শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১, ১৭ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

মহানগর

পরীমনির মামলার প্রতিবেদন দাখিলের নতুন তারিখ ঘোষণা

বিনোদন ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ১৫ সেপ্টেম্বর, ২০২১, ২:৫৯ পিএম | আপডেট : ৬:৫৮ পিএম, ১৫ সেপ্টেম্বর, ২০২১

ঢাকাই চলচ্চিত্রের আলোচিত চিত্রনায়িকা পরীমনির বিরুদ্ধে করা মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনের মামলার তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের জন্য ১০ অক্টোবর দিন ধার্য করেছেন আদালত। বুধবার (১৫ সেপ্টেম্বর) মামলার তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের দিন ধার্য ছিল। কিন্তু মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা প্রতিবেদন দাখিল করেননি। এজন্য ঢাকা মহানগর হাকিম প্রতিবেদন দাখিলের জন্য নতুন দিন ধার্য করেন। এ সময় আদালতে উপস্থিত ছিলেন পরীমনি।

এদিন বেলা পৌনে ১১টায় আদালতে হাজিরা দিতে যান পরীমনি। নিজের নিরাপত্তার কথা ভেবে পরীমনি নিজেই হাজতখানার গেট দিয়ে প্রবেশ করেন। এ সময় পুলিশ ও তার কিছু আত্মীয় হাজতখানার ভেতরে প্রবেশ করেন। এসময় তার হাতে দেখা যায় লেখা, ‘লাভ মি মোর’। আগেরবারের মতোই এবারের লেখাটিও নজর কাঁড়ে সবার।

আদালতে হাজিরা দিতে এসে পরীমনি বলেন, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী যখন আমার বাসায় অভিযান পরিচালনা করে, তখন সব ড্রয়ার ও আসবাবপত্র তছনছ করে ফেলে। এমনকি প্রেসক্রিপশনসহ আমার ওষুধের বক্সটা পর্যন্ত তারা নিয়ে যায়। তিনি আরও বলেন, আমার গাড়িসহ অন্যান্য জিনিসের কোনো কাগজপত্র আমার কাছে নেই। বাসায় আমি ছাড়া আর আমার কোনো কিছুই নেই।

এর আগে আজ (১৫ সেপ্টেম্বর) পরীমনি ইস্যুতে হাইকোর্টে লিখিতভাবে ক্ষমা প্রার্থনা করেছেন বিচারিক আদালতের দুই হাকিম দেবব্রত বিশ্বাস ও আতিকুল ইসলাম। ‘প্রয়োজন না থাকলেও’ এই চিত্রনায়িকাকে দ্বিতীয় ও তৃতীয় দফায় রিমান্ডের আদেশ দেওয়ার কারণে ক্ষমা চেয়েছেন তারা। লিখিতভাবে বলেছেন, ভবিষ্যতে রিমান্ডের আদেশ দেওয়ার ক্ষেত্রে আরও সতর্ক থাকবেন।

বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলাম ও বিচারপতি কে এম জাহিদ সারওয়ার কাজলের হাইকোর্ট বেঞ্চ গত ১ সেপ্টেম্বর মন্তব্য করেছেন, ‘চিত্রনায়িকা পরীমনির ক্ষেত্রে রিমান্ডের অপব্যবহার করা হয়েছে। দ্বিতীয় ও তৃতীয় দফা রিমান্ডের কোনো প্রয়োজন ছিল না। তারপরও তদন্ত কর্মকর্তা আবেদন করলেন আর বিচারক তা দিয়ে দিলেন। এমনটা চলতে পারে না।’ তার প্রেক্ষিতে আজ ক্ষমা চাইলেন পরীমনির রিমান্ডের আদেশ দেয়া বিচারিক আদালতের দুই হাকিম দেবব্রত বিশ্বাস ও আতিকুল ইসলাম।

উল্লেখ্য, গত ৪ আগস্ট রাজধানীর বনানীতে পরীমনির বাসায় অভিযান চালায় র‍্যাব। সেদিন বিদেশি মদসহ বিপুল পরিমাণ মাদকদ্রব্য জব্দের দাবি করে বাহিনীটি। পরের দিন বনানী থানায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা করে র‌্যাব। ওই মামলায় পরীমনিকে আদালতে তোলা হয়। আদালত পরীমনিকে প্রথম দফায় ৪ দিনের রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের আদেশ দেয়। পরে তাকে আবারও দুই দফায় তিন দিনের রিমান্ডে পাঠায় আদালত।

গত ৩১ আগস্ট ঢাকা মহানগর দায়রা জজ কেএম ইমরুল কায়েশের আদালত ৫০ হাজার টাকার মুচলেকায় পরীমনির জামিন মঞ্জুর করেন। ওই দিন পরীমনির পক্ষে জামিন শুনানি করেন তার আইনজীবী মজিবুর রহমান, নীলাঞ্জনা রিফাত সুরভী, কামরুজ্জামান চৌধুরীসহ আরও অনেকে। অপরদিকে রাষ্ট্রপক্ষ থেকে তার বিরোধিতা করেন। উভয়পক্ষের শুনানি শেষে আদালত জামিনের আদেশ দেন। পরদিন গাজীপুরের কাশিমপুর কেন্দ্রীয় মহিলা কারাগার থেকে কারামুক্তি হন পরীমনি।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন