বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১, ১৪ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

ব্যবসা বাণিজ্য

বন্ড লাইসেন্সবিহীন রফতানিপ্রতিষ্ঠানের দুশ্চিন্তা কমছে

অর্থনৈতিক রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ২০ সেপ্টেম্বর, ২০২১, ১২:০৩ এএম

মূল ঋণপত্রের (এলসি) বিপরীতে বাকিতে কাঁচামাল ক্রয়ের জন্য ব্যাক টু ব্যাক ঋণপত্র ইস্যু করা নিয়ে বন্ড লাইসেন্সবিহীন রফতানিকারক প্রতিষ্ঠানের দুশ্চিন্তা আপাতত দূর হচ্ছে। তাদের সমস্যার সমাধানে একটি পর্যালোচনা কমিটি গঠনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার।

জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) বন্ড লাইসেন্সবিহীন রফতানিমুখী প্রতিষ্ঠানের মূল ঋণপত্রের বিপরীতে বাকিতে কাঁচামাল ক্রয়ের জন্য ব্যাক টু ব্যাক ঋণপত্র ইস্যু না করতে গত মাসে বাংলাদেশ ব্যাংককে চিঠি দেয়। তাতে বলা হয়, নন-বন্ডেড প্রতিষ্ঠানের ব্যাক টু ব্যাক ঋণপত্র ইস্যু করা কেন্দ্রীয় ব্যাংকের প্রজ্ঞাপন ও ফরেন এক্সচেঞ্জ গাইডলাইন-বহির্ভূত। এনবিআরের চিঠির পর পোশাক ও বস্ত্র খাতের বন্ড লাইসেন্সবিহীন রফতানিকারকেরা ব্যবসা নিয়ে উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েন। কারণ, ব্যাক টু ব্যাক ঋণপত্র ইস্যু করা না হলে তাঁরা ঋণের ভিত্তিতে দেশি-বিদেশি উৎস থেকে কাঁচামাল সংগ্রহ করতে পারবেন না। তখন নগদ অর্থ ও ভ্যাট দিয়ে স্থানীয়ভাবে কাঁচামাল ক্রয় করে ব্যবসা করা কঠিন হয়ে পড়বে। অবশ্য রফতানিমুখী পোশাকশিল্প মালিকদের সংগঠন বিজিএমইএ ও বিকেএমইএর নেতারা বিষয়টি নিয়ে সরকারের উচ্চমহলে উদ্বেগ জানালে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় গত বুধ ও বৃহস্পতিবার দুটি বৈঠক করে। তাতেই সমস্যা সমাধানে অগ্রগতি হয়।

সচিবালয়ে গত বৃহস্পতিবার বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশির সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত বৈঠকে প্রধানমন্ত্রীর শিল্প ও বাণিজ্যবিষয়ক উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান, বিজিএমইএর সাবেক সভাপতি ও সাংসদ সফিউল ইসলাম, বিকেএমইএর সভাপতি ও সাংসদ এ কে এম সেলিম ওসমান, এনবিআরের সদস্য খন্দকার আমিনুর রহমান, বিজিএমইএর সাবেক সভাপতি সিদ্দিকুর রহমান, বিকেএমইএর সহসভাপতি মোহাম্মদ হাতেম প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। বৈঠকে সিদ্ধান্ত সম্পর্কে বিকেএমইএর সহসভাপতি মোহাম্মদ হাতেম গত শুক্রবার জানান, বন্ড লাইসেন্সবিহীন দুই প্রতিষ্ঠানে ব্যাক টু ব্যাক এলসি হলে এনবিআরের কোনো আপত্তি নেই। এ বিষয়ে বাংলাদেশ ব্যাংককে পুনরায় আরেকটি চিঠি দিয়ে আগের চিঠির কার্যকারিতা স্থগিত করবে এনবিআর।

মোহাম্মদ হাতেম আরো বলেন, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের নেতৃত্বে বাংলাদেশ ব্যাংক, এনবিআর, বিকেএমইএ ও বিজিএমইএর সমন্বয়ে একটি ওয়ার্কিং কমিটি করা হবে। সেই কমিটি রপ্তানিসংক্রান্ত বিভিন্ন সমস্যা চিহ্নিত করার পাশাপাশি আইনের কোথাও কোনো সংশোধনের প্রয়োজন হলে সে বিষয়ে সুপারিশ করবে। সরঞ্জামের জন্য বন্ড টু নন-বন্ড প্রতিষ্ঠানের অনুক‚লে একটি ঋণপত্রের সর্বোচ্চ কত শতাংশ ব্যাক টু ব্যাক ঋণপত্র দেওয়া যাবে, সেই সুপারিশ করবে ওয়ার্কিং কমিটি।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, নিট পোশাকশিল্প মালিকদের সংগঠন বিকেএমইএর ৫০০, তৈরি পোশাকশিল্প মালিকদের সংগঠন বিজিএমইএর ৩৫০, বাংলাদেশ টেরি টাওয়েল অ্যান্ড লিনেন ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যান্ড এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বিটিটিএলএমইএ) ১০৪ সদস্য প্রতিষ্ঠানের বন্ড লাইসেন্স নেই। এসব প্রতিষ্ঠান বছরে প্রায় ৫০০ কোটি ডলারের পণ্য রপ্তানি করে।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন