চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং যুদ্ধবিধ্বস্ত আফগানিস্তানকে আরো সহায়তা দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়ে সন্ত্রাস নির্মূলে ‘প্রাসঙ্গিক পক্ষগুলোর’ প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন। রাষ্ট্রীয় সংবাদ সংস্থা সিনহুয়া গত শুক্রবার একথা জানিয়েছে। চীন আফগানিস্তানের একটি সীমান্তবর্তী দেশ যেখানে তালেবানরা চলতি মাসে একটি নতুন সরকারের নাম ঘোষণা করেছে। মার্কিন নেতৃত্বাধীন বিদেশী বাহিনী সেখানে তাদের ২০ বছরের উপস্থিতি সমাপ্ত করায় গ্রুপটি আগস্টে নিয়ন্ত্রণ পুনরুদ্ধার করে।
সাংহাই কো-অপারেশন অর্গানাইজেশন এবং অন্য একটি আঞ্চলিক গোষ্ঠীর নেতাদের বৈঠকে শি বলেন, আফগানিস্তানকে আরো উন্মুক্ত ও অন্তর্ভুক্তিমূলক হতে হবে এবং মধ্যপন্থী দেশী ও বৈদেশিক নীতি অনুসরণ করতে হবে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং তার মিত্রদের একটি আপাত রেফারেন্স উল্লেখ করে শি যোগ করেন, ‘কিছু দেশের’ উচিত পরিস্থিতির ‘উদ্দীপক’ হিসেবে আফগানিস্তানের ভবিষ্যতের উন্নয়নের জন্য তাদের যথাযথ দায়িত্ব গ্রহণ করা।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, আফগানিস্তানের অর্থনীতি সঙ্কটে রয়েছে এবং একটি মানবিক বিপর্যয় নেমে এসেছে। পশ্চিমা দেশগুলো তালেবানকে তহবিল প্রদান করতে অনিচ্ছুক ছিল এ কারণে যে, এটি মানবাধিকার, বিশেষ করে নারীদের অধিকার রক্ষা করবে।
চীন, যেটি আফগানিস্তানে সাহায্য এবং কোভিড-১৯ ভ্যাকসিনের ডোজের প্রতিশ্রুতি দিয়েছে, সে বলেছে যে, যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশটিকে অর্থনৈতিক ও মানবিক সহায়তা সরবরাহ করা যুক্তরাষ্ট্র এবং তার মিত্রদের কর্তব্য। চীন তার সুদূর পশ্চিমাঞ্চলীয় জিনজিয়াং অঞ্চলের জঙ্গিদের নিয়েও চিন্তিত বলে জানা যায়, যাদের মধ্যে কিছু আফগানিস্তানে অবস্থান করছে, যেখানে তারা দীর্ঘদিন ধরে তালেবানের মিত্র ছিল।
সাংহাই সহযোগিতা সংস্থা চীন, ভারত, কাজাখস্তান, কিরগিজস্তান, রাশিয়া, পাকিস্তান, তাজিকিস্তান এবং উজবেকিস্তানকে নিয়ে। এতে আফগানিস্তান একটি পর্যবেক্ষক রাষ্ট্র। সূত্র : এক্সপ্রেস ট্রিবিউন।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন