বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১, ১৪ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

সারা বাংলার খবর

যশোরে মহা ধুমধামে ৩ ফুট উচ্চতার ছেলে-মেয়েকে বিয়ে দিলেন এলাকাবাসী

যশোর ব্যুরো | প্রকাশের সময় : ১৮ সেপ্টেম্বর, ২০২১, ৯:৩৯ পিএম

যশোরে মহা ধুমধামে ৩ ফুট উচ্চতার ছেলে-মেয়েকে বিয়ে দিয়েছেন এলাকাবাসী। কনে যশোরের সদর উপজেলার আন্দুলিয়া গ্রামের নাজির মোল্লার মেয়ে ময়না খাতুন। বর একই উপজেলার নরেন্দ্রপুর পোস্ট অফিস এলাকার মৃত আকবার আলীর ছেলে রবিউল ইসলাম। দুজনেরই শারীরিক বিকাশ স্বাভাবিক নয়। স্থানীয়দের উদ্যোগে বর কনে ও অভিভাবকদের সম্মতিতে বিয়ের আয়োজন। ৩ ফুট উচ্চতার এই দু’জনের বিয়ের খবরে আশপাশের গ্রাম থেকে হাজারও লোক ছুটে আসছেন এই নবদম্পতিকে একনজর দেখার জন্য। এলাকাবাসীর এই প্রশংসনীয় উদ্যোগে খুশি নবদম্পতি।

সদর উপজেলার নরেন্দ্রপুর ইউনিয়ন পরিষদের ইউপি সদস্য সুজিত বিশ্বাস বলেন, বর রবিউল ইসলামের বয়স ২৬ বছর হলেও উচ্চতায় তিনি তিন ফুট। আর ৩৬ বছর বয়সী কনে ময়না খাতুনের উচ্চতা লম্বায় তিন ফুট। এলাকাবাসীর সার্বিক সহযোগিতায় বিয়ের গেট সাজিয়ে, প্যান্ডেল নির্মাণ করে ধুমধাম বিয়ে দেওয়া হয়েছে। বিয়েতে দুইটি মাইক্রোবাসসহ ২০ টি মোটরসাইকেল যোগে এই বিয়েতে ৬০ জন বরযাত্রী এসেছিলো। মুসলিম সরিয়াহ অনুযায়ী সকল আনুষ্ঠানিকতা শেষে ১ হাজার ১ টাকায় কাবিনে তাদের বিয়ে সম্পন্ন হয়।

বরের খালু জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, বর রবিউলের জন্ম খুবই দরিদ্র পরিবারে। ছোট্ট বেলা থেকে তার বাবা-মা কেউ নেই। ছোট্ট থেকে আমরাই রবিউলকে মানুষ করেছি। কৃষি কাজ করেই সে জীবিকা নির্বাহ করে আসছে। রবিউলের বিয়ের বয়স হলেও অনেকদিন ধরে বিয়ের জন্য মেয়ে খুঁজে পাচ্ছিলাম না। অবশেষে পাশের আন্দুলিয়া গ্রামে একটি মেয়ে খুঁজে পাই। জানতে পারি ওই গ্রামের নাজির মোল্লার মেয়েও কম উচ্চতার। স্থানীয় ব্যক্তিদের সার্বিক সহযোগিতায় তাদের বিয়ের কাজ সম্পন্ন হয়েছে। বিয়ের পরে নতুন বর-বউকে দেখতে ইউনিয়নের বিভিন্ন গ্রাম থেকে লোকজন আসছে। সেই সাথে তাদের জন্য দোয়াও করছেন দেখতে আসা বিভিন্ন শ্রেণীর এসব মানুষ।

বর রবিউল উচ্ছ্বাস প্রকাশ করে বলেন, আমাদের দুজনের সম্মতিতেই আমাদের বিয়ে হয়েছে। বিয়ে করতে পেরে অনেক আনন্দ লাগছে। দেশবাসীর কাছে এই দম্পতি দোয়া চেয়েছেন। কনে ময়না স্বভাবসুলভ ভঙ্গিতে বলেন, আমাদের বিয়ে খুব ধুমধামে হয়েছে। অনেক ভাল লাগছে। এভাবে বিয়ে হবে কখনো স্বপ্নও দেখেনি। বিয়েতে আসা দুপক্ষের অনেক আনন্দ করেছে। আমাদের জন্য দোয়া করবেন সবাই। বিয়ের অন্যতম আয়োজক স্থানীয় গাজী কামারুল ইসলাম বলেন, আমরা সকলে সহযোগিতা করতে এই বেটে বা খাটো দম্পতির বিয়ে দিয়েছি। সবাই দোয়া করবেন ওদের জন্য। এই প্রকৃতির মানুষের সমাজের মুল স্রোতে আনতে এইভাবেই এলাকাবাসী পরিবার স্বজনদের এগিয়ে আসতে হবে।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন