শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ১৮ রমজান ১৪৪৫ হিজরী

আন্তর্জাতিক সংবাদ

‘অকাস’ চুক্তি নিয়ে তীব্র ক্ষোভ ফ্রান্সে, যুক্তরাষ্ট্র-বৃটেন থেকে রাষ্ট্রদূতদের তলব

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ১৮ সেপ্টেম্বর, ২০২১, ১০:৪৭ এএম

যুক্তরাষ্ট্র, বৃটেন ও অস্ট্রেলিয়ার মধ্যে অকাস নামের নিরাপত্তা চুক্তি নিয়ে তীব্র ক্ষোভ দেখা দিয়েছে ফ্রান্সে। তারা যুক্তরাষ্ট্র ও অস্ট্রেলিয়ায় নিযুক্ত নিজেদের রাষ্ট্রদূতদের দেশে তলব করেছে। অকাস চুক্তির মধ্য দিয়ে অস্ট্রেলিয়াকে পারমাণবিক শক্তিচালিত সাবমেরিন নির্মাণের প্রযুক্তি হস্তান্তর করতে রাজি হয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। ফলে এর আগে ফ্রান্সের সঙ্গে ১২ টি সাবমেরিন নির্মাণের জন্য ৫০০০ কোটি ডলারের যে চুক্তি করেছিল, তা বাতিল করে দিয়েছে অস্ট্রেলিয়া। এতে ভীষণ ক্ষেপেছে ফ্রান্স। তারা এ ঘটনাকে পিছন থেকে ছুরি মারা বলে আখ্যায়িত করেছে। এ খবর দিয়েছে অনলাইন বিবিসি।

উল্লেখ্য, যুক্তরাষ্ট্র ও বৃটেনের সঙ্গে অস্ট্রেলিয়া যে অকাস চুক্তি করেছে তাকে দেখা হচ্ছে দক্ষিণ চীন সাগরে চীনের প্রভাব বিস্তারের পাল্টা হিসেবে।
বুধবার এ চুক্তির ঘোষণা দেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন, বৃটেনের প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন এবং অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী স্কট মরিসন। এ ঘোষণা দেয়ার মাত্র কয়েক ঘন্টা আগে এ বিষয়ে ফ্রান্সকে জানানো হয়। ফলে এই চুক্তিকে পিছন থেকে ছুরি মারা হিসেবে বর্ণনা করেছেন ফরাসি পররাষ্ট্রমন্ত্রী জ্যাঁ-ইয়েভস লা দ্রিয়ান। তিনি শুক্রবার বলেছেন, প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রনের অনুরোধে যুক্তরাষ্ট্র ও অস্ট্রেলিয়ায় নিযুক্ত ফরাসি রাষ্ট্রদূতদের তলব করা হয়েছে। তিনি আরো বলেন, অকাস চুক্তি মিত্র ও অংশীদারদের মধ্যে সম্পর্কের ক্ষেত্রে অগ্রহণযোগ্য একটি চুক্তি। এতে সরাসরি ক্ষতিগ্রস্ত হবে জোট, আমাদের অংশীদারিত্ব এবং ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলে ইউরোপের গুরুত্ব।
এমন অবস্থায় ফ্রান্সের আপত্তি আমলে নিয়েছে বাইডেন প্রশাসন। হোয়াইট হাউজের এক কর্মকর্তা বলেছেন, অকাস উদ্যোগ নিয়ে অনুশোচনা প্রকাশ করেছে বাইডেন প্রশাসন। শিগগিরই তাদের মধ্যকার মতবিরোধ মিটিয়ে ফেলা হবে। ওয়াশিংটনে অস্ট্রেলিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী মারিজ পাইনে বলেন, তারা ফ্যান্সের হতাশার বিষয়টি বুঝতে পেরেছেন। একই সঙ্গে তাদের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের মর্যাদা অক্ষুন্ন রেখে কাজ করার আশা প্রকাশ করেছেন।
কিন্তু মিত্র দেশগুলোর মধ্যে রাষ্ট্রদূতকে তলব করা অতি মাত্রায় অস্বাভাবিক বিষয়। মনে করা হচ্ছে প্রথমবারের মতো এই দুটি দেশ থেকে রাষ্ট্রদূতদের তলব করেছে ফ্রান্স। এরই মধ্যে যুক্তরাষ্ট্র ও ফ্রান্সের মধ্যে সম্পর্কের একটি সেলিব্রেশন গালা অনুষ্ঠান বাতিল করেছেন ফরাসি রাষ্ট্রদূত। ওই অনুষ্ঠান হওয়ার কথা শুক্রবার।
উল্লেখ্য, যুক্তরাষ্ট্রের সবচেয়ে পুরনো মিত্র প্যারিস। অস্ট্রেলিয়ার সঙ্গে এই চুক্তি করার বিষয়ে তাদেরকে অন্ধকারে রাখার কারণে চরম ক্ষোভ দেখা দিয়েছে ফ্রান্সে। কারণ, এতে বড় অংকের একটি অর্থনৈতিক আঘাত আসবে ফ্রান্সে। ফরাসি কর্মকর্তারা বলেছেন, চুক্তি ঘোষণার মাত্র কয়েক ঘন্টা আগে তারা এ বিষয়ে জানতে পেরেছেন। তাদেরকে বলা হয়েছে, এটা হলো নতুন একটি নিরাপত্তা বিষয়ক চুক্তি। যা বৃটেনসহ তিনটি দেশের মধ্যে সম্পন্ন হয়েছে। এ বিষয়টি ফ্রান্সের কাছে পুরোপুরি বিস্ময়। সূত্র : বিবিসি

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন