ফরিদপুরে ভাঙ্গনের ঝুঁকিতে পড়ছে একমাত্র শহর রক্ষার বাঁধ ও সরকারী নৌবন্দরটি। অপরদিকে, সদর থানার নর্থচ্যানেল ইউনিয়নের গোলডাঙ্গী ব্রীজটি ভাঙ্গনের মুখে পড়ায় ব্রীজটি বাঁচাতে সেখানেও ফেলানো হয়েছে জিওব্যাগ।
ভাঙন রোধে পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) ফরিদপুর কাজ শুরু করলেও রবিবার (২৫ সেপ্টেম্বর) বিকেল পর্যন্ত শহর রক্ষা বাঁধের ব্লকগুলো ধসে পড়া অব্যাহত রয়েছে।
সরেজমিনে দেখা যায়, ফরিদপুর সদরের ডিক্রির চর ইউনিয়নের আয়জদ্দিন মাতুব্বরের ডাঙ্গী সংলগ্ন সিঅ্যান্ডবি ঘাট নৌবন্দর এলাকায় পদ্মা নদীর স্রোত এসে শহরের মূল ভূ-খণ্ডে ১২ বছর আগে নির্মিত শহর রক্ষা বাঁধে আছড়ে পড়ছে। এতে পাড় ভেঙে যাচ্ছে।
ওই এলাকার বাসিন্দা আবদুর রহমান বলেন, গত ২০ সেপ্টেম্বর রাত ১০টার দিকে প্রথম ভাঙন দেখা দেয়।
ভাঙন শুরু হয় ওবায়দুলের মুদি দোকানের সামনে থেকে।
ডিক্রির চর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মেহেদী হাসান মিন্টু ফকির ইনকিলাবে বলেন, ভাঙন শুরু হলে বিষয়টি আমি জেলা প্রশাসক (ডিসি) ও পাউবোর্ড ফরিদপুরকে জানাই।
পরে পাউবোর ফরিদপুর কার্যালয়ের নির্বাহী কর্মকর্তা রাতেই সরেজমিনে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। পরে জিও ব্যাগ ফেলা শুরু হয়েছে।
তিনি বলেন, ভাঙন রোধ করা না গেলে হুমকির মুখে পড়বে ফরিদপুর শহর।
অপরদিকে, চরবাসী হারাবে শহরের সাথে যোগাযোগ একমাত্র মাধ্যম গোলডাঙ্গী ব্রীজটিও।
পাউবোর্ড ফরিদপুর কার্যালয়ের নির্বাহী প্রকৌশলী পার্থ প্রতীম সাহা ইনকিলাবকে বলেন, গত ২০ সেপ্টেম্বর যে জায়গায় ভাঙন শুরু হয়েছিল, সেখানে দুই হাজার জিও ব্যাগ ফেলে ভাঙন ঠেকানো গেছে। কিন্তু শুক্রবার ওই ভাঙনে স্থানের পাশে নতুন করে ধস শুরু হয়েছে বলে জেনেছি। ভাঙন রোধে কার্যকরী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
ভাঙ্গন ঠেকাতে আমরা আন্তরিকতার সাথে কাজ করছি। অপরদিকে, ফরিদপুর সদর থানার গোলডাঙ্গী এলাকার একমাত্র বিশাল ব্রীজ টি ভাঙ্গনের হুমকীতে পড়লে সেখানেও জিওব্যাগ ফেলে ব্রীজটি রক্ষার চেষ্টা চলছে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন