ছাত্র অধিকার পরিষদের কেন্দ্র কমিটির সদ্য নির্বাচিত সভাপতি বিন ইয়ামিন মোল্লার বিরুদ্ধে শহীদ মিনার অবমাননার অভিযোগ উঠেছে। সভাপতি নির্বাচিত হওয়ার পর গতকাল রোববার প্রথমবারের মত নিজ জেলা কুড়িগ্রামের এসে শহীদ মিনারে নেতাকর্মীদের ফুলেল শুভেচ্ছা গ্রহণ করেন।
এ সময় কুড়িগ্রাম জেলা শহরের ঘোষপাড়াস্থ কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে জুতা পায়ে ওঠার ছবি প্রকাশ হওয়ায় তীব্র প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়েছে আওয়ামী লীগ ও অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীদের মাঝে। একই সঙ্গে জনমনে দেখা দিয়েছে ক্ষোভ। ফেসবুকে নানা প্রতিক্রিয়া দেখিয়েছেন অনেকে। তার নিজ নামের (বিন ইয়ামিন মোল্লা) ফেসবুকে দেয়া পোস্টে দেখা যায় শহীদ মিনারে জুতা পায়ে ফুল নিয়ে দাড়িয়ে- এ দৃশ্য দেখে জেলা যুবলীগের আহবায়ক অ্যাডভোকেট রুহুল আমিন দুলাল ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, এ ধরণের অপরাধ অমার্জনীয়। দেশের প্রতি ভালবাসা, শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা না থাকলে এরকমই হয়। যাদের ভিতর দেশ প্রেম নেই তারা কি ভাবে সাধারণ মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠা করবে। এ ব্যাপারে আইনি পদক্ষেপ নেয়া হবে।
খোঁজ নিয়ে জানাযায়, ররিবার সকালে বিন ইয়ামিন মোল্লা নাগেশ্বরীর নেওয়াশিতে তার নিজ এলাকায় একটি সমাবেশে যোগদিতে যাওয়ার সময় কুড়িগ্রাম ঘোষপাড়ায় আগে থেকে অবস্থানরত নেতাকর্মীরা তাকে স্বাগত জানান। এ সময় জুতা পায়ে নেতাকর্মীসহ শহীদ মিনারে উঠে শুভেচ্ছা বিনিময় করেন।
জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি রাকিবুজ্জামান রাকিব বলেন, বিন ইয়ামিন ছাত্রদের নেতৃত্ব দিতে চান। কিন্তু ছাত্রদের বুকের রক্তে আঁকা শহীদ মিনার কী করে পদদলিত করলেন?
জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি রাজু আহমেদ বিন ইয়ামিনসহ সহযোগীদের বিরুদ্ধে শহীদ মিনার অবমাননার অভিযোগে আইনগত ব্যবস্থা নেয়ার দাবি জানিয়ে বলেন, বিন ইয়ামিনদের শহীদ মিনারের অবমাননা পরিকল্পিত। ভাষা শহীদদের এভাবে অবজ্ঞা মেনে নেয়া যায় না। একই দাবি জানিয়ে জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি ও জেলা ক্রীড়া সংস্থার সাধারণ সম্পাদক সাঈদ হাসান লোবান বলেন, শহীদ মিনার আমাদের ভাষা সংগ্রাম ও চেতনার প্রতীক।
এই শহীদ মিনার অবমানননা মানে জাতিকে অপমান করা। এদেরকে চিহ্নিত করে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া উচিত।
অভিযোগের বিষয়ে বিন ইয়ামিন মোল্লা বলেন, শহীদ মিনারের বেদি বা সিঁড়িতে আমরা জুতা পায়ে উঠিনি। মূল মঞ্চে উঠেছি। ঢাকা শহীদ মিনারের মঞ্চেও অনেকে জুতা পায়ে ওঠে। আপনারা খোঁজনিয়ে দেখতে পারেন।’
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন