নারায়ণগঞ্জ শহরের নিতাইগঞ্জ আলামিননগর এলাকায় শীতলক্ষ্যা নদীর পশ্চিম তীরে পপুলার জুট মিল, মাসুদ জুট বেলিং, রহমান ডকইয়ার্ডসহ ২৫টি অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করেছে বিআইডব্লিউটিএ নারায়ণগঞ্জ নদী বন্দর কর্তৃপক্ষ। এসময় আনুমানিক ২ একর নদীর তীরভূমি উদ্ধার করা হয়েছে। এছাড়া প্রায় ২ কিলোমিটার এলাকার ওয়াকওয়ে নির্মাণ জটিলতা নিরসন করা হয়েছে। বুধবার ২২ সেপ্টেম্বর সকাল ১১ টা থেকে বিকেল ৪ টা পর্যন্ত একটি ভেকু (এক্সাভেটর) দিয়ে এসব অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করা হয়।
বিআইডব্লিউটিএ এর নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট শোভন রাংসা এর নেতৃত্বে ভ্রাম্যমান আদালতের অভিযানে আরো উপস্থিত ছিলেন, বিআইডব্লিউটিএ নারায়ণগঞ্জ নদী বন্দরের যুগ্ম পরিচালক শেখ মাসুদ কামাল, উপ পরিচালক মোবারক হোসেন, উপ পরিচালক ইসমাইল হোসেন, সহকারী পরিচালক নাহিদ হোসেন প্রমুখ।
বিআইডব্লিউটিএ'র নারায়ণগঞ্জ নদী বন্দরের যুগ্ম পরিচালক শেখ মাসুদ কামাল বলেন, হাইকোর্টের নির্দেশ অনুযায়ী সিএস জরিপ অনুযায়ী নতুন সীমানা পিলার স্থাপনের কাজ চলছে। পাশাপাশি শীতলক্ষ্যার উভয় তীরেই ওয়াকওয়ে নির্মাণ কাজও শুরু হবে। বেশ কিছু প্রতিষ্ঠানের অভ্যন্তরে নতুন সীমানা পিলার স্থাপন নিয়ে জটিলতা ছিল। সেগুলা নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেটের নেতৃত্বে ঘটনাস্থলে গিয়ে নিরসন করা হচ্ছে। পাশাপাশি নদীর তীরভূমি উদ্ধার করে ওয়াকওয়ে নির্মাণ কাজও যাতে দ্রুত শুরু করা যায় সেলক্ষ্যে নদীর দুই পাশে অবৈধ ভাবে গড়ে উঠা সকল প্রকার অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করা হচ্ছে। নদীর তীরভূমি দখলমুক্ত রাখতে আমাদের উচ্ছেদ অভিযান অব্যাহত থাকবে।
বিআইডব্লিউটিএ সূত্রে জানা গেছে, শীতলক্ষ্যা নদীর নারায়ণগঞ্জের মদনগঞ্জ-সৈয়দপুর এলাকা থেকে রূপগঞ্জের কাঞ্চন ব্রীজ পর্যন্ত ২৪০০ পিলার স্থাপন করা হবে। যার মধ্যে ইতিমধ্যে ৭৬২টি সীমানা পিলার স্থাপন করা হয়েছে। এর মধ্যে সিএস জরীপ অনুযায়ী অসংখ্য সীমানা পিলার বিভিন্ন সরকারি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের অভ্যন্তরে স্থাপন করতে হচ্ছে। যা নিয়ে সৃষ্টি হচ্ছে জটিলতার। এছাড়া শীঘ্রই শীতলক্ষ্যার উভয় তীরে ওয়াকওয়ে নির্মাণ কাজও শুরু হবে বলে জানা গেছে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন