শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

সারা বাংলার খবর

মতলবে মাদ্রাসাছাত্রী ধর্ষণের অভিযোগে যুবক আটক

মতলব (চাঁদপুর) উপজেলা সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ২৫ সেপ্টেম্বর, ২০২১, ৭:৩৫ পিএম

চাঁদপুরের মতলব দক্ষিণ উপজেলার নারায়ণপুর এলাকার এক মাদ্রসা ছাত্রীকে (১৪) অপহরণ করে ধর্ষণ করার অভিযোগে মো. মিজান (রাসেল) নামের এক যুবককে আটক করেছে। গত ৯ সেপ্টেম্বর মাদ্রাসার সামনে থেকে ছাত্রীকে অপহরণ করা হয়। এ ঘটনায় ছাত্রীর মা থানায় মামলা দায়ের করলে পুলিশ আজ ২৫ সেপ্টেম্বর শনিবার দুপুরে নারায়ণপুর এলাকা থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করে।


মো.মিজানের বাড়ি জামালপুরের বকশিগঞ্জ উপজেলার নিলক্ষ্মীয়া গ্রামে। ওই গ্রামের ফরহাদ হোসেনের ছেলে তিনি। মিজান চাঁদপুরের হাজীগঞ্জ উপজেলার পালাখাল এলাকায় একটি গ্যারেজে শ্রমিকের কাজ করেন। অপহরণ ও ধর্ষণের শিকার ছাত্রীটি মতলব দক্ষিণ উপজেলার বাসিন্দা। সে স্থানীয় একটি মাদ্রাসায় দশম শ্রেণিতে পড়ে।

ওই ছাত্রীর ভাবীর মুঠোফোনের মাধ্যমে ছাত্রীটির সঙ্গে মিজানের পরিচয় হয়। একপর্যায়ে তাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক ও ঘনিষ্ঠতা তৈরি হয়। গত ৯ সেপ্টেম্বর ছাত্রীটি তার মাদ্রাসায় যায়। মিজান খবর দিয়ে ছাত্রীটিকে মাদ্রাসার ফটকের সামনে নিয়ে আসেন। পরে নানা ভাবে ফুঁসলিয়ে সেখান থেকে অপহরণ করে ছাত্রীটিকে হাজীগঞ্জের পালাখাল এলাকায় তাঁর (মিজান) বাসায় নিয়ে যান। এরপর বিয়ের আশ্বাস দিয়ে ছাত্রীটিকে সেখানে একাধিকবার ধর্ষণ করেন। গত ১২ সেপ্টেম্বর পরিবারের লোকজন ছাত্রীটির অবস্থানের কথা জানতে পারেন। ওই দিন ছাত্রীটির মা তার মেয়েকে আনার জন্য পালাখাল এলাকায় ওই তরুণের বাসায় যান। সেখানে গিয়ে মেয়ের মাধ্যমে জানতে পারেন, বিয়ের আশ্বাস দিয়ে তাঁকে একাধিকবার ধর্ষণ করেন মিজান। এ ছাড়া মিজান আগে একটি বিয়ে করেছেন বলেও জানতে পারেন। অনেক কৌশল করে সেখান থেকে গত শুক্রবার দুপুরে মেয়েটিকে নিজের বাড়িতে নিয়ে আসেন তিনি।

পুলিশ জানায় আজ শনিবার বেলা ১১টায় ছাত্রীটির মা বাদী হয়ে ওই তরুণকে আসামি করে তার থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে একটি মামলা করেন। পুলিশ আজ দুপুর একটায় মতলব দক্ষিণ উপজেলার নারায়ণপুর এলাকা থেকে ওই তরুণকে গ্রেপ্তার করে।

মতলব দক্ষিণ থানার ওসি মোহাম্মদ মহিউদ্দিন মিয়া জানান, ছাত্রীটিকে আজ দুপুরে চাঁদপুর জেনারেল হাসপাতালের ফরেনসিক বিভাগে পাঠানো হয়েছে। সেখানে তার স্বাস্থ্য পরীক্ষা হবে। আসামিকে বিজ্ঞ আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন