জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ৭৫তম জš§দিন উপলক্ষে রাজধানীর বনানীতে শেরাটন হোটেলে ‘বাংলাদেশ : উন্নয়নের এক যুগ’ শীর্ষক চিত্র প্রদর্শনী শুরু হয়েছে। এই প্রদর্শনীর উদ্বোধন করে স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেছেন, গণতন্ত্র ও গণমানুষের সমর্থনের প্রতি অগাধ বিশ্বাসই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার রাজনীতির মূল চালিকাশক্তি। তার গণতান্ত্রিক দুর্গম সংগ্রামী জীবনের ইতিহাস নতুন প্রজšে§র মাঝে ছড়িয়ে দিতে হবে।
গতকাল রবিবার ‘কানাডিয়ান ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশ’ আয়োজিত ওই প্রদর্শনীর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন কানাডিয়ান ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠাতা ও চেয়ারম্যান ড. চৌধুরী নাফিজ সরাফাত। অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন, যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী জাহিদ আহসান রাসেল, বাংলাদেশে নিযুক্ত কানাডিয়ান হাইকমিশনার বেনেইট প্রিফন্টেইন এবং কানাডিয়ান ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশের বোর্ড অব ট্রাস্টির প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মোহাম্মদ এ আরাফাত।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে স্পিকার বলেন, ১৯৭৫ সালে জাতির পিতাকে নির্মমভাবে হত্যার পর এদেশের ইতিহাসকে ভিন্নপথে পরিচালিত ও স্বাধীনতার চেতনাকে ভূ-লুণ্ঠিত করার অপপ্রয়াস চালানো হয়। ১৯৮১ সালের ১৭ মে স্বজনহারানোর বেদনা বুকে নিয়ে শেখ হাসিনার দেশে আসা বাংলাদেশের ইতিহাসে নতুন বাঁক। বাংলার মানুষ তার পাশে এসে দাঁড়িয়েছিল, যা থেকে তার পথচলা। সেখান থেকে গণতন্ত্র, ভাত ও ভোটের অধিকার প্রতিষ্ঠার এবং স্বৈরশাসনের অবসানের আন্দোলন-সংগ্রাম সত্যিই বিস্ময়কর।
শিরীন শারমিন বলেন, ছেলেবেলায় টুঙ্গিপাড়ায় জš§ থেকে শুরু করে তার শিক্ষাজীবন, বৈবাহিক জীবন, পারিবারিক জীবন, রাজনীতিতে আসা, আওয়ামী লীগের সভাপতি, চারবারের নির্বাচিত প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন এবং অনেক গবেষণালব্ধ বিষয় প্রদর্শনীটিতে ফুটে উঠেছে, যা প্রশংসনীয়। তিনি বলেন, সমগ্র বিশ্বের কাছে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ উন্নয়নের বিস্ময়। নিজস্ব অর্থায়নে পদ্মা সেতু নির্মাণ করে বিশ্বকে তাক লাগিয়ে দিয়েছেন।
যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী জাহিদ আহসান রাসেল বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জš§দিন বাঙালি জাতির জন্য এক অবিস্মরণীয় দিন। এটি একটি ঐতিহাসিক মুহূর্ত ও বিশেষ মাহেন্দ্রক্ষণ। এটি আমাদের অত্যন্ত আনন্দের ও আবেগের। শেখ হাসিনার নেতৃত্বেই বাংলাদেশ উন্নত দেশের কাতারে পৌছাবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।
অধ্যাপক মোহাম্মদ এ আরাফাত বলেন, বাংলাদেশ ও বিশ্ব রাজনীতির লায়ন হচ্ছে বঙ্গবন্ধু। আর এই লায়ন কিং-এর বাস্তব রূপ হচ্ছেন বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা। তিনি যদি ফিরে যদি না আসতেন এবং লড়াই না করতেন, তাহলে আজকে এই বাংলাদেশ দেখতে পেতাম না। বাংলার রাজনীতিতে শেখ হাসিনা মার্কিন প্রেসিডেন্ট আব্রাহাম লিংকনের মতো ভূমিকা রেখেছেন বলে তিনি উল্লেখ করেন।
কানাডিয়ান হাইকমিশনার বেনেইট প্রিফন্টেইন বলেন, কানাডা ও বাংলাদেশের মধ্যে সম্পর্ক অনেক ভালো। বাংলাদেশকে কানাডা সবসময় বন্ধু ও অংশীদার হিসেবে মনে করে। দুই দেশ একসঙ্গে কাজ করে আরো এগিয়ে যাবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন