মঙ্গলবার, ২৩ এপ্রিল ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১, ১৩ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

মহানগর

বাউবি’র সাবেক ভিসির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে দুদকের চিঠি

সনদ স্বাক্ষরের বিপরীতে ভাতা গ্রহণ

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ২৪ সেপ্টেম্বর, ২০২১, ১২:০৬ এএম

বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের (বাউবি)’র সাবেক ভিসি অধ্যাপক ড. এম এ মাননানের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি)কে চিঠি দিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। বুধবার পাঠানো এ চিঠির বিষয়টি গতকাল বৃহস্পতিবার সাংবাদিকদের নিশ্চিত করেন সংস্থার উপ-পরিচালক (জনসংযোগ) মো. আরিফ সাদেক।

দুদক সূত্র জানায়, ডিগ্রিধারী শিক্ষার্থীদের সনদপ্রতি ৬ টাকা করে স্বাক্ষর ভাতা দিতে হয়। দায়িত্ব প্রহণের পর সনদ স্বাক্ষরের জন্য এমন ভাতা চালু করেছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়টির সাবেক এ ভিসি। এটি চালু করে দুই মেয়াদে শুধু সনদ স্বাক্ষর বাবদই ১৫ থেকে ২০ লাখ টাকা ভাতা নিয়েছেন তিনি। এমন অভিযোগের প্রেক্ষিতে আইনগত ব্যবস্থা নিতে দুদক থেকে চিঠি দেয়া হয়। সংস্থার এনফোর্সমেন্ট ইউনিট থেকে বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুুরি কমিশন (ইউজিসি) চেয়ারম্যান বরাবর ওই চিঠি দেয়া হয়েছে। দুদকের হটলাইন-১০৬-এ আসা অভিযোগ ও লিখিত অভিযোগের প্রেক্ষিতে দুদক থেকে অভিযোগটি খতিয়ে আইনগত ব্যবস্থা নেয়ার বিষয়টি বলা হয়েছে।

অভিযোগে উল্লেখ করা হয়, ২০১৩ সালের মার্চে বাউবির ভিসি হিসেবে নিয়োগ পান ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যবস্থাপনা বিভাগের সাবেক অধ্যাপক এম এ মাননান। দায়িত্ব গ্রহণের পর সনদ স্বাক্ষরের জন্য একটি ভাতা চালু করেন তিনি। মাননানের বিরুদ্ধে অভিযোগ শিক্ষার্থীদের সনদপ্রতি ৬ টাকা করে স্বাক্ষর ভাতা নিয়েছেন তিনি। দুই মেয়াদে শুধু সনদ স্বাক্ষর বাবদই ১৫ থেকে ২০ লাখ টাকা ভাতা নিয়েছেন এ ভিসি। এজন্য একটি নীতিমালাও প্রণয়ন করা হয়। নীতমালা অনুযায়ী, সুবিধাপ্রাপ্যরা ৩০ শতাংশ সনদ নিয়মিত কাজের অংশ হিসেবে স্বাক্ষর করবেন। আর ৭০ শতাংশ সনদ স্বাক্ষর করার বিপরীতে ভাতা গ্রহণ করবেন। সনদে স্বাক্ষর করা বাবদ ভাতা উত্তোলনের বিষয়টিকে খুবই স্বাভাবিক ও যৌক্তিক বলে দাবি করেন অধ্যাপক এম এ মাননান। এ বিষয়ে অভিযোগ ওঠার পর সাংবাদিকদের তিনি বলেন, ২০১৩ সালে দায়িত্ব গ্রহণের পর দেখলাম ৫ লাখের বেশি সনদ স্বাক্ষরের জন্য পড়ে রয়েছে। এছাড়া প্রতি শিক্ষাবর্ষে ডিগ্রি পর্যায়ে প্রায় ৪ লাখ সনদে সই করতে হয়। কোনো ভিসির পক্ষে অফিশিয়াল কাজ করে এত সনদে সই করা সম্ভব নয়। সনদ নিয়ে যারা কাজ করছেন তাদের ওপরও বেশি চাপ যাচ্ছে। এ কারণে ভাতার ব্যবস্থা।

যদিও অন্য কোনো পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসির এমন কোনো ভাতা গ্রহণের তথ্য পাওয়া যায়নি। এমনকি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়েও এ ধরনের কোনো রেওয়াজ চালু নেই-মর্মে উল্লেখ করা হয়েছে অভিযোগে।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন