২০২০-২০২১ অর্থবছরের তুলনায় ১৩ কোটি ৩০ লাখ টাকা বেশি ধরে ২০২১-২০২২ অর্থবছরে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের বাজেট ৩ শত ৬০ কোটি ৭৯ লাখ টাকা অনুমোদন করা হয়েছে।
শনিবার ড. এ আর মল্লিক ভবনে (প্রশাসনিক) ভিসির সম্মেলনকক্ষে ৩৩ তম সিনেট অধিবেশনে রেজিস্ট্রার এস এম মনিরুল হাসান (ভারপ্রাপ্ত) এই বাজেট পেশ করেন।
মোট ৩ শত ৬০ কোটি ৭৯ লক্ষ টাকার মধ্যে শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের বেতন-ভাতা বাবদ সর্বোচ্চ ২ শত ৩০ কোটি ৮৫ লক্ষ টাকা বরাদ্দ রাখা হয়েছে, যা মোট বাজেটের ৬৩ দশমিক ৯৭ শতাংশ। তাছাড়াও পেনশনের জন্য বরাদ্দ রাখা হয়েছে ৫৫ কোটি ৩ লক্ষ টাকা, যা মোট বাজেটের ১৫ দশমিক ২৫ শতাংশ এবং আগের বছরের তুলনায় দশমিক ২৪ শতাংশ বেশি।
এছাড়া বিদ্যুৎ খাতে বরাদ্দ রাখা হয়েছে ৬ কোটি টাকা, যা মোট বাজেটের ১ দশমিক ৬ শতাংশ। বাস ও রেল ভাড়া বাবদ বরাদ্দ রাখা হয়েছে ১ কোটি ৯০ লাখ টাকা, যা মোট বাজেটের শূণ্য দশমিক ৫৩ শতাংশ। গাড়ির জ্বালানী ব্যয় খাতে বরাদ্দ রাখা হয়েছে ৩ কোটি টাকা, যা মোট বাজেটের দশমিক ৮৩ শতাংশ।
মোট বাজেটের ৩৩১ কোটি ৮১ লাখ বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি) থেকে এবং ২০ কোটি টাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের নিজস্ব আয় থেকে বরাদ্দ ধরা হয়েছে। তারপরও বাজেটে ৮ কোটি ৯৮ লাখ টাকা ঘাটতি রয়েছে।
সভাপতির বক্তব্যে ভিসি ড. শিরীণ আখতার বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক ও ভৌত অবকাঠামো উন্নয়নের দিকে গুরুত্বারোপ করা হচ্ছে। শিক্ষার মানোন্নয়নের জন্য এবার গবেষণা খাতে গত বছরের চেয়েও বেশি বরাদ্দ রাখা হয়েছে।
তিনি আরো বলেন,ইতোমধ্যে ২০২১ সালে প্রকাশিত SCIMAGO এর কম্পিউটার সাইন্স ক্যাটাগরি রেংকিং-এ চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় বাংলাদেশের মধ্যে প্রথম স্হান অর্জন করেছে। আমাদের গবেষকরা যেভাবে তাদের গবেষণা কাজ চালিয়ে যাচ্ছে আন্তর্জাতিক র্যাংকিংয়ে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের অবস্থানকে একটি সম্মানজনক জায়গা দিতে আর বেশি সময় নেই।
সিনেট সভায় উপস্থিত ছিলেন সংসদ সদস্য ওয়াসিকা আয়েশা খান এবং সংসদ সদস্য নজরুল ইসলাম চৌধুরী। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনেট ও সিন্ডিকেট সদস্যবৃন্দ এবং বিভিন্ন অনুষদের ডিনবৃন্দ।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন