শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৬ বৈশাখ ১৪৩১, ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

জাতীয় সংবাদ

আন্তর্জাতিক আইন ভঙ্গ করবে নতুন আশ্রয় পরিকল্পনা : ব্রিটেনকে জাতিসংঘ

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ২৪ সেপ্টেম্বর, ২০২১, ১২:০৪ এএম

জাতিসংঘের শরণার্থী সংস্থা ইউএনএইচসিআর জানিয়েছে, ব্রিটেনের স্বরাষ্ট্রসচিব প্রীতি প্যাটেলের নতুন আশ্রয় পরিকল্পনা যুক্তরাজ্যে আশ্রয় প্রার্থীদেরকে ‘অযোগ্য এবং অবাঞ্ছিত’ বলে চিহ্নিত করে এবং একটি দ্বি-স্তরীয় ব্যবস্থা তৈরি করে যা আন্তর্জাতিক আইন লঙ্ঘন করবে।

ইউএনএইচসিআর বলেছে, ইউকে ন্যাশনালিটি অ্যান্ড বর্ডারস বিল, যা সরকার যুক্তরাজ্যে ‘অবৈধ’ প্রবেশের চেষ্টা থেকে শরনার্থীদের বিরত রাখার জন্য প্রবর্তন করেছে, সেখানে স্বতস্ফ‚র্তভাবে আগত বেশিরভাগ শরণার্থীদের জন্য ‘নিম্ন শ্রেণীর অবস্থা’ তৈরি করবে। বিলটি গত জুলাই মাসে উত্থাপন করা হয়েছিল এবং বর্তমানে পার্লামেন্টে অনুমোদনের অপেক্ষায় আছে। এটি পাশ হলে আশ্রয়প্রার্থীদের জন্য অনুমতি ছাড়া যুক্তরাজ্যে পৌঁছানো একটি ফৌজদারি অপরাধ হবে। দোষী সাব্যস্ত হলে আশ্রয়প্রার্থীদের চার বছরের জেল হতে পারে।

এটি অননুমোদিত রুটগুলোর মাধ্যমে যুক্তরাজ্যে যাওয়া আশ্রয়প্রার্থীদের ‘দ্রæত অপসারণ’ করার চেষ্টা করে, এবং যদি তারা তাৎক্ষণিকভাবে তা না করতে পারে তবে সীমিত অধিকার সহ তাদের কেবল সাময়িক সুরক্ষা প্রদান করে। ইউএনএইচসিআর-এর যুক্তরাজ্য প্রতিনিধি রোসেলা পাগলিউচি-লর বলেছেন, সঠিক নথি ছাড়া যুক্তরাষ্ট্রে ভ্রমণকারীদের বাধা দেয়ার লক্ষ্যে বিলটি আনা হয়েছে বলে কোনো প্রমাণ নেই।

তিনি বলেন, ‘এই বিলটি নিপীড়নের ঝুঁকিতে থাকা ব্যক্তিদের সুরক্ষার উন্নতির জন্য সরকারের ঘোষিত লক্ষ্যকে ক্ষতিগ্রস্ত করবে, প্রচার করবে না। এটি শরণার্থীদের প্রতিহত করার লক্ষ্য বলে মনে হচ্ছে।’ তিনি বলেন, ‘যারা অনিয়মিতভাবে আসছেন তাদের অযোগ্য এবং অবাঞ্ছিত হিসাবে কলঙ্কিত করা হবে, দশ বছর ধরে অনিশ্চিত অবস্থায় রাখা হবে, নিঃস্ব ব্যক্তি ছাড়া সরকারি তহবিলে প্রবেশাধিকার অস্বীকার করা হবে। পারিবারিক পুনর্মিলন সীমাবদ্ধ থাকবে।’

বিলটি এই ধারণার উপর ভিত্তি করে তৈরি করা হয়েছে যে, আশ্রয়প্রার্থীদের তাদের ‘প্রথম নিরাপদ দেশে’ আশ্রয়স্থল খুঁজতে হবে। তবে ইউএনএইচসিআর বলেছে যে, আন্তর্জাতিক আইনের অধীনে এমন কোন প্রয়োজন নেই, এবং নীতিটি ১৯৫১ সালের রিফিউজি কনভেনশনে ছিল না। জাতিসংঘের সংস্থা বলেছে যে, শরণার্থীর জন্য প্রথম নিরাপদ দেশে আশ্রয় নেয়ার প্রয়োজনীতা হবে ‘অর্থহীন’। রোসেলা পাগলিউচি-লর যোগ করেছেন, ‘আচরণের এই ভিন্নতার আন্তর্জাতিক আইনে কোন ভিত্তি নেই।’ তিনি বলেন, ‘শরণার্থীর জন্য কনভেনশনের সংজ্ঞা ভ্রমণের রুট, আশ্রয়ের দেশের পছন্দ, বা দাবির সময় অনুযায়ী পরিবর্তিত হয় না। আমরা কি বলছি যে, ইরান বা পাকিস্তানের তুলনায় একজন আফগান শরণার্থী যুক্তরাজ্যে কম যোগ্য? তিনি আরও বলেন, ‘একটি বৈশ্বিক সমস্যা দ্রæত সমাধান করা যায় না। মানবিক সমাধান শরণার্থী স্থানান্তরে প্রতিবেশীদের সাথে কাজ করার মধ্যে রয়েছে - এবং যারা শরণার্থী নয় এবং যাদের থাকার কোন জায়গা নেই তাদের প্রত্যাবর্তনের জন্য দেশগুলোর সাথে যুক্তরাজ্যের কাজ করা উচিত।’ সূত্র : দ্য ইন্ডিপেন্ডেন্ট।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন