শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৬ বৈশাখ ১৪৩১, ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

সারা বাংলার খবর

দক্ষিণাঞ্চলের ৮ ভাগ মানুষ করোনা ভ্যাকসিনের আওতায়

বরিশাল ব্যুরো | প্রকাশের সময় : ১৩ সেপ্টেম্বর, ২০২১, ৮:০১ পিএম

দক্ষিণাঞ্চলে মোট জনসংখ্যা মাত্র ৮ভাগ মানুষের মধ্যে করোনা প্রতিষেধক ভেকসিন-এর প্রথম ও দ্বিতীয় ডোজ প্রদান সম্পন্ন হয়েছে। প্রায় ১ কোটি জনসংখ্যার দক্ষিণাঞ্চলের ৬টি জেলায় গত ৭ ফেব্রুয়ারী থেকে ‘কোভিশিল্ড’এর ‘এ্যস্ট্রোজেনেকা’ ভ্যাকসিন প্রয়োগ শুরু হয়। ২ লাখ ৭৩ হাজার মানুষের মধ্যে প্রথম ডোজ প্রদানের পরে তা বন্ধ করে দ্বিতীয় ডোজের ভ্যাকসিন প্রয়োগ শুরু হয় ৭ এপ্রিল থেকে। সোমাবার পর্যন্ত ১৩ লাখ ৩ হাজার ৮৫২ জনকে কোভিশিল্ড, মডার্ণা ও সিনোফার্ম-এর ১ম ডোজের প্রদান সম্ভব হলেও দ্বিতীয় ডোজ সম্পন্ন করেছেন মাত্র ৮ লাখ ৬ হাজার ৩৩৮ জন।

দক্ষিনাঞ্চলের বিভিন্ন জেলায় এখনো প্রায় ১ লাখ ১৫ হাজার ডোজ মজুদ থাকলেও মঙ্গলবারেই আরো ৪০ হাজার ভ্যাকসিন আসছে বলে জানা গেছে। তবে মজুদের মধ্যে মডর্ণার ভ্যাকসিনের সংখ্যা ১৫ হাজারেরও কম। অথচ প্রথম ডোজ গ্রহনকারী আরো প্রায় ৫৩ হাজার মানুষ মডার্ণার ভেকসিন গ্রহনের অপেক্ষায় রয়েছেন বলে জানা গেছে।

অপরদিকে ভ্যাকসিনের অভাবে বরিশাল সিটি করপোরেশন এলাকায় গত ৩দিন ধরে প্রতিশেধক কার্যক্রম প্রায় বন্ধ। এ নগরীতে অনেক আগেই মডার্ণা’র ১ম ডোজের ভ্যাকসিন প্রদান বন্ধ হয়ে যাবার পরে সিনোফার্মা’র কার্যক্রম শুরু হলেও গত ৩দিন ধরে কোন মজুদ নেই। তবে বিভাগীয় স্বাস্থ্য দপ্তর জরুরী ভিত্তিতে পটুয়াখালী থেকে দু হাজার ভ্যাকসিনের ব্যাবস্থা করায় সোমবার তা দিয়ে পরিস্থিতি সামাল দেয়া হয়। মঙ্গলবারে পর্যপ্ত ভ্যাকসিন সিটি করপোরেশনকে দেয়া হবে বলে স্বাস্থ্য বিভাগ জানিয়েছে। তবে সোমবার পর্যন্ত বরিশাল মহানগরীর প্রায় ১ লাখ ৭ হাজার মানুষের মধ্যে দুই ডোজের ভ্যাকসিনই প্রয়োগ সম্ভব হয়েছে বলে জানা গেছে। আর প্রথম ডোজ পেয়েছেন প্রায় ১ লাখ ৭৬ হাজার নগরবাসী।

গত ৭ ফেব্রুয়ারী থেকে শুরু হওয়া করোনা প্রতিষেধক ভ্যাকসিন গ্রহনে প্রথমদিকে খুব সারা না মিললেও পরবর্তিতে সমাজের সচেতন মনুষের মধ্যে যথেষ্ঠ আগ্রহ সৃষ্টি হয়। কিন্তু ততদিনে বরিশাল বিভাগের ৩টি জেলা থেকে প্রায় ১ লাখ ২০ হাজার ডোজ ভ্যাকসিন খুলনায় পাঠিয়ে দেয়া হয়। শেষ পর্যন্ত দক্ষিণাঞ্চলে মাত্র ২ লাখ ৫০ হাজার ৩০৩ জনকে ভ্যাকসিন প্রদানের মধ্যে দিয়ে দক্ষিণাঞ্চলের ৬ জেলায় প্রথম ডোজের কার্যক্রম শেষ হলেও তাদের সবাই দ্বিতীয় ডোজ গ্রহন করতে পরেন নি।

প্রথম ডোজ গ্রহনকানী প্রায় ৭৩ হাজার মানুষই তখন দ্বিতীয় ডোজের অপেক্ষায় ছিলেন। দীর্ঘ অপেক্ষার পরে তাদের অনেকেই ইতোমধ্যে দ্বিতীয় ডোজ গ্রহনে সক্ষম হয়েছেন বলে জানা গেছে। প্রথম ডোজ গ্রহনকারীর আড়াই লাখের মধ্যে মাত্র ৯০ হাজার ১৫৮ জন ছিলেন নারী। এখনো সমগ্র দক্ষিণাঞ্চলে যে ৮% মানুষ ভ্যাকসিনের আওতায় এসেছেন তার মধ্যে নারীর হার ৪০%-এরও নিচে।

তবে স্বাস্থ অধিদপ্তরের বরিশাল বিভবাগীয় পরিচালক ডা. বাসুদেব কুমার সাহা জানিয়েছেন ভ্যাকসিনের কোন সংকট হবেনা। তিনি সবাইকে রেজিষ্ট্রেশন করে নিজ এলাকায় ভেকসিন গ্রহনেরও আহবান জানিয়েছেন। ১৩-৯-২০২১.

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন