শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ১৮ রমজান ১৪৪৫ হিজরী

আন্তর্জাতিক সংবাদ

অকাস : ফ্রান্সকে সমর্থন ইইউ পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ২২ সেপ্টেম্বর, ২০২১, ১২:০১ এএম

নিউ ইয়র্কে অনুষ্ঠিত বৈঠকে সাবমেরিন চুক্তি নিয়ে উত্তেজনায় ফ্রান্সকে সমর্থন ও সংহতি জানিয়েছেন ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের পররাষ্ট্রমন্ত্রীরা। যুক্তরাষ্ট্র ও ব্রিটেনের সাথে গত সপ্তাহে পারমাণবিক শক্তিচালিত সাবমেরিন নির্মাণ বিষয়ক চুক্তি স্বাক্ষর করে অস্ট্রেলিয়া। এতে আগে থেকে ফ্রান্সের সাথে করা ৪০০০ কোটি ডলারের সাবমেরিন বিষয়ক চুক্তি বাতিল করে অস্ট্রেলিয়া। ফলে প্রচন্ড ক্ষোভ দেখা দিয়েছে ফ্রান্সে। এসব নিয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রীরা জাতিসংঘে বিশ্বে নেতাদের সম্মেলনের বাইরে এক রুদ্ধদ্বার বৈঠকে আলোচনা করেছেন। এতে ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের পররাষ্ট্রনীতি বিষয়ক প্রধান জোসেপ বোরেল বলেছেন, ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলে চীন একটি বড় শক্তি হিসেবে উত্থান ঘটাচ্ছে। সেখানে স্থিতিশীল এবং শান্তিপূর্ণ অবস্থান অর্জনের জন্য প্রয়োজন অধিক সহযোগিতা, অধিক সমন্বয় এবং কম বিভেদ। এ বিষয়ে অস্ট্রেলিয়া যে ঘোষণা দিয়েছে, তাতে বিস্ময় প্রকাশ করেছেন বোরেল। অস্ট্রেলিয়ার এ সিদ্ধান্তে ক্ষোভে ফুঁসছে ফ্রান্স। সোমবার দিনের শুরুতে নিউ ইয়র্কে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনকে দায়ী করেন ফরাসি পররাষ্ট্রমন্ত্রী জ্যাঁ-ইয়েভস লা দ্রিয়ান। তিনি বলেন, সাবেক প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্পের একতরফানীতি, অদূরদর্শিতা, নৃশংসতা এবং অংশীদারদের সম্মান না করার নীতিতে চলছে প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের প্রশাসন। উল্লেখ্য, ন্যাটো বাহিনীতে যুক্তরাষ্ট্রের জন্য ফ্রান্স একটি গুরুত্বপূর্ণ মিত্র। তাদের এই ক্ষোভকে প্রশমিত করার কথা বলেছে যুক্তরাষ্ট্র। আগামী কয়েক দিনের মধ্যে টেলিফোনে এ নিয়ে কথা বলার কথা যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন এবং ফরাসি প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রনের। তার আগে ফরাসি পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেছেন, আমরা মিত্র। আমরা আলোচনার সময় কোনো ভিন্ন কৌশল নিয়ে বিস্তারিত বিষয় আড়াল করি না। এ জন্যই এখানে আস্থায় সঙ্কট দেখা দিয়েছে। তাই এখন যা প্রয়োজন তা হলো বিষয়টি পরিষ্কার করা এবং এর ব্যাখ্যা দেয়া। এ জন্য সময় লাগতে পারে। ওদিকে হোয়াইট হাউজের মুখপাত্র জেন পসাকি সোমবার বলেছেন, আমরা প্রত্যাশা করি প্রেসিডেন্ট বাইডেন আমাদের অন্যতম সবচেয়ে পুরনো এবং ঘনিষ্ঠ অংশীদারকে একসাথে কাজ করার প্রতিশ্রæতি পুনর্ব্যক্ত করবেন। এই মিত্রতা বিভিন্ন চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায়, যা বিশ্ব স¤প্রদায় মুখোমুখি হয়। ওদিকে আগামী ১২ই অক্টোবর ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন ও অস্ট্রেলিয়ার মধ্যে বাণিজ্য আলোচনা হওয়ার কথা। তাতে এই বিরোধ কোনো প্রভাব ফেলবে কিনা তা পরিষ্কারভাবে বোঝা যাচ্ছে না। ওদিকে সোমবার নিউ ইয়র্কে অস্ট্রেলিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী মারিজ পাইনে’র সাথে সাক্ষাৎ করেছেন জোসেপ বোরেল। অস্ট্রেলিয়া, ব্রিটেন এবং যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে এই চুক্তি নিয়ে অগ্রসর হওয়ার বিষয়ে জটিলতা খুঁজে পেয়েছেন ইউরোপিয়ান কাউন্সিলের প্রেসিডেন্ট চার্লস মিচেল। নিউ ইয়র্কে তিনি বলেছেন, এই জটিলতা কেন? কারণ, যুক্তরাষ্ট্রে জো বাইডেনের নতুন প্রশাসন। এর পেছনে রয়েছে তারা। নতুন এই প্রশাসন থেকে ঐতিহাসিক বার্তা পাঠানো হয়েছে। রয়টার্স, ডিডবিøউ।

 

 

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন