শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৬ বৈশাখ ১৪৩১, ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

আন্তর্জাতিক সংবাদ

কাবুলে ড্রোন হামলায় বেসামরিক নাগরিক হত্যার দায় স্বীকার করল যুক্তরাষ্ট্র

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ১৮ সেপ্টেম্বর, ২০২১, ৯:৫৯ এএম | আপডেট : ১০:০১ এএম, ১৮ সেপ্টেম্বর, ২০২১

অবশেষে আত্মঘাতী বোমা হামলাকারী ভেবে ড্রোন হামলায় নিরপরাধ ১০ বেসামরিক আফগান নাগরিককে হত্যার কথা স্বীকার করেছে যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষা সদরদপ্তর পেন্টাগন। খবর আনাদোলুর।

আফগানিস্তানের রাজধানী কাবুলে ড্রোন হামলার পর প্রথমে পেন্টাগন জানিয়েছিল, সন্দেহভাজন ইসলামিক স্টেট খোরাসান (আইএস-কে) সদস্যদের গাড়ি লক্ষ্য করে একটি ড্রোন হামলা চালানো হয়েছে। নিহতদের মধ্যে কাবুল বিমানবন্দরে হামলার মূল পরিকল্পনাকারীও রয়েছেন।
যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক বাহিনীর সেন্ট্রাল কমান্ডের তদন্তে দেখা গেছে, ২৯ আগস্ট ওই মার্কিন ড্রোন হামলায় একজন ত্রাণ সহায়তা কর্মী ও তার পরিবারের নয় সদস্য প্রাণ হারান। এর মধ্যে সাতজনই শিশু। সবচেয়ে ছোট শিশু সুমাইয়ার বয়স ছিল মাত্র ২ বছর।
সেন্ট্রাল কমান্ডের জেনারেল কেনেথ ম্যাকেঞ্জি বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্রের গোয়েন্দারা ওই ত্রাণ সহায়তা কর্মীর একটি ব্যক্তিগত গাড়ি শনাক্ত করে ড্রোন হামলা চালানোর আট ঘণ্টা আগে। তারা ভেবেছিল, ব্যক্তিগত গাড়িটি আইএস-কের কোনো আত্মঘাতী হামলাকারীর।
জেনারেল ম্যাকেঞ্জি ওই ড্রোন হামলাকে ‘মর্মান্তিক ভুল’ মন্তব্য করে বলেন, ওই হামলা চালানোর ঘটনায় তালেবানের কাছ থেকে কোনো গোয়েন্দা তথ্য নেওয়া হয়নি।
দেশত্যাগী মানুষের ঢলের মধ্যে গত ২৬ আগস্ট বিমানবন্দরের বাইরে আত্মঘাতী বোমা হামলায় ১৩ মার্কিন সেনাসহ ১৭০ আফগান নিহত হন।
ভয়াবহ ওই হামলার দায় স্বীকার করে আইএসের আফগানিস্তান শাখা আইএস-কেপি। এরপর আইএসকে লক্ষ্য করে আফগানিস্তানে ড্রোন হামলা চালানোর কথা জানায় যুক্তরাষ্ট্র।
গত ২৯ আগস্ট দ্বিতীয় দফায় কাবুল বিমানবন্দরের পাশে ড্রোন হামলার ঘোষণা দেয় মার্কিন সেন্ট্রাল কমান্ড।
যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক সংবাদমাধ্যম ‘নিউইয়র্ক টাইমস’ ও ‘ওয়াশিংটন পোস্ট’র অনুসন্ধানে হামলায় নিহত ওই গাড়িচালকের পরিচয় তুলে ধরা হয়।
তার নাম জেমারি আহমাদি। ৪৩ বছর বয়সী এই ইলেকট্রিক ইঞ্জিনিয়ার আফগানিস্তানে ক্যালিফোর্নিয়াভিত্তিক সংস্থা নিউট্রিশন অ্যান্ড এডুকেশন ইন্টারন্যাশনালে দীর্ঘদিন ধরে কাজ করতেন।
আহমাদি ও তার পরিবারের আরেক সদস্য যিনি মার্কিন সেনাদের কন্ট্রাক্টর হিসেবে কাজ করেছিলেন, তারা যুক্তরাষ্ট্রে শরণার্থী হিসেবে আবেদন করেছিলেন।
আহমাদির পরিবার ও সহকর্মীদের তথ্য অনুযায়ী, যে সাদা সেডান আহমাদি চালাতেন, সেটি নিউট্রিশন অ্যান্ড এডুকেশন ইন্টারন্যাশনালের।
আহমাদির স্বজনদের দাবি, আহমাদি আঙিনায় পৌঁছালে তার ও ভাইয়ের ছেলেরা বের হয়ে আসে এবং গাড়িতে চড়ে বসে। তখনই ড্রোন হামলা চালানো হয়।
নিহত প্রকৌশলীর ভাই আয়মল জানিয়েছেন, তার নিরপরাধ ভাই ও তার শিশু সন্তানসহ ১০ সদস্যকে ড্রোন হামলায় হত্যা কারার ঘটনায় যুক্তরাষ্ট্রের বিরুদ্ধে মামলা করবেন তিনি। মামলায় তিনি তার নিরপরাধ স্বজনদের হত্যার বিচার এবং ক্ষতিপূরণ চাইবেন। মার্কিন হামলায় নিহতদের মধ্যে তার ৩ বছরের মেয়েও ছিল।
নিউইয়র্ক টাইমসের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, আইএস নয়, ভুল করে মার্কিন বাহিনী কাবুলের বাসিন্দা জামারি আহমাদি ও তার পরিবারের সদস্যদের টার্গেট করেছিল। সূত্র : আনাদোলু।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (1)
hamid khan ১৮ সেপ্টেম্বর, ২০২১, ১১:৪২ এএম says : 0
জুলুমবাজ দের আল্লাহ ধংশ করুন।
Total Reply(0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন