ভারতীয় পুলিশ গতকাল সোমবার সন্ধ্যায় ৩৭ বাংলাদেশী কিশোর-কিশোরীকে বেনাপোল চেকপোস্ট দিয়ে বাংলাদেশে হস্তান্তর করেছে। ভারতে ৩ বছর কারাভোগের পর ১৩ কিশোরী, ২২ কিশোর ও ৪ জন নারীকে দেশে ফেরত পাঠানো হয়। দালালদের মাধ্যমে বিভিন্ন সময় ভালো কাজের প্রলোভনে ভারতে গিয়ে আটক হয় এসব বাংলাদেশী নারী-শিশু ও পুরুষ।
পেট্রাপোল ইমিগ্রেশন পুলিশ ট্রাভেল পারমিটের মাধ্যমে ৩৭ জনকেই বেনাপোল ইমিগ্রেশন পুলিশের কাছে তাদের হস্তান্তর করেন। কিশোর কিশোরীদের বয়স ১২ থেকে ১৮ বছরের মধ্যে। সাড়ে তিন বছর আগে কাজের প্রলোভন দেখিয়ে বিভিন্ন সীমান্ত দিয়ে তাদের ভারতে পাচার করে দালালরা।
রাইটস যশোরের নির্বাহী পরিচালক বিনয় কৃঞ্চ মল্লিক জানান, ভুক্তভোগীরা বিভিন্ন সময় দালালদের খপ্পরে পড়ে সাড়ে তিন বছর আগে দেশের বিভিন্ন সীমান্ত দিয়ে ভারতে ব্যাঙ্গালুর শহরে যান। পরে সেখানকার পুলিশ তাদের আটক করলে ৩ বছর মেয়াদে সাজা হয় তাদের। সাজার মেয়াদ শেষে পরবর্তীতে একটি এনজিও সংস্থা তাদের ছাড়িয়ে নিজেদের শেল্টার হোমে রাখে।
এরপর দুই দেশের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে চিঠি চালাচালির এক পর্যায়ে গতকাল তাদেরকে ট্রাভেল পারমিটের মাধ্যমে দেশে ফেরত আনা হয়েছে।
বেনাপোল চেকপোস্ট ইমিগ্রেশনের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আহসান হাবিব জানান, ১৩ কিশোরী, ২২ কিশোর ও ৪ জন নারীকে ভারতের পেট্রাপোল ইমিগ্রেশন পুলিশ ট্রাভেল পারমিটের মাধ্যমে বেনাপোল ইমিগ্রেশন পুলিশের কাছে হস্তান্তর করেন তাদের। কাগজপত্রের আনুষ্ঠানিকতা শেষে তাদেরকে বেনাপোল পোর্ট থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে। সেখান থেকে জাস্টিস অ্যান্ড কেয়ার ও রাইটস যশোর নামে দুটি এনজিও সংস্থা তাদের গ্রহণ করবে। যেহেতু তারা ভারত ফেরত সেহেতু তাদের ১৪ দিন কোয়ারেন্টিনে থাকতে হবে। তারপর তাদের পরিবারের কাছে হস্তান্তর করবে বলে জানান তিনি।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন