প্রতারণার মাধ্যমে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নেওয়া সুইসড্রাম ইন্টারন্যাশনাল প্রাইভেট কোম্পানির পরিচালক কাজী আল-আমিনসহ ১৭ জনকে গ্রেফতার করেছে র্যাব। প্রতারক চক্রটি দেশের বিভিন্ন অঞ্চল ও রাজধানীর বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ এলাকায় জৌলুসপূর্ণ ও আকর্ষণীয় রেস্টুরেন্টে ভিকটিমদের নিয়ে প্রতারণামূলক সভা, সেমিনার, মোটিভেশনাল ওয়ার্কশপ, আকর্ষণীয় লাঞ্চ ও ডিনার পার্টির আয়োজন করতো। অসহায়, নিরীহ অর্ধ-শিক্ষিত এমনকি শিক্ষিত শ্রেণির ভিকটিমরা এ ধরনের জাক-জমকপূর্ণ আয়োজনে প্রলুব্ধ হয়ে খুব সহজেই তাদের প্রতারণার ফাঁদে পা দিতেন এবং নতুন সদস্য অন্তর্ভুক্তির মাধ্যমে চক্রটি বিপুল পরিমাণ অর্থ আত্মসাৎ করতো।
গতকাল র্যাব-৪ এর অধিনায়ক (সিও) অতিরিক্ত ডিআইজি মো. মোজাম্মেল হক জানান, চক্রটি এস-ফ্যাক্টর নামে একটি ওষুধ যা ক্যান্সার, ডায়াবেটিস ও হৃদরোগের ওষুধ বলে প্রচারণা চালিয়ে আসছিল। এমনকি এই ওষুধ করোনা প্রতিরোধ হিসেবে কাজ করে বলেও প্রচার করে তারা।
গ্রেফতারকৃতরা হলো সুইসড্রাম কোম্পানির পরিচালক কাজী আলামিন, মো. সালাউদ্দিন, শেখ মো. আব্দুল্লাহ, মনিরা ইয়াসমিন, মো. জাহিদ হাসান, মো. স্বপন মিয়া, মো. শাহজাহান, মো. মিজানুর রহমান, মো. বাদশা ওরফে সুলাইমান, ইমাম হোসাইন, মো. আব্দুর রাজ্জাক ওরফে আনারুল ইসলাম, মিজানুর রহমান, মো. ফারুক উদ্দিন, আঞ্জমান আরা বেগম, শেখ রবিন, ইমাম হোসাইন ও মোছা. আছমা বেগম।
অভিযানে প্রতারণায় ব্যবহৃত দুইটি ল্যাপটপ, একটি প্রজেক্টর, দুটি সিল, দুটি ব্যানার, চারটি ডায়েরি ও খাতা, একটি রেজিস্ট্রার, কোম্পানির ১২৫টি লিফলেট, প্রতারণায় ব্যবহৃত সুইসড্রাম কোম্পানির ভুয়া ওষুধ ও প্রসাধনী সামগ্রী, সুইসড্রাম কোম্পানির ২৫ সেট ডিস্ট্রিবিউটর ওয়ার্কিং ফাইল, ২৩টি মোবাইল ফোন ও নগদ এক লাখ ২৭ হাজার ১৯৫ টাকা জব্দ করা হয়।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন