সন্ত্রাসবিরোধী আইনে করা মামলায় জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল মিয়া গোলাম পরওয়ারসহ পাঁচজনের ফের দুদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। রিমান্ডে যাওয়া অন্য আসামিরা হলেন- জামায়াতে ইসলামীর অ্যাসিস্টেন্ট সেক্রেটারি জেনারেল রফিকুল ইসলাম খান, নির্বাহী পরিষদ সদস্য ইজ্জত উল্লাহ, ছাত্রশিবিরের সাবেক মোবারক হোসেন ও সভাপতি ইয়াসিন আরাফাত। গতকাল চারদিনের রিমান্ড শেষে তাদের ঢাকা মহানগর হাকিম আদালতে হাজির করে পুলিশ। এরপর ভাটারা থানায় সন্ত্রাসবিরোধী আইনে করা মামলা সুষ্ঠু তদন্তের জন্য আবারও তাদের ১০ দিনের রিমান্ডে নিতে আবেদন করেন ডিবি পুলিশের পরিদর্শক কাজী ওয়াজেদ আলী। ঢাকা মহানগর হাকিম মাসুদুর রহমানের আদালতে এ রিমান্ড শুনানি অনুষ্ঠিত হয়।
এছাড়া একই আদালত দলটির সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল হামিদুর রহমান আজাদ ও নির্বাহী পরিষদ সদস্য আব্দুর রবকে রিমান্ড শেষে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন। একইদিনে মনিরুল ইসলাম ও আবুল কালাম নামে দুজন আদালতে স্বীকারোক্তি দিয়েছেন। এদিন মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট শহিদুল ইসলাম আসামি মনিরুল ইসলাম ও আরেক মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মোর্শেদ আল মামুন ভূঁইয়া ফৌজদারি কার্যবিধির ১৬৪ ধারায় আবুল কালামের জবানবন্দি রেকর্ড করেন। এরপর তাদের কারাগারে পাঠানো হয়। আদালতে ভাটারা থানার সাধারণ নিবন্ধন কর্মকর্তা রনপ কুমার এ তথ্য জানান। এর আগে ৭ সেপ্টেম্বর ৯ আসামিকে ঢাকা মহানগর হাকিম আদালতে হাজির করে পুলিশ। এরপর ভাটারা থানায় সন্ত্রাসবিরোধী আইনে করা মামলার সুষ্ঠু তদন্তের জন্য ১০ দিনের রিমান্ডে নিতে আবেদন করেন ভাটারা থানার উপ-পরিদর্শক আমিনুল ইসলাম। শুনানি শেষে ঢাকা মহানগর হাকিম বেগম মাহমুদা আক্তার তাদের প্রত্যেকের চারদিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
গত ৬ সেপ্টেম্বর রাতে ভাটারা থানায় জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল মিয়া গোলাম পরওয়ারসহ নয়জনের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসবিরোধী আইনে মামলা করে পুলিশ। মামলায় অজ্ঞাতনামা আসামি করা হয় অনেককে। সেদিনই বসুন্ধরা আবাসিক এলাকা থেকে তাদের আটক করে পুলিশ।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন