বান্দরবানে পর্যটক বাহী গাড়িতে জনসংহতি সমিতি জেএসএস (মূল) সশস্ত্র সন্ত্রাসী কর্তৃক হামলা করা হয়েছে। এ সময় অতর্কিত গাড়ি লক্ষ্য করে ৪০ থেকে ৫০ রাউন্ড গুলি ছোঁড়া হয়। সাথে সাথে যাত্রীদের মধ্যে আতংক ছড়িয়ে পড়ে। হামলায় গাড়ির মধ্যে এলোপাথাড়ি গুলিতে য়ইসিংনু মারমা ও মেহাইসিং মারমা নামক দু’জন মহিলা আহত হয়েছে। আহত দু’জনকে একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। হামলার পর সন্ত্রাসীরা নিরাপদ স্থানে চলে যায়।
ঘটনার পর তৎক্ষনাৎ চট্টগ্রাম ২৪ পদাতিক ডিভিশনের জিওসি, এরিয়া কমান্ডার মেজর জেনারেল মো. সাইফুল আবেদীন বিএসপি, এসজিপি, এনডিসি, পিএসসির নির্দেশে বান্দরবান ৬৯ ব্রিগেডের ব্রিগেডিয়ার জেনারেল জিয়াউল হক পিএসসির সার্বিক মনিটরিং এ সদর সেনা জোন কমান্ডার লে. কর্ণেল আখতার উস সামাদ রাফি কর্তৃক উক্ত এলাকায় সেনবাহিনীর একটি বিশেষ ফোর্স পাঠিয়ে সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে টহল জোরদার করেন।
জানা যায়, বান্দরবান জেলার রুমা উপজেলা থেকে রাঙামাটির রাজস্থলী পোয়াইতি মুখপাড়া এলাকার ১৯ জন পর্যটক ভ্রমণ শেষে ফেরার পথে গত শনিবার দিনগত রাত ৮টার দিকে রাঙামাটি-বান্দরবান সড়কের গলাচিপা নামক স্থানে পৌঁছালে সন্ত্রাসীরা গাড়ি লক্ষ্য করে গুলি ছোড়ে। পরে গাড়িটি কিছুদূর এগিয়ে গেলে সবাই গাড়ি থেকে তাড়াহুড়া করে নেমে বাঙালহালিয়া বাজারে আশ্রয় গ্রহণ করে। বেঁচে যাওয়া পর্যটকদের সেনাবাহিনীর নিরাপত্তায় বাঙালহালিয়া এলাকা হতে অন্য একটি গাড়ি করে তাদের গন্তব্য স্থল রাজস্থলী পোয়াতিমুখে নিরাপদে পৌঁছাতে সহয়তা করা হয়। বর্তমানে সেনাবাহিনী উক্ত এলাকায় টহল জোরদার করেছে। পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে। এ ব্যাপারে বান্দরবান সেনাবাহিনী ব্রিগেড়ের জি টু মেজর মুহাম্মদ এরশাদ উল্লাহ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, পরিস্থিতি বর্তমানে শান্ত রয়েছে। ঘটনাস্থলে নিরাপত্তাবাহিনী মোতায়ন রয়েছে।
এ সংবাদ ছড়িয়ে পড়ার পর অতর্কিত সম্ভাব্য হামলার ভয়ে বান্দরবানে সাধারণ জনগণ ও পর্যটকদের মাঝে আতংক বিরাজ করছে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন