সীমান্তে কোনো নাগরিককে হত্যার অধিকার কারও নেই। এটা মানবাধিকার ও আন্তর্জাতিক আইনের সুস্পষ্ট লঙ্ঘন। সীমান্ত হত্যা শূন্যে নামাতে আমাদের পররাষ্ট্রনীতি ও ক‚টনৈতিক তৎপরতা আরও জোরদার করতে হবে। মানবাধিকার সংস্থার মতে, ২০০০-২০১৯ সালের মধ্যে বাংলাদেশ-ভারত সীমান্তে কমপক্ষে ১,১৮৫ বাংলাদেশিকে গুলি বা নির্যাতন করে হত্যা করেছে বিএসএফ। দুই দেশের মধ্যে যে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক রয়েছে সেই সম্পর্ককে আমলে নিয়ে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীকে যথাযথ আচরণ করতে হবে। তাদের বুঝাতে হবে সীমান্তে কোনো যুদ্ধাবস্থা নেই। শুধু মাত্র গুলি করা কোনো সমাধান হতে পারে না। যদি অজ্ঞতাবশত, ভুল করে বা অবৈধভাবে কোনো নাগরিক সীমান্ত অতিক্রম করে তাহলে চুক্তি অনুযায়ী তাদের বিজিবি অথবা স্থানীয় পুলিশের কাছে হস্তান্তর করার ব্যবস্থা করতে হবে। বিভিন্ন সময় বিভিন্ন সভা, সম্মেলন ও সরকারি পর্যায়ের বৈঠকে ভারতীয় কর্তৃপক্ষের সাথে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক উন্নয়ন করতে হবে। প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী সীমান্ত হত্যা শূন্যের কোঠায় নামিয়ে আনতে হবে। পাশাপাশি সীমান্তে নজরদারি বাড়াতে হবে। আমাদের জনগণকে সচেতন করতে হবে, যাতে অবৈধভাবে তারা সীমান্ত অতিক্রম না করে।
আবির হাসান সুজন
শিক্ষার্থী, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন