যুক্তরাষ্ট্রকে আফগানিস্তানের অর্থনীতি, গণজীবিকা, শান্তি ও পুনর্গঠনে বাধা না-দেয়ার আহ্বান জানিয়েছে চীন। বুধবার চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র চাও লি চিয়ান বেইজিংয়ে এক নিয়মিত সাংবাদিক সম্মেলনে এ আহ্বান জানান। এদিকে, পাকিস্তান বিশ্বকে তালেবান নেতৃত্বাধীন আফগানিস্তানের সাথে সম্পৃক্ত হওয়ার আহ্বান জানিয়ে বলেছে, দক্ষিণ এশিয়ার দেশটির সঙ্গে তার সম্পর্কের পুনর্মূল্যায়ন করার সময় যুক্তরাষ্ট্রের বার্তা শুনতে হবে। বুধবার পাকিস্তানের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা মুয়িদ ইউসূফ এ আহ্বান জানান।
জানা গেছে, গত ১৩ সেপ্টেম্বর আফগান তালিবানের মুখপাত্র বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের উচিত আফগানিস্তানের জব্দ করা অর্থ ও সম্পদ ছেড়ে দেওয়া। কারণ, এসব সম্পদ আফগান জনগণের। এ প্রসঙ্গে জনাব চাও বলেন, তালিবান মুখপাত্র ঠিকই বলেছেন, এসব সম্পদ আফগানীদের। অযৌক্তিকভাবে আফগান অর্থ-সম্পদ আটকে রাখা যুক্তরাষ্ট্রের উচিত নয়। এদিকে, পাকিস্তানের রাজধানী ইসলামাবাদে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে মুয়িদ ইউসূফ বলেন, আমরা নিশ্চিত করার চেষ্টা করছি যে, বিশ্ব যেন অতীতের ভুলগুলো আবার না করার গুরুত্ব বুঝতে পারে। তিনি আরও বলেন, আমাদের জন্য, আফগানিস্তানে শান্তি ও স্থিতিশীলতা চাওয়া অপরিহার্য, সেদিকেই আমরা মনোনিবেশ করছি। তিনি আরও বলেন, ওয়াশিংটন এই সপ্তাহে ইঙ্গিত দিয়েছে যে, তারা পাকিস্তানের সাথে তার সম্পর্ক পর্যালোচনা করছে। নতুন তালেবান নেতৃত্বাধীন সরকারের সাথে সম্পর্ক বাড়ানোর বিষয়ে ইসলামাবাদের পরামর্শটি খেয়াল করা উচিত। তিনি বলেন, ‘যদি পুনর্মূল্যায়ন করতে হয়, তাহলে পুনর্মূল্যায়ন করে এই সিদ্ধান্তে পৌঁছাতে হবে যে, পাকিস্তান যা বলছিল তা অর্থপূর্ণ। তাই এখন পাকিস্তান যা বলছে আমাদের উচিত তার সুষ্ঠু শুনানি হওয়া।’
এর আগে আফগানিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আমির খান মোত্তাকি জানিয়েছেন, তালেবান সরকার বিশ্বের যে কোনো দেশের সঙ্গে কাজ করতে আগ্রহী। যুক্তরাষ্ট্রের সেনা প্রত্যাহার প্রক্রিয়ার মধ্যে ১৫ আগস্ট তালেবান কাবুলের নিয়ন্ত্রণ নেয়। এরপর তারা অন্তর্র্বতী সরকার গঠন করে। এখন গোষ্ঠীটি বিশ্ব সম্প্রদায়কে নিজেদের স্বীকৃতি দেয়ার আহ্বান জানাচ্ছে। কিন্তু কোনো দেশ এখনও তাদের স্বীকৃতি দিতে রাজি হয়নি। সূত্র : ট্রিবিউন, সিআরআই।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন