মঙ্গলবার, ১৬ এপ্রিল ২০২৪, ০৩ বৈশাখ ১৪৩১, ০৬ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

জাতীয় সংবাদ

হাঁটার সুষ্ঠু পরিবেশ ও আধুনিক গণপরিবহন নিশ্চিত করতে হবে

আলোচনা সভায় বক্তারা

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ১৯ সেপ্টেম্বর, ২০২১, ১২:০২ এএম

ব্যক্তিগত গাড়ি নিয়ন্ত্রণ করে হাঁটার সুষ্ঠু পরিবেশ ও আধুনিক গণপরিবহন ব্যবস্থা নিশ্চিত করার আহবান জানিয়েছেন বক্তারা। তারা বলেছেন, পরিকল্পনায় হাঁটা ও গণপরিবহনকে প্রাধান্য না দিয়ে ব্যক্তিগত গাড়িকে প্রাধান্য দেওয়ার ফলে যানজট, জ্বালানী দূষণ এবং দূর্ঘটনা বৃদ্ধি পাচ্ছে। যার ফলে আমাদের শহর দূষণ, যানজট ও অনিরাপদ শহরে পরিণত হচ্ছে।

গতকাল শনিবার ‘বিশ্ব ব্যক্তিগত গাড়িমুক্ত দিবস ২০২১ : নগর পরিকল্পনায় আমাদের ভাবনা’ শীর্ষক আলোচনা সভায় অংশ নিয়ে তারা এই অভিমত ব্যক্ত করেন। ওয়ার্ক ফর এ বেটার বাংলাদেশ (ডাব্লিউবিবি) ট্রাস্টের পরিচালক গাউস পিয়ারীর সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় বক্তৃতা করেন হেল্থ ব্রীজ ফাউন্ডেশন অব কানাডার আঞ্চলিক পরিচালক দেবরা ইফরইমসন, পরিকল্পনাবিদ ও স্থপতি খন্দকার এম আনসার হোসেন, নাসফের সভাপতি হাফিজুর রহমান ময়না, সিয়ামের নির্বাহী পরিচালক মাসুম বিল্লাহ, এসপিকের নির্বাহী পরিচালক এনামুল হক, ডাব্লিউবিবি ট্রাস্টের প্রকল্প কর্মকর্তা মো. আতিকুর রহমান প্রমূখ।

আলোচনা সভায় দেবরা ইফরইমসন বলেন, নগর যাতায়াত ব্যবস্থায় ব্যক্তিগত গাড়িবান্ধব প্রকল্প (ফাইওভার, এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে) থেকে বের হয়ে অযান্ত্রিকযান, পথচারীদের প্রাধান্য দেওয়া প্রয়োজন। পাশাপাশি উন্নত গণপরিবহন ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে হবে। যানজটের কারণে শুধু ঢাকায় দৈনিক ৫০ লাখ কর্মঘণ্টা নষ্ট হচ্ছে। যার আর্থিক তি বছরে প্রায় ৩৭ হাজার কোটি টাকা।
খন্দকার এম আনসার হোসেন বলেন, ঢাকা শহরে বাস, রিকশা, সাইকেল ও হেঁটে যাতায়াত বেশি হলেও এ মাধ্যমগুলো মাত্র ৩০ ভাগ সড়ক ব্যবহারের সুবিধা পাচ্ছে। অথচ সাড়ে ৫ শতাংশ লোকের ব্যক্তিগত গাড়ি আছে। অল্প সংখ্যক এ মানুষের জন্য নগর উন্নয়ন করতে গিয়ে আমরা সাধারন মানুষের অধিকারকে ক্ষুন্ন করছি। আমাদের এলাকা ভিত্তিক উন্নয়নের দিকে মনোনিবেশ করতে হবে।

গাউস পিয়ারী বলেন, ঢাকা শহরে প্রতিদিন প্রায় সাড়ে ৩ কোটি বেশি ট্রিপ হয়। এর মধ্যে হাঁটা ও গণপরিহনে বেশি যাতায়াত হলেও পরিকল্পনায় এ মাধ্যমগুলো উপেক্ষিত। গত ১০ বছরে যানজট নিরসনে আমরা প্রায় ৪৩ হাজার কোটি টাকা খরচ করেছি। কিন্তু তার সুফল মিলছে না। বরং ১০ বছর আগের চেয়ে বর্তমানে গাড়ির গতি কমে দাঁড়িয়েছে ঘন্টায় ৭ কিলোমিটার। নীতিমালা অনুযায়ী পথচারীদের জন্য পায়ে হেঁটে চলার পরিবেশের মানোন্নয়ন, বিশেষত শিশু, মহিলা, বয়স্ক এবং শারীরিক বিশেষ চাহিদাসম্পন্নদের ব্যবহার উপযোগী পরিবেশ নিশ্চিত করার আহবান জানান তিনি।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন