শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ০৭ বৈশাখ ১৪৩১, ১০ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

জাতীয় সংবাদ

পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠী চাকরিবঞ্চিত

বিসিএস-এ ‘জেলা কোটা’ বাতিল সংবিধান পরিপন্থী উত্তরাঞ্চলের ১৬ জেলার লাখ লাখ শিক্ষিত বেকার চরম হতাশায়

পঞ্চায়েত হাবিব | প্রকাশের সময় : ২৩ সেপ্টেম্বর, ২০২১, ১২:০৩ এএম

সরকারি চাকরিতে নিয়োগের ক্ষেত্রে কোটা পদ্ধতি নিয়ে বিতর্ক থেকেই যাচ্ছে। জেলা কোটা বাংলাদেশের সংবিধানের ২৯(৩)(ক) অনুচ্ছেদের বিধান। কাজেই কোটাভিত্তিক নিয়োগের বিদ্যমান নীতিমালা হতে বিচ্যুত হলে সংবিধান আরোপিত মূলনীতি ক্ষুণ্ন হয়। জেলা কোটা বাতিলের আগে সংবিধান সংশোধন করে সংশ্লিষ্ট অনুচ্ছেদ পরিবর্তন করতে হবে। কিন্তু এখনো তা সংশোধন করা হয়নি। অথচ ৩৪তম বিসিএস থেকে ৩৯তম বিসিএসে জেলা কোটা ছাড়া নিয়োগ দেয়া হয়েছে বলে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে। তবে এ বিষয়ে জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ড. ফরহাদ হোসেনের সঙ্গে ফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি কথা বলেননি। অন্যদিকে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব ভারতে থাকার কারণে তার বক্তব্য পাওয়া যায়নি।

জানতে চাইলে সরকারি কর্ম কমিশনের (পিএসসি) চেয়ারম্যান মো. সোহরাব হোসাইন ফোনে ইনকিলাবকে বলেন, ৩৮তম বিসিএস কোটার ব্যবহার শেষ হয়েছে। সামনে বিসিএসগুলোতে আর সুযোগ নেই। সরকার যদি চায়, তাহলে পিএসসি কোটার সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন করবে।

সংবিধানের ২৯ (১) অনুচ্ছেদে আছে, প্রজাতন্ত্রের কর্মে নিয়োগ বা পদ লাভের ক্ষেত্রে সকল নাগরিকের জন্য সমান সুযোগের সমতা থাকবে। সংবিধানের ২৯(৩)(ক)অনুচ্ছেদে বলা আছে, নাগরিকদের যে কোনো অনগ্রসর অংশ যাহাতে প্রজাতন্ত্রের কর্মী উপযুক্ত প্রতিনিধিত্ব লাভ করিতে পারেন, সেই উদ্দেশ্যে তাহাদের অনুকূলে বিশেষ বিধি প্রণয়ন করা হইতে রাষ্ট্রকে নিভৃত করিবে।

বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিসে নিয়োগ পরীক্ষা গ্রহণের জন্য প্রণীত বিসিএস (বয়স, যোগ্যতা ও সরাসরি নিয়োগের জন্য পরীক্ষা) বিধিমালা-২০১৪ অনুযায়ী বিসিএস-এর ২৬টি ক্যাডারে উপযুক্ত প্রার্থী নিয়োগের উদ্দেশ্যে কমিশন ৩ স্তরবিশিষ্ট পরীক্ষা গ্রহণ করে।
অন্যদিকে বিসিএস পরীক্ষায় জেলা কোটা ও মেধা কোটা থেকে পিছিয়ে পড়েছে উত্তরাঞ্চলের ১৬ জেলার লাখ লাখ ছাত্র-ছাত্রী। জনসংখ্যা অনুযায়ী সরকারি চাকরিতে নিয়োগে ঢাকা জেলার জন্য সর্বোচ্চ ৮ দশমিক ৩৬ শতাংশ এবং বান্দরবান জেলার জন্য সবচেয়ে কম শূন্য দশমিক ২৭ শতাংশ কোটা নির্ধারণ করে দেওয়া হয়েছিল। এদিকে জেলা কোটার দাবিতে উত্তরাঞ্চলের এমপিরা আন্দোলন করবে বলে জানা গেছে।

জাতীয় পাটির চেয়ারম্যান জিএম কাদের ইনকিলাবকে বলেন, আসলে সরকারের উচিত ছিল কোটা কমানো। তা না করে সব বাতিল করা ঠিক হয়নি। এখনো উত্তরাঞ্চলের ১৬ জেলার ছেলে-মেয়েরা মেধাতালিকায় চাকরি পাচ্ছেন না। তাদের জন্য জেলা কোটা রাখা প্রয়োজন।
বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী ইনকিলাবকে বলেন, পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীর জন্য জেলা কোটা আমাদের সরকার চালু করেছিল। বর্তমান সরকার শিক্ষার্থীদের চাকরি দিতে না পেেেয় সব কোটা বাতিল করেছে। যা সংবিধানের ২৯(৩)(ক) অনুচ্ছেদের বিধানের লঙ্ঘন। কাজেই কোটাভিত্তিক নিয়োগের বিদ্যমান নীতিমালা হতে বিচ্যুত হলে সংবিধান আরোপিত মূলনীতি ক্ষুন্নু হয়।

জানা গেছে, ২০০১ সাল থেকে জনসংখ্যার ভিত্তিতে সরকারি চাকরিতে নিয়োগে জেলা কোটা অনুসরণ করেই নিয়োগ কার্যক্রম পরিচালিত হয়ে আসছিল। তার আগে সরকারি চাকরিতে নিয়োগে ৫৬ শতাংশ পদ বিভিন্ন কোটার জন্য সংরক্ষিত ছিল। এর মধ্যে মুক্তিযোদ্ধার সন্তানদের জন্য ৩০ শতাংশ, নারী ও জেলা কোটা ১০ শতাংশ করে, ৫ শতাংশ কোটা রাখা ছিল ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর জন্য, আর প্রতিবন্ধীদের জন্য ছিল এক শতাংশ কোটা। বাকি ৪৪ শতাংশ মেধা কোটায় বরাদ্দ ছিল। ২০১৭ সালের ২০ জুন ৩৪তম বিসিএসের নিয়োগ বিজ্ঞপ্তিতে কোটা পদ্ধতি প্রকাশ করা হয়েছিল। এর পরে যেসব বিসিএস পরীক্ষা হয়েছে এতে কোটার ব্যবহার আর হচ্ছে না। তবে ৩৪তম বিসিএসের ফলাফলের মধ্য দিয়ে দীর্ঘ সময় ধরে চলে আসা কোটা যুগের অবসান হয়েছে। তবে ৩৪ তম বিসিএস থেকে ৩৯তম বিসিএসে জেলা কোটা সুযোগ বাতিল করা হয়েছে। আগামীতে ৪২তম বিশেষ বিসিএসে জেলা কোটার সুযোগ রাখা হয়নি।

এদিকে জেলা কোট না থাকায় দেশের পিছিয়ে পড়া ও অনুউন্নত কুড়িগ্রাম, লালমনিরহাট, নীলফামারী, দিনাজপুর, ঠাকুরগাঁও, পঞ্চগড়, রংপুর, গাইবান্ধা, বগুড়া, নাটোর, পাবনা, জয়পুরহাট, রাজশাহী, চাপাইনবাবগঞ্জ ও সিরাজগঞ্জ জেলার লাখ লাখ শিক্ষিত বেকার ছাত্র-ছাত্রী সরকারি চাকরিতে জেলা কোট থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। আবার মেধাকোটা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। তবে জেলা কোটা তুলে দেয়ার কারণে কুমিল্লা, নোয়াখালী, গোপালগঞ্জ ও ফরিদপুরসহ বিশেষ কয়েকটি জেলার চাকরি প্রার্থীরা সরকারি চাকরিতে নিয়োগের বেশি সুযোগ পাচ্ছেন।

ঢাকা বিভাগ : ঢাকা জেলা ৮ দশমিক ৩৬ শতাংশ, গাজীপুর ২ দশমিক ৩৬, মানিকগঞ্জ শূন্য দশমিক ৯৭, মুন্সীগঞ্জ এক শতাংশ, নারায়ণগঞ্জ ২ দশমিক ০৫, নরসিংদী ১ দশমিক ৫৪, ফরিদপুর ১ দশমিক ৩৩, গোপালগঞ্জ শূন্য দশমিক ৮১, মাদারীপুর শূন্য দশমিক ৮১, রাজবাড়ী শূন্য দশমিক ৭৩, শরিয়তপুর শূন্য দশমিক ৮০, কিশোরগঞ্জ ২ দশমিক ০২ এবং টাঙ্গাইল ২ দশমিক ৫০ শতাংশ কোটা পেয়েছে। ময়মনসিংহ বিভাগ : জনসংখ্যা অনুযায়ী ময়মনসিংহ ৩ দশমিক ৫৫, জামালপুর ১ দশমিক ৫৯, নেত্রকোণা ১ দশমিক ৫৫ এবং শেরপুর জেলা শূন্য দশমিক ৯৪ শতাংশ কোটা পেয়েছে। চট্টগ্রাম বিভাগ : চট্টগ্রাম ৫ দশমিক ২৯, বান্দরবান শূন্য দশমিক ২৭, কক্সবাজার ১ দশমিক ৫৯, ব্রাহ্মণবাড়িয়া ১ দশমিক ৯৭, চাঁদপুর ১ দশমিক ৬৮, কুমিল্লা ৩ দশমিক ৭৪, খাগড়াছড়ি শূন্য দশমিক ৪৩, ফেনী এক শতাংশ, লক্ষ্মীপুর ১ দশমিক ২০, নোয়াখালী ২ দশমিক ১৬ এবং রাঙামাটি জেলায় শূন্য দশমিক ৪১ শতাংশ কোটা নির্ধারণ করা হয়েছে। রাজশাহী বিভাগ: রাজশাহী ১ দশমিক ৮০, জয়পুরহাট শূন্য দশমিক ৬৩, পাবনা ১ দশমিক ৭৫, সিরাজগঞ্জ ২ দশমিক ১৫, নওগাঁ ১ দশমিক ৮১, নাটোর ১ দশমিক ১৮, চাঁপাইনবাবগঞ্জ ১ দশমিক ১৪ এবং বগুড়া জেলা ২ দশমিক ৩৬ শতাংশ কোটা পেয়েছে। রংপুর বিভাগ: রংপুর ২ শতাংশ, দিনাজপুর ২ দশমিক ০৮, গাইবান্ধা ১ দশমিক ৬৫, কুড়িগ্রাম ১ দশমিক ৪৪, লালমনিরহাট শূন্য দশমিক ৮৭, নীলফামারী ১ দশমিক ২৭, পঞ্চগড় শূন্য দশমিক ৬৯ ও ঠাকুরগাঁওয়ের কোটা শূন্য দশমিক ৯৭ শতাংশ। খুলনা বিভাগ: খুলনা ১ দশমিক ৬১, যশোর ১ দশমিক ৯২, ঝিনাইদহ ১ দশমিক ২৩, মাগুরা শূন্য দশমিক ৬৪, নড়াইল শূন্য দশমিক ৫০, বাগেরহাট ১ দশমিক ০২, সাতক্ষীরা ১ দশমিক ৩৮, চুয়াডাঙ্গা শূন্য দশমিক ৭৮, কুষ্টিয়া ১ দশমিক ৩৫ এবং মেহেরপুর জেলা শূন্য দশমিক ৪৫ শতাংশ কোটা পেয়েছে। বরিশাল বিভাগ: বরিশাল ১ দশমিক ৬১, ভোলা ১ দশমিক ২৩, ঝালকাঠি শূন্য দশমিক ৪৭, পিরোজপুর শূন্য দশমিক ৭৭, বরগুনা শূন্য দশমিক ৬২ এবং পটুয়াখালী ১ দশমিক ০৭ শতাংশ কোটা পেয়েছে। সিলেট বিভাগ: সরকারি চাকরিতে নিয়োগে সিলেটে ২ দশমিক ৩৮, মৌলভীবাজারে ১ দশমিক ৩৩, সুনামগঞ্জে ১ দশমিক ৭১ এবং হবিগঞ্জের জন্য ১ দশমিক ৪৫ শতাংশ জেলা কোটা নির্ধারণ করে দেওয়া হয়েছে।

জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের বিদ্যমান কোটা পদ্ধতির যৌক্তিকতা শীর্ষক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে জেলা কোটা বাংলাদেশের সংবিধানের ২৯(৩)(ক) অনুচ্ছেদের বিধান। কাজেই কোটাভিত্তিক নিয়োগের বিদ্যমান নীতিমালা হতে বিচ্যুত হলে সংবিধান আরোপিত মূলনীতি ক্ষুন্নু হয়। এক সময় বিসিএসে কত জনকে কোটায় আর কত জনকে মেধায় নিয়োগ দেওয়া হলো, তা প্রকাশ করা হতো। কিন্তু ৩৪তম বিসিএস থেকে তা আর প্রকাশ করা হচ্ছে না বলে পিএসসি সূত্রে জানা গেছে।

জানা গেছে, কোটা কমানোর দাবিতে ২০১৮ সালে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ও চাকরি প্রার্থীরা কঠোর আন্দোলন গড়ে তোলেন। বাংলাদেশ সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদ নামের একটি সংগঠন এতে নেতৃত্ব দেয়। আন্দোলনে অচল হয়ে পড়ে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় ও কলেজ। আন্দোলনের এক পর্যায়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২০১৮ সালের ১১ এপ্রিল সংসদে বলেন, সরকারি চাকরিতে কোটা পদ্ধতিই আর রাখা হবে না। তবে পরে সংসদে তিনি বলেন, কোটা পদ্ধতি থাকবে। মুক্তিযোদ্ধা কোটা ৩০ শতাংশ রাখতে হাইকোর্টের রায় আছে। আন্দোলনের একপর্যায়ে সরকারি চাকরিতে বিদ্যমান কোটা পদ্ধতি পর্যালোচনা করতে তৎকালীন মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোহাম্মদ শফিউল আলমের নেতৃত্বে ২০১৮ সালের ২ জুন একটি কমিটি গঠন করা হয়। ২০১৮ সালের ৩ অক্টোবর প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণির সরকারি চাকরিতে কোটা বাতিল করে মেধার ভিত্তিতে নিয়োগ দেওয়ার প্রস্তাব অনুমোদন দেয় মন্ত্রিসভা। এর ঠিক পরের দিন নবম গ্রেড ও দশম থেকে ১৩তম গ্রেডে সরাসরি নিয়োগের ক্ষেত্রে বিদ্যমান কোটা পদ্ধতি বাতিল করে আদেশ জারি করে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়। এরপর সরকারি চাকরির নবম থেকে ত্রয়োদশ গ্রেড পর্যন্ত অর্থাৎ, প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণির পদে কোনো কোটা না রেখে মেধার ভিত্তিতে নিয়োগের নিয়ম চালু করতে ২০১৮ সালের ১৭ সেপ্টেম্বর প্রধানমন্ত্রীর কাছে সুপারিশ করে কমিটি। প্রধানমন্ত্রীর অনুমোদন পাওয়ার পর মন্ত্রিসভার বৈঠকে তোলার পর তা পাস হয়। সরকারি চাকরিতে অষ্টম থেকে তার ওপরের দিকে অর্থাৎ প্রথম গ্রেড পর্যন্ত সরাসরি নিয়োগের ক্ষেত্রে কোনো কোটা থাকবে না বলে গত ২০ জানুয়ারি সিদ্ধান্ত দেয় মন্ত্রিসভা।

পিএসসি সূত্র জানায়, কোটা থাকার কারণে অনেক বিসিএসে পদ ফাঁকাই পড়ে থাকত। যোগ্যতার ভিত্তিতে সেখানে কাউকে নিয়োগ করা যেত না। এভাবে ২৮ থেকে ৩৭তম বিসিএসের বিভিন্ন ক্যাডারে প্রায় ৬ হাজার পদ খালিই পড়ে ছিল। কোটার প্রার্থীদের নিয়োগের জন্য ৩২তম বিশেষ বিসিএস নেওয়া হলেও ওই বিসিএসেও মুক্তিযোদ্ধা কোটার ৮১৭টি, মহিলা ১০টি, ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠীর ২৯৮টিসহ মোট ১ হাজার ১২৫টি পদ শূন্য রাখতে হয়। কোটায় পদ পূরণ না হলেও তা সংরক্ষণ করে রাখার নিয়ম ছিল। তবে ৩২তম বিসিএসে উল্লেখযোগ্য সংখ্যক পদ খালি থাকায় কোটার শূন্যপদ সংরক্ষণ করে রাখা নিয়ে পিএসসিতে প্রশ্ন ওঠে। এরপর যোগ্যতা সাপেক্ষে ৩৩তম বিসিএস থেকে কোটা কিছুটা শিথিল করে সরকার।

জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সাবেক সিনিয়র সচিব ড. মোজাম্মেল হক খান বলেন, ২০১১ সালে আদমশুমারির নতুন প্রতিবেদন প্রকাশ হওয়ার পর থেকে বিভিন্ন জেলার জনসংখ্যার হ্রাস-বৃদ্ধি এবং নতুন করে দুটি বিভাগ সৃষ্টি হওয়ায় জেলাওয়ারি পদ বিতরণের শতকরা হার পুনঃনির্ধারণ করা হয়েছে।

রংপুর রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রী রানী বেগম বলেন, জেলা কোটা না থাকলে আমরা বিসিএস পরীক্ষায় পাস করলেও চাকরি পাবো না। কারণ মেধা কোটা সব নিয়ে যাচ্ছে। প্রধানমন্ত্রীর কাছে আমাদের আবেদন আগামীতে যেন জেলা কোটা ফিরে দেয়ার ব্যবস্থা করেন।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন