খুন করে আত্মগোপন, নেওয়া হয় ভারতে পালিয়ে যাওয়ার জন্য চূড়ান্ত প্রস্তুতি। এরইমধ্যে পালিয়ে যাওয়ার মাত্র একদিন আগেই পুলিশের হাতে গ্রেফতার হয়েছেন দক্ষিণ চট্টগ্রামের সাতকানিয়া থানার আলোচিত তারেক হত্যা মামলার অন্যতম এজাহার নামীয় আসামী কিশোর গ্যাং লিডার মোহাম্মদ জুয়েল (২৩)। পুলিশের হাতে গ্রেপ্তার হওয়ার পরদিন বিজ্ঞ আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দিতে উপজেলার ছদাহা ইউনিয়নের মুহুরী পাড়ার সিদ্দিক আহমদের পুত্র তারেককে খুনের বিশদ বিবরণ দিয়েছেন জুয়েল। সাতকানিয়া সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জাকারিয়া রহমান জিকু বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
এর আগে গত ১৫ সেপ্টেম্বর বুধবার রাত আনুমানিক সাড়ে দশটার সময় সাতকানিয়া থানা পুলিশের এস আই মাহবুবুল আলম সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে চট্টগ্রাম শহরের কর্ণফুলী সেতু এলাকা থেকে ছদাহা ইউনিয়নের খোর্দ কেওচিয়া এলাকার মীর আহমদের পুত্র জুয়েলকে গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হয়।
অফিসার ইনচার্জ আনোয়ার হোসেন বলেন, তারেককে খুন করার পর থেকেই জুয়েল আত্মগোপনে চলে যায়। পরবর্তীতে ঢাকায় অবস্থান করে পার্শ্ববর্তী দেশ ভারতে পালিয়ে যাওয়ার জন্য প্রস্তুতি নেয়। ভারত চলে যাওয়ার আগের দিন ঢাকা থেকে চট্টগ্রাম এসে বন্ধু-বান্ধবদের সাথে সাক্ষাত করার প্রাক্কালেই পুলিশের জালে বন্দি হয় সে।
সাতকানিয়া সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জাকারিয়া রহমান জিকু বলেন, হত্যাকান্ডের ঘটনায় এজাহার নামীয় আসামী জুয়েলকে ধরার জন্য পুলিশ দীর্ঘদিন থেকে প্রচেষ্টা চালিয়ে আসছিল। শেষমেষ ভারতে পালিয়ে যাওয়ার মাত্র একদিন আগে পুলিশের জালে আটক হয় জুয়েল। পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে সে খুনের ঘটনায় জড়িত থাকার কথা অকপটে স্বীকার করেন।
এদিকে গত বৃহস্পতিবার বিকেলে চট্টগ্রামের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট কৌশিক আহমেদের আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেয়। এনিয়ে তারেক খুনের ঘটনায় মোট তিন আসামী গ্রেপ্তার হলো। বাকি আসামীদের গ্রেপ্তারে পুলিশ কাজ করছে বলে জানান ওসি আনোয়ার হোসেন।
এর আগে গত চলতি বছর ৮ এপ্রিল বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা সাতটার সময় খোর্দ কেওচিয়ার নুনু ফকিরহাট এলাকায় সন্ত্রাসীদের উপর্যুপরি ছুরিকাঘাতে তারেক নিহত হয়, আহত হয় অপর দুই যুবক। এ ঘটনায় তারেকের পরিবারের পক্ষ থেকে একটি হত্যা মামলা দায়ের করা হয়। সেই মামলার এজাহার নামীয় আসামী ছিল জুয়েল।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন