বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১, ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

সারা বাংলার খবর

ভারতীয় নাগরিকত্ব নিয়েই হলেন ইউপি চেয়ারম্যান, স্ত্রীও করছেন সরকারি চাকুরী

খুলনা ব্যুরো | প্রকাশের সময় : ২৭ সেপ্টেম্বর, ২০২১, ৭:২২ পিএম

বাংলাদেশ ও ভারতের দ্বৈত নাগরিক মনোরঞ্জন পাল। আওয়ামীলীগের মনোনয়নে গত ২০ সেপ্টেম্বর বাগেরহাটের মোল্লাহাট উপজেলার চুনখোলা ইউনিয়ন পরিষদে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন। শুধু তিনি নন, তার স্ত্রী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক স্নেহলতা পালসহ পরিবারের তিন সদস্যই ভারতীয় নাগরিক। এই ঘটনায় এলাকায় ব্যাপক প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়েছে। এ বিষয়ে ইতিমধ্যে বিভিন্ন দফতরে অভিযোগ দিয়েছেন সুশান্ত বিশ্বাস নামে স্থানীয় এক ব্যক্তি।

স্থানীয়ভাবে খোঁজ করে সুশান্ত পাশের অভিযোগের সত্যতা পাওয়া গেছে। অপরদিকে বিষয়টি নির্বাচন কমিশন, প্রশাসন ও শিক্ষা বিভাগ খতিয়ে দেখছে।

বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত মনোরঞ্জন পাল মোল্লাহাট উপজেলার চুনখোলা ইউনিয়নের ডাবরা গ্রামের অমৃত লালের ছেলে। তিনি একই সাথে ভারতের উত্তর ২৪ পরগনা জেলার নাগরিক। উত্তর উত্তর ২৪ পরগনা জেলার বনগা মহাকুমার বাগদা থানার কনিয়ারা গ্রাম পঞ্চায়েতের ভোটার তালিকায়ও তার নাম রয়েছে। তার স্ত্রী ৮২ নং দক্ষিন চুনখোলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক স্নেহলতা পাল এর নাম রয়েছে কনিয়ারা গ্রাম পঞ্চায়েতের ভোটার তালিকায়। মনোরঞ্জন পালের ছেলে সৌমিত্র পালও ভারতীয় নাগরিক। ভারতের পশ্চিম বঙ্গের প্রধান নির্বাচন কর্মকর্তার (http://ceowestbengal.nic.in) এর ওয়েবসাইটে তাদের নাম ও ঠিকানা রয়েছে।

এ বিষয়ে মনোরঞ্জন পাল বলেন, আমি এবং আমার পরিবারের সকল সদস্য শুধুমাত্র বাংলাদেশী নাগরিক। ভারতে আমার কোন নাগরিকত্ব নেই। কোন ব্যবসা বাণিজ্যও নেই। কোন একটি কুচক্রী মহল এমন অপপ্রচার চালাচ্ছেন। ভারতের পশ্চিম বঙ্গের প্রধান নির্বাচন কর্মকর্তার (http://ceowestbengal.nic.in) এর ওয়েবসাইটে আপনার এবং আপনার পরিবারের সকলের নাম রয়েছে কেন এমন প্রশ্নে মনোরঞ্জন পাল বলেন, ওয়েবসাইটের বিষয়ে আমি কিছু জানিনা। ওয়েবসাইট বুঝি না।

মোল্লাহাট উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা প্রবীর কুমার মল্লিক বলেন, নির্বাচন বিধিমালা অনুযায়ী কোন ব্যক্তির নাম বাংলাদেশের সংশ্লিষ্ট এলাকার ভোটার তালিকায় থাকলেই সে নির্বাচনে অংশগ্রহন করতে পারবেন। দ্বৈত নাগরিকত্বের বিষয়ে আমাদের কিছু জানা নেই। এই বিষয়ে প্রশ্ন উঠলে কোন আদালত অথবা সরকারের সাংবিধানিক কোন প্রতিষ্ঠান যে নির্দেশনা দিবে নির্বাচন কমিশন সেই নির্দেশনা বাস্তবায়ন করবে।

বাগেরহাট জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মু. শাহ আলম বলেন, শিক্ষক স্নেহলতা পাল একজন সরকারি কর্মচারী। যদি দুই দেশের নাগরিকত্ব থেকে থাকে তাহলে তদন্ত সাপেক্ষে তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (5)
আবদুল্লাহ নুর আলিফ ২৭ সেপ্টেম্বর, ২০২১, ৯:০৭ পিএম says : 0
কিসের তদন্ত,কিসের বিচার বুকে চেতনা থাকলেই সব সম্ভব। মন্তব্য নেতিবাচক হলে সবাই দোষ দেখে, আর তেলবাজি করলে দাদারাও খুশি। যেমন গরম ভাতে বিড়াল বেজার আর সত্য কথায় মহাশয় বেজার। যদি কখনও সময় আসে সকল সেক্টরএ তল্লাশি করা হবে।
Total Reply(0)
jack ali ২৮ সেপ্টেম্বর, ২০২১, ১:১২ পিএম says : 0
বাংলাদেশের আইন শৃঙ্খলা বাহিনী 17 কোটি মানুষের মধ্য থেকে সেকেন্ডের মধ্য জঙ্গী ধরে ফেলে আর দেশে কত হাজার প্রতিদিন অন্যায় কাজ হচ্ছে সেগুলো তারা দেখেনা কারণ তাদের চোখ কানা হয়ে গেছে
Total Reply(0)
habib ৩০ সেপ্টেম্বর, ২০২১, ৯:৩১ এএম says : 0
Awamleuger hate Bangladesh ki nirapod ?
Total Reply(0)
Md Shamsul Islam ৩ অক্টোবর, ২০২১, ৩:২৫ পিএম says : 0
জনাব শিক্ষা কর্মকর্তা মু. শাহ আলম মামুদের বিরুদ্ধে কোন কথা বলে চাকুরীটা হারায়েন না। যদিও আপনি আওয়ামিলীগের শীর্ষ পর্যায়ের নেতা হন না কেন?
Total Reply(0)
Kazi Md. Muzharul Husain. ৭ অক্টোবর, ২০২১, ১০:৩১ পিএম says : 0
I do not see any problem. Because so far I know dual citizenship is constitutionally allowed. There are many MPs and Ministers who have dual citizenship and no problem. And millions of People with dual citizenship are doing whatever they want. Can any body clarify?
Total Reply(0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন