মডার্ন সী ফুডের সাবেক কর্মকর্তা উজ্জল কুমার সাহা হত্যা মামলার অন্যতম আসামি ও প্রতিষ্ঠানটির ডিরেক্টর শিল্পপতি মেহেদী হাসান স্টারলিংকে কারাগারে প্রেরণ করেছে আদালত। আজ বুধবার (২২ সেপ্টেম্বর) আত্মসমর্পণ করে জামিনের আবেদন করলে নামঞ্জুর করে এ নির্দেশ দেন মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মোঃ শাহিদুল ইসলাম।
এর আগে গত ২ আগস্ট মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পিবিআই’র সহকারী পুলিশ সুপার মোঃ আমিনুল ইসলাম সিএমএম ম্যাজিস্ট্রেট আমলী ‘ক’ এর আদালতে মেহেদী হাসানসহ নয় জনকে অভিযুক্ত করে চাঞ্চল্যকর এ হত্যা মামলার সম্পূরক চার্জশিট দাখিল করেন।
২০১২ সালের ৭ জুন সকাল পৌনে ১০ টায় নগরীর সামছুর রহমান রোডে মেয়ের স্কুলের সামনে উজ্জল কুমার সাহার ওপর হামলা চালায় সন্ত্রাসীরা। মারাত্মক আহত অবস্থায় তাকে হাসপাতালে ভর্তি করলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যু হয় তার।
এ ব্যাপারে নিহতের ছোট ভাই সুমন কুমার সাহা বাদী হয়ে খুলনা থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন। হত্যাকান্ডের সময় উপস্থিত সকল আসামিকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। এর মধ্যে মামুনকে রিমান্ডে নিলে ১৬৪ ধারায় হত্যাকান্ডের বর্ণনা ও মূল পরিকল্পনাকারীর নাম প্রকাশ করে সে। প্রথম তদন্ত কর্মকর্তা মডার্ণ সী ফুডের ডিরেক্টর মেহেদী হাসান স্টারলিং এর নাম বাদ দিয়ে আদালতে চার্জশিট দাখিল করলে বাদী পক্ষ আদালতে নারাজি দেয়।
২০১৪ সালের ১৩ জানুয়ারি আদালতের নির্দেশে মামলাটি সিআইডি’র কাছে হস্তান্তর করা হয়। সিআইডি’র তদন্ত কর্মকর্তাও মেহেদী হাসান স্টারলিং এর নাম বাদ দিয়ে দ্বিতীয় দফায় আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন।
২০২০ সালের ১৪ ডিসেম্বর খুলনার অতিরিক্ত দায়রা জজ আদালতের আদেশ নং ৪২ মোতাবেক মামলাটির তদন্তভার পিবিআই হেডকোয়ার্টারের সহকারী পুলিশ সুপার মোঃ আমিনুল ইসলামের ওপর ন্যাস্ত হয়। তিনি মামলাটি স্ট্যাডি করেন। সেখানে তিনি দেখেন মডার্ণ সী ফুডের ডিরেক্টর মেহেদী হাসান স্টারলিংয়ের অনৈতিক কার্যকলাপ ফাঁস করায় তার পরিকল্পনায় হত্যা করা হয় উজ্জল কুমার সাহাকে। তিনি গত ২ আগস্ট আদালতে মেহেদী হাসান স্টারলিংয়ের নাম উল্লেখসহ নয়জনের বিরুদ্ধে সম্পূরক চার্জশিট দাখিল করেন। তবে আগের দু’জন কর্মকর্তা কী কারণে তার নাম বাদ দিয়েছিলেন সেটি তার বোধগম্য নয় বলে জানিয়েছেন।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন