সব ধরনের যানবাহন, ট্রেন, জাহাজ ও লঞ্চের হর্ন রয়েছে। কিন্তু কখনো কী বিমানের হর্নের কথা শুনেছেন? প্রশ্ন হতে পারে, বিমানেরও আবার হর্ন! আকাশে তো বিমানজট নেই, তাহলে হর্নের প্রয়োজন কেন? হ্যাঁ প্রয়োজন তো আছে। এই হর্নের যথেষ্ট গুরুত্বপূর্ণ কাজও আছে।
হর্ন নিয়ে মনে একাধিক প্রশ্ন জাগতে পারে। তাহলে কি আকাশে বাজানো হয়? কোনও বিমান কাছাকাছি চলে এলে সতর্ক করতেই সেই হর্ন বাজানো হয়? কিংবা পাখির কবলে পড়ে যাতে বিমান দুর্ঘটনা না হয় তার জন্য বাজানো হয়?
না এসবের কিছুই নয়। আসলে বিমানের হর্ন থাকলেও তা কিন্তু আকাশে ওড়ার সময় ব্যবহার করা হয় না। পাইলটকে হর্ন বাজানোর অনুমতি দেওয়া হয় না। ওড়ার সময় বিমানের হর্ন নিষ্ক্রিয় হয়ে যায়।
তবে বিমানবন্দরে থাকার সময় হর্ন ব্যবহার করা হয়। একমাত্র গ্রাউন্ড ইঞ্জিনিয়াররা যখন ককপিটে থাকেন, তখন গ্রাউন্ড স্টাফদের সঙ্গে যোগাযোগ স্থাপনের জন্য এই হর্ন ব্যবহার করেন। সামনের ল্যান্ডিং গিয়ারের কাছে এই হর্ন থাকে।
বিমানের ককপিটে যে ইনস্ট্রুমেন্ট প্যানেল থাকে সেখানে ‘জিএনডি’ লেখা একটা বোতাম থাকে। এই বোতাম টিপলেই হর্ন বাজে। অনেকটা জাহাজ বা স্টিমারের হর্নের মতো আওয়াজ। তবে বিমানে কোনও আপৎকালীন পরিস্থিতি তৈরি হলে সতর্কতামূলক সঙ্কেত হিসেবে এই হর্ন বাজানো হয়।
হর্নের আওয়াজেরও আবার ধরন আছে। এই নানা ধরনের হর্ন শুধু ইঞ্জিনিয়ারদের জন্যই। বিমানের কোথায় কোন সমস্যা হচ্ছে, বা কী সমস্যা হচ্ছে, হর্নের ধরন শুনে তারা বুঝতে পারেন। এক একটি হর্নের সঙ্গে এক এক রকম আলোও লাগানো আছে। এছাড়া কেবিনে কোনও সমস্যা হলে তার জন্য আলাদা হর্ন আছে।
তবে অত্যাধুনিক প্রযুক্তিসম্পন্ন বিমানের ককপিটেও হর্ন থাকে। নানা রঙের আলোর মাধ্যমে এয়ার ট্রাফিক কন্ট্রোলের সঙ্গে যোগাযোগ করেন পাইলটরা। ওই নানা রঙের আলোকে প্রযুক্তিগত ভাবে বিমানের হর্ন বলাও হয়ে থাকে। সূত্র : এনসিআর নিউজ, টিভি নাইন।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন