মানিকগঞ্জের সিংগাইর উপজেলার তালেবপুর ইউনিয়নের কলাবাগান মাজার সংলগ্ন গাজীখালী নদীর উপর নির্মিত সেতুটি গত বছর বন্যায় ভেঙে যাওয়ায় ধামরাই ও সিংগাইর উপজেলার ১৫টি গ্রামের জনসাধারণ চলাচলে চরম ভোগান্তিতে পড়েছে। এ এলাকায় উৎপাদিত সবজি রাজধানী ঢাকাতে বিক্রি করতে হলে এ সেতুর কারণে প্রায় ৭-৮ কিলোমিটার ঘুরে সিংগাইর সদর দিয়ে রাজধানীতে যেতে হয়। এতে পরিবহন খরচ আগের চেয়ে দ্বিগুণ গুনতে হয়। উপজেলা এলজিইডি অফিস সূত্রে জানা যায়, ২০১৬-১৭ অর্থ বছরে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা মন্ত্রণালয়ের অধীনে উপজেলার তালেবপুর ইউনিয়নের কলাবাগান মাজার সংলগ্ন গাজীখালী নদীর উপর সেতটিু নির্মাণ করা হয়। ৪০ মিটার দীর্ঘ সেতুর প্রাক্কালিক ব্যয় ধরা হয় ৫৬ লক্ষ ৫৮ হাজার ১০৬ টাকা। এটি নির্মাণ কাজ শেষে ২০১৭ সালের ১২ মে মানিকগঞ্জ-২ আসনের সংসদ সদস্য মমতাজ বেগম উদ্বোধন করেন।
গত বছরের বন্যায় গাজী খালী নদীর পূর্বপাশের কলাবাগান মাজার সংলগ্ন সেতুর গোড়ার মাটি ধ্বসে যায়। এর কিছু দিন পর পুরো সেতুটি নদীতে ভেঙে পড়ে। তখন থেকে কর্তৃপক্ষ সংস্কার ও সেতু নির্মাণের কোন উদ্যোগ নেয়নি। ফলে এবারের বর্ষা মৌসুমে সিংগাইর উপজেলার তালেবপুর, ইরতা, নতুন ইরতা, কাংশা, ধামরাই উপজেলার খরারচর, বহুতকূল, আটি মাঠাইনসহ ১৫টি গ্রামের হাজার হাজার জনসাধারণের একটি সেতুর কারণে চলাচলের জন্য মহাদুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে।
এ ব্যাপারে তালেবপুর ইউপি চেয়ারম্যান রমজান আলী বলেন, নদীটি বড় আর সেতুটি ছোট করে নির্মাণ করার কারণে ভেঙেছে। ওখানে বর্ষার পরে নতুন ৬০ মিটারের সেতু দ্রুত নির্মাণ করা হবে। উপজেলা প্রকৌশলী রুবাইয়াত জামান বলেন, শিঘ্রই সয়েল টেস্ট করে দরপত্র আহব্বান মাধ্যমে কার্যক্রম শুরু করা হবে। নতুন ব্রিজের ব্যয় ধরা হয়েছে ৫ কোটি টাকা।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন