বললেন,করলার বিছি পটটাস ,আসলে সে কি বুজাইছে।চিন্তা করলে সংসদীয় পদ্ধতি ঐ রকম।
Total Reply(0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন