মঙ্গলবার, ২৩ এপ্রিল ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১, ১৩ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

জাতীয় সংবাদ

বৃদ্ধা মায়ের সঙ্গে সাক্ষাতে এবার তিন সন্তানের রিট

বড় ছেলেকে হাজির হওয়ার নির্দেশ

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ১৫ সেপ্টেম্বর, ২০২১, ১২:০১ এএম

মা-কে কেন আটকে রাখা হয়েছে- তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট। চার সন্তানের জননী আছিয়া আক্তারের তিন ছেলে এই মর্মে রিট করেন যে, তাদের মা আছিয়া আক্তারকে বড় ছেলে রবিউল মোরশেদ মিলন আটকে রেখেছেন। রিটের প্রাথমিক শুনানি শেষে উপরোক্ত রুল জারি করেন আদালত। বিচারপতি মো. মজিবুর রহমান মিয়া এবং বিচারপতি কামরুল হোসেন মোল্লার ভার্চুয়াল ডিভিশন বেঞ্চ এ রুল জারি করেন। একই সঙ্গে আগামী ২৬ সেপ্টেম্বর বড় ছেলে রবিউল মোরশেদ মিলনকে সশরীরে আদালতে হাজির হয়ে ঘটনার ব্যাখ্যা দিতে বলা হয়েছে। আছিয়ার ছোট সন্তান রাফসান মোর্শেদ এবং পারভীন আক্তারসহ দুই বোনের পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার তৌফিক ইমাম। শুনানিতে সহায়তা করেন ব্যারিস্টার গালিব আমিদ। সরকারপক্ষে শুনানিতে অংশনেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল নওরোজ এম. রাসেল।
তৌফিক ইমাম বলেন, রাজধানীর মিরপুরে এক বৃদ্ধ মাকে গৃহবন্দি করে রাখার অভিযোগে তার তিন ছেলে-মেয়ে হাইকোর্টে একটি রিট করেন। পরে গত ১২ সেপ্টেম্বর হাইকোর্টের ভার্চুয়াল ডিভিশন বেঞ্চ শুনানি নিয়ে মাকে এককভাবে আটকে রাখা এবং অন্যান্য ছেলে-মেয়েদের দেখা করার সুযোগ না দেয়া ও কেন মা আছিয়া আক্তারকে অবৈধভাবে আটক রাখা হয়েছেÑ তা জানতে চেয়ে বড় ছেলে ও সংশ্লিষ্টদের প্রতি রুল জারি করেন। একই সঙ্গে ছেলে রবিউল মোর্শেদ মিলনকে আগামী ২৬ সেপ্টেম্বর বেলা সাড়ে ১১টায় মাকে সঙ্গে নিয়ে সশরীরে হাজির হতে নির্দেশ দিয়েছেন।
প্রসঙ্গত : মিরপুর আরামবাগ এলাকার বাসিন্দা বৃদ্ধ আছিয়া আক্তারের চার সন্তান। দুই ছেলে ও দুই মেয়ে। ২০১১ সালের ২৭ মে ছোট ছেলে রাফসান মোর্শেদের বাসা থেকে তার বড় ছেলে মাকে নিজের হেফাজতে নিয়ে যান এবং তাকে অন্যান্য সন্তানদের কাছ থেকে সম্পূর্ণ বিচ্ছিন্ন করে গৃহবন্দি করে রাখেন। তিন ভাই-বোনকে তাদের মায়ের সঙ্গে কোনোভাবেই দেখা করতে দিচ্ছেন না। মায়ের সঙ্গে সাক্ষাৎ করার চেষ্টা করলে তাদের গেট থেকে বের করে দেয়া হয়। তখন তারা নিরুপায় হয়ে সংশ্লিষ্ট থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন। পুলিশের সহায়তায় গত দুই বছর আগে শুধু দু’বার দেখা করেন। এরপর থেকে আর রিট আবেদনকারী ভাই-বোনদের মাকে দেখতে দেননি। রিট আবেদনকারীরা জানতে পেরেছেন যে, তাদের মা গুরুতর অসুস্থ। তাকে পর্যাপ্ত চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে না। এ প্রেক্ষিতে বিষয়টি পুলিশ এবং স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিদের মাধ্যমে সমাধান করার চেষ্টা করেও ব্যর্থ হয়েছেন। বাধ্য হয়ে তারা হাইকোর্টের আশ্রয় নেন।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (1)
মোঃ আকতার হোসেন মীর ১৫ সেপ্টেম্বর, ২০২১, ৫:৪১ পিএম says : 0
মানবতা মরে গেছে ,ভাই বোনের বিচার আদালত করে । কোথায় রইল রক্তের বাধন ,হারিয়ে গেল মায়ার বাধন ।
Total Reply(0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন