মঙ্গলবার, ১৬ এপ্রিল ২০২৪, ০৩ বৈশাখ ১৪৩১, ০৬ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

ইসলামী জীবন

ইসলামী কর্মতৎপরতা

প্রকাশের সময় : ৯ অক্টোবর, ২০১৬, ১২:০০ এএম

ইসলামী ঐক্য আন্দোলন
১. ভারতকে কয়লা বিক্রির সুবিধা দেয়া ছাড়া রামপাল বিদ্যুৎ কেন্দ্রের মাধ্যমে বাংলাদেশের জনগণের কোনো কল্যাণ হবে না। সুস্থ বিবেক সম্পন্ন কোনো মানুষ এ পর্যন্ত এ প্রকল্পের পক্ষে কথা বলেছেন বলে পত্র-পত্রিকায় প্রমাণ নেই। এরপরও ক্ষমতাসীনরা ভারতের একটি দুর্নীতিগ্রস্ত কোম্পানিকে উক্ত বিদ্যুৎ প্রকল্প করতে দেয়ার জেদ দেখালে তার পরিণতি অত্যন্ত ভয়াবহ হতে পারে।
সম্প্রতি জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে ইসলামী ঐক্য আন্দোলন ঢাকা মহানগরীর উদ্যোগে রামপাল বিদ্যুৎ প্রকল্প বাতিল ও সুন্দরবন রক্ষার দাবিতে মানববন্ধনে নেতৃবৃন্দ উপরোক্ত মন্তব্য করেন। সংগঠনের মহানগর আমির মোস্তফা বশীরুল হাসানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত মানববন্ধনে প্রধান অতিথি ছিলেন আন্দোলনের আমির ড. মওলানা মুহাম্মদ ঈসা শাহেদী, বক্তব্য রাখেন নায়েবে আমির মওলানা রুহুল আমীন, জয়েন্ট সেক্রেটারি অধ্যাপক মোস্তফা তারেকুল হাসান, সাংগঠনিক সম্পাদক ডা. সাখওয়াত হুসাইন, বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক মওলানা মাহফুজুর রহমান, মওলানা ফারুক আহমদ, মওলানা আবুবকর সিদ্দিক, মাওলানা মুহিব্বুল্লাহ ভূঁইয়া, আজমল হোসেন, ছাত্রনেতা আবদুল কাদির প্রমুখ।
ইসলামী ঐক্য আন্দোলনের নেতৃবৃন্দ আরো বলেন, রামপাল বিদ্যুৎ প্রকল্প বাস্তবায়িত হলে তা সুন্দরবনের বনাঞ্চল, পরিবেশ ও জীবসম্পদের জন্য ভয়াবহ পরিস্থিতি ডেকে আনবে। এমনকি দীর্ঘমেয়াদে সুন্দরবনের অস্তিত্বকে বিপন্ন করবে। নেতৃবৃন্দ বলেন, ভয়ঙ্কর ব্যাপার হচ্ছে এই প্রকল্প হবে কয়লাভিত্তিক, যার নির্মাণ পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে নিরুৎসাহিত করা হয়, এটি কোনোভাবেই পরিবেশবান্ধব নয় এবং মানুষ ও জীববৈচিত্রের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর।
নেতৃবৃন্দ বলেন, কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র অন্যান্য ধরনের যেকোনও ধরনের বিদ্যুৎ কেন্দ্র থেকে বেশি কার্বন-ডাই-অক্সাইড ছাড়ে পরিবেশে। এছাড়া রয়েছে বিষাক্ত সালফার ডাই-অক্সাইড, নাইট্রোজেন ডাই-অক্সাইড, ক্যাডমিয়াম, লেড, ছাই ইত্যাদি গ্যাস ও ভারী ধাতুর পরিবেশে নির্গমন, ফলে এসিড-বৃষ্টি অবধারিত, ফলে অনায়সে ধসে পড়বে সুন্দরবনের বিভিন্ন গাছগাছালি ও প্রাণীদের জীবনচক্র, তাদের খাদ্য ও বায়ু বিষাক্ত হয়ে পড়বে। ফলে দেখা দিবে ক্যান্সারসহ নানা ধরনের দুরারোগ্য ব্যাধি। তারা আরও বলেন, এ প্রকল্প হাতে নেয়ার আগে জনমত যাচাই করা উচিত ছিল। অবিলম্বে রামপাল বিদ্যুৎ প্রকল্প বাতিল করে সুন্দরবন রক্ষার দাবি জানান সংগঠনের নেতারা।
২. ইসলামী ঐক্য আন্দোলনের আমির ড. মওলানা মুহাম্মদ ঈসা শাহেদী ও সেক্রেটারি জেনারেল ড. মওলানা মুহাম্মদ এনামুল হক আজাদ এক যুক্ত বিবৃতিতে ফারাক্কা বাঁধের সবগুলো গেইট এক সঙ্গে খুলে দিয়ে ভারত সরকার বাংলাদেশের উপর যে ভয়াবহ পানি আক্রমণ চালিয়েছে তা থেকে আত্মরক্ষার জন্যে জরুরি ভিত্তিতে বিষয়টি জাতিসংঘসহ আন্তর্জাতিক ফোরামে উত্থাপনের জন্য সরকারের প্রতি দাবি জানিয়েছেন। তারা বলেন, এই অবস্থার ফলে পদ্মা নদীর আশপাশসহ দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চল আকস্মিক বন্যা কবলিত হয়ে পড়েছে। বন্যার পানি বিপদসীমা অতিক্রম করায় হাজার হাজার বাড়িঘর, মসজিদ, মাদ্রাসা স্কুল-কলেজসহ বিস্তীর্ণ জনপদ নদী ভাঙনের শিকার হয়েছে। দ্রুত পানি নিয়ন্ত্রণ না করলে পরিস্থিতির আরও ভয়াবহ রূপ নিতে পারে। নেতৃদ্বয় বলেন, এই পরিস্থিতি ভাটির দেশ হিসেবে আমাদের অস্তিত্বের উপর আঘাত এবং মারাত্মক জাতীয় সংকট। এই সংকট মোকাবেলায় সবার সম্মিলিত উদ্যোগ প্রয়োজন।
ইসলামী আন্দোলন
বিতর্কিত শিক্ষানীতি শিক্ষাআইন ও ঈমান বিধ্বংসী সিলেবাস অবিলম্বে বাতিল এবং মসজিদের খুৎবাহ নির্দিষ্টকরণ ও নজরদারির নামে খবরদারি ইসলামী জনতা মেনে নেবে না বলে মন্তব্য করে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ-এর সিনিয়র নায়েবে আমীর মুফতি মুহাম্মদ ফয়জুল করীম বলেছেন, ৯২ ভাগ মুসলমানের ঈমান ও আমলের উপর চরম আঘাতকারী এই শিক্ষানীতি, শিক্ষা আইন ও বিতর্কিত সিলেবাস বাতিলে প্রয়োজনে ঈমানদার জনতা জীবন ও রক্ত দিতে প্রস্তুত রয়েছে। বিতর্কিত শিক্ষানীতি, শিক্ষাআইন এবং পাঠ্যসূচির মাধ্যমে বিরানব্বই ভাগ মুসলমানের দেশে মুসলমানিত্ব ধ্বংস করে হিন্দুত্ববাদ প্রতিষ্ঠার স্বপ্ন কোনদিন পূরণ করতে দিবে না মুসলমানরা। ভারতের প্রেসক্রিপশন অনুযায়ী ধর্মনিরপেক্ষ রাষ্ট্র বানানোর চক্রান্ত নিয়ে অতিকৌশলে সিলেবাসের মাধ্যমে নতুন প্রজন্মকে ঈমানহারা করার চেষ্টা করা হচ্ছে।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন