বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০, ১৭ রমজান ১৪৪৫ হিজরী

ব্যবসা বাণিজ্য

কোকা-কোলা বাংলাদেশের ব্যবস্থাপনা পরিচালক হিসেবে নিযুক্ত হলেন তা জি তুং

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ২২ সেপ্টেম্বর, ২০২১, ৭:০০ পিএম

দেশের অন্যতম শীর্ষস্থানীয় পানীয় কোম্পানি কোকা-কোলা বাংলাদেশ লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক হিসেবে যোগদান করলেন তা জি তুং । এই পদে কর্মরত অবস্থায় তুং, কোকা-কোলার পানীয় প্রস্তুতকারী অংশীদার প্রতিষ্ঠান, ক্রেতা ও অন্যান্য অংশীদারদের সাথে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করবেন । ১৫ বছর ধরে তুং কোকা-কোলা সিস্টেমের সাথে কাজ করছেন।

কোকা-কোলা বাংলাদেশে যোগদানের আগে তুং, কোকা-কোলা বেভারেজেস ভিয়েতনাম লিমিটেডের মার্কেট অপারেশনস বিভাগের এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর ছিলেন। ভিয়েতনামে কর্মরত অবস্থায় তিনি ব্যবস্থাপনা টিমের সদস্য ছিলেন, এই টিমের নেতৃত্বেই কোম্পানি-মালিকানাধীন পানীয় প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠানটিকে বিশ্বমানের পর্যায়ে নিয়ে গিয়েছে। যার সুবাদে প্রতিষ্ঠানটি দ্রুত বিকাশের পথে এগিয়ে চলেছে।

২০০৬ সালে আঞ্চলিক ট্রেড মার্কেটিং ম্যানেজার (উত্তর ভিয়েতনাম) হিসেবে কোম্পানিটিতে যোগদান করেন তুং। পরবর্তীতে তিনি একাধিক অপারেশনস ও কমার্শিয়াল পদে দায়িত্ব পালন করেন। কোকা-কোলায় যোগদান করার পূর্বেই তুং “প্রক্টর অ্যান্ড গ্যাম্বল”-এ কর্মরত ছিলেন।

কোকা-কোলা বাংলাদেশের ব্যবস্থাপনা পরিচালক তা জি তুং বলেন, “সাম্প্রতিক বছরগুলোতে জিডিপি-র অসাধারণ প্রবৃদ্ধির মাধ্যমে পৃথিবীকে চমকে দিয়েছে বাংলাদেশ। এ বছর বাংলাদেশের স্বাধীনতার ৫০ বছর পূর্তি উপলক্ষে, কোকা-কোলা কোম্পানি বাংলাদেশের মতো গুরুত্বপূর্ণ একটি বাজারে টেকসই ব্যবসা গড়ে তোলার ওপর বরাবরের মতোই জোর দিতে চায়। এছাড়া, আমাদের পানীয় প্রস্তুতকারী অংশীদার প্রতিষ্ঠান ইন্টারন্যাশনাল বেভারেজেস প্রাইভেট লিমিটেড (আইবিপিএল) ও আবদুল মোনেম লিমিটেড (এএমএল) এবং অন্যান্য অংশীদারদের সাথে কাজ করার সুযোগ পেয়ে আমি অত্যন্ত আনন্দিত। আমরা একযোগে বাংলাদেশের ভোক্তাদের উজ্জীবিত করতে কাজ করে যাবো।”

প্রাতিষ্ঠানিক ডিগ্রির দিক দিয়ে তুং একজন সার্জন এবং বিজনেস গ্র্যাজুয়েট। তিনি ভিয়েতনামের হ্যানয় মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় থেকে নিজের প্রথম ব্যাচেলর অফ সার্জন ডিগ্রি অর্জন করেন। পরবর্তীতে তিনি ভিয়েতনামের হ্যানয় পলিটেকনিক বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বিজনেস ম্যানেজমেন্টে ব্যাচেলর ডিগ্রি এবং ভারতের ব্যাঙ্গালোর বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এমবিএ ডিগ্রি অর্জন করেন। তুং-এর চারজনের ছোট পরিবারে রয়েছে তার স্ত্রী ও দুই কন্যা সন্তান এবং তাঁর স্ত্রী পেশায় একজন আইনজীবী। কাজের পাশাপাশি, তুং টেনিস খেলতে পছন্দ করেন।

সম্প্রতি প্রকাশিত একটি সামাজিক-অর্থনৈতিক প্রভাব বিষয়ক গবেষণা অনুযায়ী, ২০১৯ সালে কোকা-কোলা সিস্টেম, বাংলাদেশে ভ্যালু অ্যাডেড ইমপ্যাক্ট হিসেবে ১২২ কোটি টাকা যোগ করেছে। ভ্যালু অ্যাডেড ইমপ্যাক্ট হলো দেশের সব পরিবার, ব্যবসা ও সরকারের ২০১৯ সালে অর্জিত আয়ের যোগফল, যা বাংলাদেশের মোট জিডিপি-র ০.১১%। এই আয় দেশের অর্থনৈতিক বিকাশে অবদান রাখছে। এছাড়াও, কোকা-কোলা সিস্টেম দেশে প্রায় ২২,১০০ জনের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করেছে। এর মধ্যে ৮৩৩টি প্রত্যক্ষ ও ২১,৩০০টি পরোক্ষ কর্মসংস্থান, যা বাংলাদেশের মোট কর্মসংস্থানের ০.০৩%।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন