বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১, ১৪ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

সারা বাংলার খবর

সখিপুরে বনভূমি নন-জুডিশিয়াল স্ট্যাম্পে বিক্রি

বনবিভাগ নির্বিকার, সরকার বিপুল পরিমান রাজস্ব থেকে বঞ্চিত

সখিপুর (টাঙ্গাইল) উপজেলা সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ১৪ সেপ্টেম্বর, ২০২১, ২:১৭ পিএম

টাঙ্গাইলের সখিপুর উপজেলার কচুয়া বিট অফিসের দুইশত গজ দক্ষিনে কচুয়া মৌজায় ৩৭৩৬ নং দাগে বনবিভাগের জমি রয়েছে ৭.৯৫ একর। বনবিভাগের সম্পূর্ন জমিই ব্যক্তি মালিকানা দখলে রয়েছে এবং তারা ধীরে ধীরে বনবিভাগের জমি নন-জুডিশিয়াল স্ট্যাম্পের মাধ্যমে বিক্রি করে দিচ্ছে। ইতিমধ্যে প্রতি শতাংশ ৬০হাজার টাকা হিসাবে ১১০শতাংশ জমি বিক্রি করে দিয়েছে। বহেড়াতলী রেঞ্জ এর কচুয়া বিটের সন্নিকটে বনবিভাগের প্রায় ৮একর জমি বেদখল থাকার পরও বনবিভাগের লোকজন অজ্ঞাতকারনে নীরব দর্শকের ভূমিকায় রয়েছে।ওই বনবিভাগের জমিতে ইতিমধ্যে ২১০শতাংশ জমি লিজ নিয়ে জান্নাতুল লেমন গার্ডেন নামে একটি কৃষি প্রকল্প(লেবু বাগান)গড়ে তোলেন ওই গ্রামের বীর মুক্তিযোদ্ধা মৃত আব্দুল বাছেদ ওরফে বাচ্চু মিয়ার ছেলে প্রান্তিক কৃষি উদ্যোক্তা মোঃ মোফাজ্জল হোসেন। নন-জুডিশিয়াল ১৫০টাকার স্ট্যাম্পে লিখিত লিজনামা দলিলে উল্লেখিত মেয়াদ, ৫বছর পূর্তি শেষে উভয় পক্ষ আলোচনা সাপেক্ষে পরবর্তী মেয়াদ পরিবর্তন,পরিবর্ধন করা যাবে উল্লেখ থাকলেও এখন বেঁকে বসেছেন লিজ দাতাগণ। তবে এ জমি লিজ দেননি বনবিভাগ লিজ দিয়েছেন অপর ব্যক্তিরা।

লিজ দাতারা হলেন উপজেলার কচুয়া গ্রামের মৃত দেওয়ান দুলাল উদ্দিনের পাঁচ ছেলেঃ-(১)দেওয়ান মোজাম্মেল হক (২)দেওয়ান সুজাত আলী(৩) দেওয়ান আব্দুল জব্বার(৪) দেওয়ান হযরত আলী (৫)দেওয়ান শওকত আলী গংরা। আবার তারা ৬০হাজার টাকা শতাংশ হিসাবে ১১০ শতাংশ বনবিভাগের জমি দুইজনের নিকট বিক্রি করেও দিয়েছেন। ফলে সরকার বিপুল পরিমান রাজস্ব থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। অত্র এলাকায় বনবিভাগের লোকজন থেকে কোন লাভ নাই,কচুয়া বিট অফিসের দুইশত গজ দক্ষিনে সখিপুর-কচুয়া-সাগরদিঘী সড়ক সংলগ্ন পূর্ব পাশে প্রায় ৮একর জমি বেদখল দীর্ঘদিন যাবৎ তবুও বিট কর্মকর্তা/কর্মচারী অজ্ঞাতকারনে নীরব। হাস্যকর বিষয় হলো-বনবিভাগের জমি লিজ নিয়েছেন যে ব্যক্তি সে লিজদাতাদের নামে টাঙ্গাইলের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে ফৌজদারী কার্যবিধি আইনের ১৪৪ ও ১০৭/১১৭(গ) ধারায় পৃথক দুটি মামলা দায়ের করেছি এবং সংবাদ সম্মেলন করেছেন। অথচ জমি বনবিভাগের। সখিপুর উপজেলার প্রতিটি এলাকাতেই বনবিভাগের জমি নন-জুডিশিয়াল স্ট্যাম্পের মাধ্যমে ব্যক্তি মালিকানায় বিক্রি করা হচ্ছে। এভাবে হাজার হাজার একর বনবিভাগের জমি ব্যক্তি মালিকানায় বেদখল হয়ে গেছে। এ বিষয়ে বহেড়াতলী রেঞ্জ অফিসার এএইচএম এরশাদ হোসেন বলেন,বনবিভাগের জমি হলে অবশ্যই উদ্ধার করা হবে। কচুয়া বিট কর্মকর্তা শাহ আহমেদ বলেন,সেই ১৯৭১ সাল থেকেই বনবিভাগের জমি জবরদখল করে বাড়িঘর নির্মান করে জনগন বসবাস করছে। উক্ত বনবিভাগের জমি সম্পর্কে উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে,অচিরেই কচুয়া মৌজার ৩৭৩৬ নং দাগের ৭.৯৫একর জমি বেদখল মুক্ত করে উদ্ধার করা হবে।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (1)
AKM Nurul Islam ১৪ সেপ্টেম্বর, ২০২১, ৩:৩৬ পিএম says : 0
Land belongs to FOREST should be well defined by BOUNDARY and gazetted in UNION LAND OFFICE. Despite this protection land cannot be sold privately.
Total Reply(0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন