বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১, ১৪ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

মহানগর

দুই সপ্তাহে মধ্যে ফল প্রকাশের দাবি মেডিকেল টেকনোজিস্টদের

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ১৪ সেপ্টেম্বর, ২০২১, ৯:০২ পিএম

স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালকের আশ্বাসে অবস্থান কর্মসূচি প্রত্যাহার করেছে চাকরী প্রত্যাশী মেডিকেল টেকনোজিস্টরা। এর আগে মঙ্গলবার (১৪ সেপ্টেম্বর) পূর্ব ঘোষিত কর্মসূচি অনুযায়ী নিয়োগ পরীক্ষার চূড়ান্ত ফলাফল প্রকাশের দাবিতে স্বাস্থ্য ভবনের সামনে অবস্থান কর্মসূচিতে বসে তারা। তবে আগামী দুই সপ্তাহের মধ্যে ফলাফল প্রকাশ না হলে কঠোর আন্দোলনের হুশিয়ারি দিয়েছে তারা।

মঙ্গলবার মহাখালীর স্বাস্থ্য ভবনের মূল গেইটের সামনে ‘মেডিকেল টেকনোলজিস্ট-২০২০ নিয়োগ বাস্তবায়ন কমিটির’ ব্যানারে এই অবস্থান কর্মসূচি শুরু হয়। এতে সহস্রাধিক চাকরি প্রত্যাশী এ কর্মসূচিতে অংশ নেন।

এসময় কমিটির আহ্বায়ক আলমগীর হোসেন বলেন, আমরা অবিলম্বে চূড়ান্ত ফলাফল চাই। আমরা ইতোমধ্যে অধিদফতরের ডিজি মহোদয় ও পরিচালক প্রশাসনের কাছে স্মারকলিপি দিয়েছি। স্বাস্থ্য সচিবও বলেছিলেন, দ্রুত ফলাফল প্রকাশ করা হবে। কিন্তু এখনো সেই ফলাফল আলোর মুখ দেখছে না।

এক পর্যায়ে অবস্থানকারীদের চাপের মুখে অধিদফতরের মহাপরিচালক পুলিশ প্রশাসনের প্রতিনিধিদের দল ডেকে পাঠান। এই সময় ফলাফল প্রকাশের বিষয়ে স্বাস্থ্যমন্ত্রী, মুখ্য সচিব, সিনিয়র সচিবসহ ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সাথে কথা বলেন। প্রতিনিধি দলকে নিয়ে আন্দোলনকারীদের সামনে সার্বিক বিষয় তুলে ধরে আন্দোলন স্থগিতের অনুরোধ জানান। পাশাপাশি দ্রুত ফলাফল প্রকাশের বিষয়ে আস্বস্ত করেন। মহাপরিচালকের অনুরোধের প্রেক্ষিতে আন্দোলন কমিটি দুই সপ্তাহ সময় দিয়ে কর্মসূচি স্থগিত করেন।

প্রসঙ্গত, দেশে করোনাভাইরাসের মহামারি শুরুর পর সরকার জরুরি ভিত্তিতে মেডিকেল টেকনোলজিস্ট নিয়োগের উদ্যোগ নেয়। এরই ধারাবাহিকতায় গতবছরের ২৯ জুন ৮৮৯ জন মেডিকেল টেকনোলজিস্ট নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে স্বাস্থ্য অধিদফতর। এ পদে ২৩ হাজার ৫২২ জন চাকরিপ্রার্থী গতবছর ডিসেম্বরে লিখিত পরীক্ষায় অংশ নেন। উত্তীর্ণদের মৌখিক পরীক্ষা শেষ হয় এ বছর ২২ ফেব্রুয়ারি। এরপর সাত মাস পেরিয়ে গেলেও চূড়ান্ত ফলাফল প্রকাশ করা হয়নি।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (1)
এস এম কিবরিয়া ১৫ সেপ্টেম্বর, ২০২১, ১:২০ এএম says : 0
এই মহামারীতে যারা আমাদের টেকনোলজিষ্ট নিয়োগ আটকে রাখছে। যেকোনো ধরনের রোগ নির্ণয় থেকে শুরু করে, করোনা টেস্ট প্যাথলজি , biochemistry, microbioloy, radiology, immunology, হসপিটালের এত গুরত্বপূর্ণ একটা বিভাগ এ ১২ বছর নিয়োগ নেই!! অথচ বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা র নিয়ম অনুযায়ী ১:৫ ডাক্তার: technologist থাকার কথা। অথসও সারা বাংলাদেশে আছে হাতে গোনা ১-২ হাজার। সাধারণ হতদরিদ্র অবুঝ মানুষদের যেভাবে যেভাবে বঞ্চিত করছেন আপনারা? এই যুগে মানুষ পরীক্ষা নিরীক্ষার হসপিটালে যেতে ভয় পায়, রক্ত চোষার মত টাকা নেয় প্রাইভেট হসপিটাল গুলো। সরকারি টেস্ট সুযোক নেই বলে সবাই কাজে লাগায় ।একটা নিয়োগ হয়েছিল, প্রধানমন্ত্রীর নির্বাহী আদেশ এও ১.৫ বছরে নিয়োগ শেষ করতে পারেন নাই। ৬ মাস আগে ভাইভা শেষ হয়েছে এখনও রেজাল্ট এর খবর নেই, তার দায়ভার জনগন আমরা নিবো আর কতকাল!! আপনি সাস্থ্য মন্ত্রী আপনি নার্স আর ডাক্তার ছাড়া মনে হয়না আর কিছু vabchen na !! সাধারণ মানুষ ও আপনাদের সম্পর্কে অবাক হতবাক। সাস্থ্য সেবা কি এর পরিকল্পনা কি, সে বিষয়ে আপনাকে একটু ভাবা উচিত। এক্ষণ সূজোক আছে মানুষের স্বাস্থ্য সেবা নিশ্চিত করার । মানুষকে জীবন নিয়ে ছিনিমিনি খেলা নয়তো এবার এই শেষ, করোনা মহামারী ছোবল ছাড়বে না কাওকে। আল্লাহ্ হেদায়েত দান করুক সবাইকে।
Total Reply(0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন