শিক্ষা হচ্ছে যে কোন জাতির অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক অগ্রগতির মূল চালিকাশক্তি। যারা যত বেশী শিক্ষিত তারা ততবেশি উন্নত, সভ্য ও অগ্রসর। কিন্তু দুঃখজনক বাস্তবতা হচ্ছে প্রিয় মাতৃভূমি বাংলাদেশ স্বাধীনতার ৫০ বছর অতিক্রম করলেও এখনো নৈতিকতা সমৃদ্ধ, গঠনমূলক, বিজ্ঞানমূখী ও সার্বজনীন শিক্ষা ব্যবস্থা প্রণয়ন করতে পারেনি। স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীর এই সময়ে এসেও শিক্ষা ব্যবস্থার এই দৈন্যদশা থেকে আমরা উত্তরণ করতে পারিনি। এটি জাতি হিসেবে আমাদের জন্য খুবই দুর্ভাগ্যজনক। বিজ্ঞানভিত্তিক কর্মমুখী শিক্ষাব্যবস্থা প্রণয়ন করতে হবে। আজ শুক্রবার বিকেলে শাহবাগ জাতীয় যাদুঘর চত্বরে ইসলামী শাসনতন্ত্র ছাত্র আন্দোলনের উদ্যোগে জাতীয় শিক্ষা দিবস উপলক্ষ্যে “বিদ্যমান শিক্ষা কাঠামো সংস্কার ও চলমান সঙ্কট নিরসনের দাবিতে শিক্ষা সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ-এর যুগ্ম মহাসচিব গাজী আতাউর রহমান এসব কথা বলেন।
প্রধান অতিথি আরো বলেন, শিক্ষকদের বলা হয় আদর্শ মানুষ গড়ার কারিগর। কিন্তু অত্যন্ত পরিতাপের বিষয় হচ্ছে প্রতিনিয়ত ক্যাম্পাসগুলোতে শিক্ষকদের নির্যাতিত হতে হচ্ছে ছাত্রদের হাতে। ফলে জীবন সংগ্রামে বিপর্যস্ত এই নাবিকরা দুয়েকটি দাবি আদায়ের লক্ষ্যে রাজপথে নামলে প্রশাসনের জলকমানের শিকার হতে হয় তাদেরকে। সুতরাং আদর্শিক ভবিষ্যত প্রজন্ম তৈরি করার জন্য শিক্ষার সকল স্তরে কোরআন ও নামাজ শিক্ষা বাধ্যতামূলক করতে হবে। তবেই আমরা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে পরস্পরের প্রতি শ্রদ্ধা ও স্নেহের পরিবেশ তৈরি করতে পারবে।
সভাপতির বক্তব্যে সংগঠনের কেন্দ্রীয় সভাপতি নূরুল করীম আকরাম বলেন, স্বাধীনতার ৫০ বছরে পা রাখলেও এখনো আমরা শিক্ষার সঙ্কট থেকে বের হতে পারিনি। এখনো সার্বজনীন শিক্ষা কাঠামো প্রণয়নের জন্য আমাদেরকে রাজপথে নামতে হচ্ছে। ইশা ছাত্র আন্দোলন প্রতিষ্ঠার শুরু থেকেই আমরা রাষ্ট্রযন্ত্রকে বিভিন্নভাবে বলে আসছি “আদর্শ ও দক্ষ জাতি গঠনে চাই বিজ্ঞান ভিত্তিক কর্মমুখী সার্বজনীন ইসলামী শিক্ষা ব্যবস্থা। কিন্তু এসব আহ্বানে সরকারের কানে পানি যাইনি যার দরুন আজ শিক্ষা দিবসের এই দিনে বিদ্যমান শিক্ষা কাঠামো সংস্কারের দাবিতে রাজপথে নামতে বাধ্য হয়েছি।
সেক্রেটারী জেনারেল শেখ মুহাম্মাদ আল-আমিন এর সঞ্চালনায় আয়োজিত সমাবেশে সর্বস্তরের শিক্ষার্থীদের পক্ষ থেকে “শিক্ষা সংস্কার প্রস্তাবনা” পেশ করেন সংগঠনের কেন্দ্রীয় সহ-সভাপতি শরীফুল ইসলাম রিয়াদ। বিগত ৫০ বছরে ভঙ্গুর শিক্ষা ব্যবস্থার ওপর তথ্যবহুল “চরম পত্র” পাঠ করেন সেক্রেটারী জেনারেল শেখ মুহাম্মাদ আল-আমিন। সমাবেশে আরো উপস্থিত ছিলেন, জয়েন্ট সেক্রেটারী জেনারেল গাজী মুহাম্মাদ ওসমান গণী, সাংগঠনিক সম্পাদক এম এম শোয়াইব, তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক কে এম শরীয়াতুল্লাহ, প্রকাশনা সম্পাদক ইব্রাহীম হুসাইন, প্রচার ও আন্তর্জাতিক সম্পাদক নূরুল বশর আজিজী, পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় সম্পাদক এম এ হাছিব গোলদার।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন