বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১, ১৪ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

জাতীয় সংবাদ

ইউটিউবে অশ্লীলতা ও অপপ্রচার রোধে সরকার কাজ করছে : তথ্যমন্ত্রী

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ১৩ সেপ্টেম্বর, ২০২১, ৫:১৬ পিএম

বর্তমানে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে আওয়ামী লীগ ও এ ঘরানার হাজারো অ্যাক্টিভিস্ট সক্রিয় আছে বলে জানিয়েছেন তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ। ইউটিউবে যেসব অশ্লীল কন্টেন্ট দেখানো হয়, একই সঙ্গে রাষ্ট্রসহ সরকারের বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালানোও হয়, সেগুলো বন্ধ করার কোনো সুযোগ আছে কি না, সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নে মন্ত্রী বলেন, এগুলোর সার্ভিস প্রোভাইডার হচ্ছে ইউটিউব কর্তৃপক্ষ বা অন্যান্য যেসকল প্লাটফর্মে দেখানো হয়, সেসকল কর্তৃপক্ষ। তাদের বলা হয়েছে। অনেকক্ষেত্রে সাড়া পাওয়া যায়, অনেকক্ষেত্রে পাওয়া যায় না।

আজ (সোমবার) দুপুরে সচিবালয়ে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা জানান। তিনি বলেন, আরও জোরালো ব্যবস্থা যাতে নেওয়া যায়, সেজন্য আমরা সার্ভিস প্রোভাইডারের সঙ্গে আলোচনায় আছি। অনেকটা এগিয়ে এসেছে, আমরা আশায় আছি। সরকারের পক্ষ থেকে ফেসবুকসহ অন্যান্য প্লাটফর্মকে বলা হয়েছে, বাংলাদেশে তাদের অফিস খোলার জন্য। বাংলাদেশে যখন এসব কোম্পানি নিবন্ধিত হবে, তখন বাংলাদেশের আইন অনুযায়ী এ সমস্ত কনটেন্টের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া অনেকটা সহজ হবে। এ ধরনের কন্টেন্ট সরানো বা বন্ধ করার ক্ষেত্রে যে প্রতিবন্ধকতা আছে, সেগুলো দূর হবে।

এদিকে আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে- প্রচার-প্রচারণার জন্য ও অপপ্রচার রোধে এক লাখ অ্যাক্টিভিস্ট নামানো হবে। এ বিষয়ে বিএনপি বলছে, সাংবাদিকদের কণ্ঠরোধ এবং লেখনি সেন্সর করার জন্য এক লাখ অ্যাক্টিভিস্ট নিয়োগ করবে- এ বিষয়ে জানতে চাইলে তথ্যমন্ত্রী বলেন, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এসব অ্যাক্টিভিস্ট কাজ করবে। তিনি বলেন, এখনো হাজার-হাজার অ্যাক্টিভিস্ট আমাদের দলের বা ঘরোনার সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে অ্যাকটিভ আছে। সেগুলোকে সমন্বয় ঘটিয়ে যাতে একসাথে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সমন্বিতভাবে কাজ করতে পারে, সে কথা বলা হয়েছে।

 

বিএনপি নেতাদের উদ্দেশে আওয়ামী লীগের এ যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বলেন, যারা এসব কথা বলে, তাদের আসলে সামাজিক যোগযোগ মাধ্যম কিভাবে চলে, সে সম্পর্কে ধারণা নেই। এখানে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে অ্যাক্টিভিস্ট কাজ করবে, কার কণ্ঠ কে রোধ করবে? তিনি বলেন, মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ও রিজভী আহমেদরা বিদেশে অ্যাক্টিভিস্ট নিয়োগ করেছে, সরকার ও দেশের বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালানোর জন্য। সে অপপ্রচারের বিরুদ্ধে সুপ্রচার আরো জোরালো হবে। তখন এ অপপ্রচারগুলো মাঠে মারা যাবে, সে শঙ্কা থেকে তারা এ কথা বলছে।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন