মঙ্গলবার, ১৬ এপ্রিল ২০২৪, ০৩ বৈশাখ ১৪৩১, ০৬ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

আন্তর্জাতিক সংবাদ

দিলীপ ঘোষকে সরিয়ে পশ্চিমবঙ্গ বিজেপির নয়া সভাপতি সুকান্ত মজুমদার

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ২১ সেপ্টেম্বর, ২০২১, ১২:০০ এএম

বিজেপির রাজ্য সভাপতি পদ থেকে সরানো হল দিলীপ ঘোষকে। তার জায়গায় বঙ্গ বিজেপির সভাপতি হচ্ছেন সুকান্ত মজুমদার। সোমবার বিজেপির তরফে এই নয়া নামের বিজ্ঞপ্তি জারি করা হল। এদিকে মুকুল রায়ের ছেড়ে যাওয়া সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি পদে এলেন দিলীপ ঘোষ।
বিজেপির রাজ্য সভাপতি পদে দিলীপ ঘোষের মেয়াদ শেষ হচ্ছে নভেম্বরেই। ইতঃপূর্বে এ পদে একবার তার মেয়াদ বৃদ্ধি করা হয়েছিল। তাই এবার তার বদলে অন্য কাউকে রাজ্যে দলের সংগঠনের নতুন দায়িত্ব দেওয়া হবে তা একপ্রকার নিশ্চিত হয়ে গিয়েছিল। বিজেপির রাজ্য সভাপতি পদে নতুন নাম ঘোষণা ছিল শুধু সময়ের অপেক্ষা।
দিলীপ ঘোষের উত্তরসূরি কে হবেন, তা নিয়ে প্রচুর জল্পনা চলছিল। কেউ কেউ বলছিলেন, লকেট চট্টোপাধ্যায় বসতে পারেন নতুন পদে। কেউ আবার দেবশ্রী রায়চৌধুরীর নাম বলেছিলেন। উঠে এসেছিল বালুরঘাটের সাংসদের নামও। শোনা গিয়েছিল, দিলীপ ঘোষ নিজেই উত্তরসূরি হিসেবে তার নাম প্রস্তাব করেছেন। যদিও এ খবরকে সেই সময় গুজব বলে উড়িয়ে দিয়েছিলেন তিনি। শেষমেশ সেই জল্পনাই সত্যি হল। ‘গুরুদায়িত্ব’ পেয়ে সুকান্ত মজুমদার বলছেন, ‘দিলীপদা বাংলায় বিজেপির ভিত তৈরি করে দিয়ে গেছেন। দিলীপদার পরামর্শ কাজে লাগাব। বঙ্গ বিজেপিকে আরও শক্তিশালী করাই লক্ষ্য’।”
এ প্রসঙ্গে বলে রাখা ভাল, সুকান্ত মজুমদার উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে উদ্ভিদবিদ্যায় পিএইচডি করছেন। রাজনৈতিক মহলের মতে, বঙ্গ বিজেপির ভাবমূর্তি বদলের চেষ্টা করছে কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব। আর তাই দিলীপ ঘোষের বদলে উত্তরবঙ্গের সাংসদকে দলের সংগঠনের দায়িত্ব দেওয়া হল। দায়িত্ব বদল প্রসঙ্গে দিলীপবাবু বলেন, ‘ওঁকে অভিনন্দন জানিয়েছি। পশ্চিমবঙ্গে দল নতুন ভূমিকায় এসেছে। এখানেও তাই পরিবর্তন দরকার’।
উত্তরবঙ্গের সাংসদকে দলের সংগঠনের দায়িত্ব দেওয়ার ঘটনাকে বেশ তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল। ২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনের সময় থেকেই উত্তরবঙ্গে ভিত শক্ত করেছে গেরুয়া শিবির। বিধানসভায় আশানুযায়ী ফল না করলেও উত্তরবঙ্গ পদ্মফুল শিবিরকে নিরাশ করেনি। কিন্তু ভোটের ফলপ্রকাশের পর থেকেই পদ্মের গড়ে ভাঙন দেখা দিয়েছে। বেসুরো একাধিক বিধায়ক। দল ছাড়ার সময় অনেকেই ঠারেঠোরে দিলীপ ঘোষের দিকে অভিযোগের আঙুল তুলেছেন। বিভিন্ন সময় তার আলটপকা মন্তব্যের জেরে বিপাকে পড়েছে দলও। রাজনৈতিক মহলের মতে, দিলীপবাবুর গরুর দুধে সোনা কিংবা হাফপ্যান্ট মন্তব্যে ধাক্কা খেয়েছে বিজেপির ভাবমূর্তি।
আবার সদ্য গেরুয়া শিবিরকে বড় ধাক্কা দিয়ে তৃণমূলে গিয়েছেন বাবুল। তার সঙ্গে দিলীপ ঘোষের সম্পর্ক কার্যত আদায়-কাঁচকলায় বলে দাবি করে থাকেন অনেকেই। বাবুলও ঘুরিয়ে বিজেপির সদ্য প্রাক্তন রাজ্য সভাপতির বিরুদ্ধে তোপ দেগেছেন। এর পরই রাজ্য সভাপতির পদ থেকে সরানো হল তাঁকে, যা অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ। বালুরঘাটের সাংসদ রাজনীতিতে নতুন হলেও আরএসএস ঘনিষ্ঠ হিসেবেই পরিচিত। আবার শিক্ষাগত যোগ্যতার দিক থেকেও দিলীপ ঘোষের তুলনায় এগিয়ে তিনি। স্বাভাবিকভাবে বাংলার বিজেপির ভাবমূর্তি উজ্বল করতে এই বদল অবশ্যম্ভাবী ছিল। সূত্র : সংবাদ প্রতিদিন।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন