শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৬ বৈশাখ ১৪৩১, ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

সারা বাংলার খবর

৪ বছর গবেষণার পর মিলল স্বীকৃতি

মহসিন রাজু, বগুড়া থেকে : | প্রকাশের সময় : ২১ সেপ্টেম্বর, ২০২১, ১২:০১ এএম

বিভিন্ন জঙ্গলে অনাদরে অবহেলায় আলু প্রজাতির যে ফলটি মানুষের খাদ্য তালিকায় থাকলেও তা কৃষি বিভাগের অনুমোদিত ছিল না। তবে বাংলাদেশের কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউটের একদল বিজ্ঞানী ৪ বছর ধরে নিরলস গবেষণা করে এর খাদ্য ও পুষ্টিমান এবং ওষধি গুণের সমাহার দেখে এটিকে সার্টিফাই করেছেন। এর ফলে এটি এখন বারি মেটে আলু-১ ও বারি মেটে আলু-২ (সাধারন্যে এটি গাছ আলু হিসেবে পরিচিত ) নামে পরিচিত করে বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনিস্টিটিউটের কন্দাল ফসলের অন্তর্ভুক্ত করেছে। এটি এখন চাষিরা বাণিজ্যিকভাবে চাষাবাদ করে লাভবান হবেন বলে মন্তব্য বিজ্ঞানীদের।

গাছ আলু বা মেটে আলুর গবেষণায় নিয়োজিতদের মধ্যে সিনিয়র সায়িন্টিফিক অফিসার জুলফিকার প্রধান ইনকিলাবকে বলেন, মেটে আলু , গাছ আলু, মো আলুসহ বিভিন্ন নামে এই আলু বাংলাদেশের বিভিন্ন জেলাতেই পাওয়া যেত। মানুষ এসব সংগ্রহ করে রান্না করে বা পুড়িয়ে খেত। তবে যশোর, সাতক্ষীরা, নরসিংদী, কিশোরগঞ্জের পাহাড়ী এলাকায় বাণিজ্যিক ভিত্তিতে অল্প বিস্তব চাষও হতো। এখন কৃষি গবেষণা ইনিিিস্টটিউটে এটা আলু, কচুর মতো কন্দাল ফসলের আনুষ্ঠানিক স্বীকৃতি এর বাণিজ্যিক চাষের পরিধি বাড়াবে।
তিনি বলেন, মেটে আলু-১ ও মেটে আলু-২ এর জাত যেহেতু গবেষণার ফসল সেহেতেু এর ফলন, গুণমান আরও বাড়বে। বিশেষ পাহাড়ী এলাকা বা উঁচু এলাকায় এই আলুর বাণিজ্যিক উৎপাদন সফল হওয়ার সম্ভাবনা খুবই বেশি বলে তারা মনে করছেন কারন এর সেচ, সার বীজ কীটনাশকের খরচ নেই বললেই চলে। জুলফিকার প্রধান আরও বলেন এটা এন্টিঅক্সিডেন্ট গুণে ভরপুর বিধায় ক্যানসার রোধক হিসেবে কাজ করবে বেশি।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (1)
Rabiul Islam Masud ২১ সেপ্টেম্বর, ২০২১, ৬:২২ এএম says : 0
খুব সুন্দর প্রতিবেদন প্রকাশ করার জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ প্রিয় ভাই আমার
Total Reply(0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন