খুলনা ব্যুরো : খুলনা মহানগরীর পানি নিষ্কাশন ব্যবস্থাকে বাস্তবসম্মত করতে হলে এবং পানিবদ্ধতা নিরসন করতে হলে ২০০০ সালের জলাধার সংরক্ষণ আইনকে বাস্তবায়ন করতে হবে এবং ২০১০ সালের মহামান্য হাইকোর্টের নদীর সীমানা নির্ধারণ সংক্রান্ত রায়কে বাস্তবায়ন করতে হবে। নদী বাঁচিয়েই লিনিয়ার পার্কসহ যে কোন প্রকল্প সকলের মতামতের ভিত্তিতে গ্রহণ করতে হবে এবং কেসিসির নগর উন্নয়ন প্রকল্পের মনিটরিং এবং সিদ্ধান্ত গ্রহণে নাগরিক সমাজের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করতে হবে। নগরীর ড্রেন এবং খালগুলোকে পরিকল্পিতভাবে খনন করে পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা করতে হবে এবং খুলনার উন্নয়নে কেডিএ, কেসিসিসহ সকল প্রতিষ্ঠানকে ঐকমত্যে আসতে হবে। গতকাল (শনিবার) খুলনার অভিজাত একটি হোটেলে বাংলাদেশ পরিবেশ আইনবিদ সমিতি (বেলা) ‘খুলনার পানি নিষ্কাশন ব্যবস্থা : সংকট এবং করণীয়’ শীর্ষক এক সেমিনারে বক্তারা উপরোক্ত কথাগুলো বলেছেন।
শিক্ষাবিদ অধ্যক্ষ জাফর ইমামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত উক্ত সেমিনারে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন খুলনার জেলা প্রশাসক নাজমুল আহসান। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পরিবেশ অধিদপ্তর খুলনার পরিচালক ড. মল্লিক আনোয়ার হোসেন। সেমিনারের সঞ্চালক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন শিক্ষাবিদ অধ্যাপক আনোয়ারুল কাদির, ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন বেলা ঢাকার প্রতিনিধি এএমএম মামুন এবং প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বেলার বিভাগীয় সমন্বয়কারী মাহফুজুর রহমান মুকুল।
সেমিনারে অন্যান্যের মধ্যে আলোচনা করেন খুলনা নাগরিক সমাজের আহŸায়ক অ্যাড. আবু মহসীন, অ্যাড. কুদরত-ই-খুদা, এসএম শাহনেওয়াজ আলী, কাজী এনায়েত হোসেন, অ্যাড. শামীমা সুলতানা শিলু, অ্যাড. মোমিনুল ইসলাম, মোল্লা শফিকুর রহমান, নিতাই পাল, অধ্যক্ষ মোঃ তারিকুল ইসলাম, অ্যাড. বাবুল হাওলাদার, অ্যাড. পপি ব্যানার্জী, অ্যাড. নুরুন্নাহার পলি, সিডিপি’র বিভাগীয় সমন্বয়কারী এসএম ইকবাল হোসেন, মোঃ আসাদুজ্জামান, প্রভাষক আব্দুল্লাহ আল মাসুদ, শরিফুল ইসলাম সেলিম, নির্বাহী মাহবুব আলম বাদশা ও হাসিনা আক্তার প্রমুখ।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন