শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ১৮ রমজান ১৪৪৫ হিজরী

জাতীয় সংবাদ

সুন্দরবন রক্ষায় গণভোট দাবি শত নাগরিক জাতীয় কমিটির

প্রকাশের সময় : ৮ অক্টোবর, ২০১৬, ১২:০০ এএম

স্টাফ রিপোর্টাও : রামপালে কয়লা ভিত্তিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণ করা হবে কি হবে না, সেই বিষয়ে জনগণের মতামতের জন্য গণভোটের মাধ্যমে জরিপ করতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে শত নাগরিক জাতীয় কমিটি। গতকাল শুক্রবার দুপুরে রাজধানীর পুরানা পল্টনে শত নাগরিক জাতীয় কমিটি আয়োজিত ‘রামপাল তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্র বন্ধের প্রয়োজনীয়তা : হুমকির মুখে সুন্দরবন’ শীর্ষক সেমিনারে বক্তারা এই দাবি জানান।
গণস্বাস্থ্য বোর্ডের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেন, ছোট ছোট বিষয়ে কেনো প্রধানমন্ত্রী কথা বলবেন? আর আমার প্রশ্ন হচ্ছে, ১৯৭২ সালে ১০ জানুয়ারি বঙ্গবন্ধু বুঝতে পেরেছিলেন রামপালে বিদ্যুৎ কেন্দ্র হলে সুন্দবনের ক্ষতি হবে। তবে কেনো বঙ্গবন্ধুর কন্যা হয়ে ‘শেখ হাসিনা’ বুঝতে পারছেন না। বিদ্যুৎ কেন্দ্র সুন্দরবনের আশে-পাশে না করে পূর্ব সীমান্তে করার জন্য সরকারকে পরামর্শ দিয়েছেন জাফরুল্লাহ। তিনি আরো বলেন, রামপালে কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণ হলে বাংলাদেশ শুধু পরিবেশগতভাবে নয়, অর্থনৈতিকভাবেও ক্ষতিগ্রস্ত হবে। শুধু সুন্দরবনকে ধ্বংস করতে নয়, অন্য কোন ষড়যন্ত্রের অংশ হিসেবে ভারত রামপালে বিদ্যুৎ প্রকল্প করতে চাচ্ছে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
বাংলাদেশের সাবেক প্রেসিডেন্ট বদরুদ্দোজা চৌধুরী বলেন, একশ’ বছর পরে হলেও অন্যায়ের বিচার হয়, বঙ্গবন্ধুর হত্যাকারীদের বিচার হয়েছে। রামপালের কয়লাভিত্তিক তাপ বিদ্যুৎকেন্দ্রর জন্য দেশের ও সুন্দরবনের যে ক্ষতি হবে তার জন্যও একদিন তাদেরকে কাঠগড়ায় দাঁড়াতে হতে পারে।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি ও রাষ্ট্রবিজ্ঞানী প্রফেসর এমাজ উদ্দীন আহমদ বলেন, আমরা সরকারের বিরোধিতা করার জন্য কথাগুলো বলছি না। কারণ, সুন্দরবন ধ্বংস হোক এটি কেউ চায় না। আমাদের প্রধানমন্ত্রীও চান না। এটি কোন দলীয় ব্যাপার না, এটি একটি জাতীয় স্বার্থ। তাই জাতীয় স্বার্থে সবাইকে এক হয়ে কথাগুলো বলা উচিত।
তিনি বলেন, এক সময় সুন্দরবনের আয়তন ছিল ১৭ হাজার বর্গ কিলোমিটার, এখন তা এসে দাঁড়িয়েছে ১০ হাজার বর্গ কিলোমিটারে। এই ক্রান্তিকালে আমাদের দেশে সুন্দরবনকে ধ্বংস করার যে পরিকল্পনা করা হচ্ছে তা দুঃখজনক। হাজার প্রজাতির প্রাণী আর উদ্ভিদে সমৃদ্ধ সুন্দরবন আমাদের দেশের প্রহরী। ঝড়-বন্যা জলোচ্ছ্বাসের মতো বড় বড় প্রাকৃতিক দুর্যোগ থেকে এই বন আমাদের দেশের বড় একটি অংশকে রক্ষা করেছে।
কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের সভাপতি আবদুল কাদের সিদ্দিকী বলেন, প্রধানমন্ত্রীকে বলব বিদ্যুৎকেন্দ্র করতে আমাদের আপত্তি নেই, কিন্তু সেটা রামপালে নয়, অন্য কোথাও করুন। তিনি বলেন, বিদ্যুৎকেন্দ্র আমাদের দরকার আছে, সুন্দরবনেরও প্রয়োজন আছে।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ভিসি ড. এমাজ উদ্দীন আহমদের সভাপতিত্বে এতে আরো বক্তব্য রাখেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক প্রো-ভিসি আ ফ ম ইউসুফ হায়দার, ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের একাংশের সভাপতি কবি আবদুল হাই শিকদার প্রমুখ।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন