বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১, ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

আন্তর্জাতিক সংবাদ

মার্কিন বাহিনী নয়, তালেবান-আইএস টার্গেট আইসিসির প্রসিকিউটদের

আফগানিস্তানে যুদ্ধাপরাধের পুনরায় তদন্ত

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ২৮ সেপ্টেম্বর, ২০২১, ১২:০০ এএম

আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতের নতুন প্রধান প্রসিকিউটর গতকাল বলেছেন, তিনি আফগানিস্তানে তার তদন্তকে তালিবান ও ইসলামিক স্টেট-খোরাসানের (আইএস-কে) দিকে লক্ষ্য করে এবং মার্কিন বাহিনীর কথিত যুদ্ধাপরাধকে ‘উপেক্ষা’ করতে চান। একটি বিবৃতিতে বলা হয়েছে, গত মাসে তালেবান আন্দোলন আফগানিস্তানের নিয়ন্ত্রণ দখল করার পর থেকে উন্নয়নের আলোকে আদালতের বিচারকদের কাছে অনুরোধ করা হচ্ছে।
আইসিসি গত বছর সম্পূর্ণ তদন্ত শুরুর আগে আফগানিস্তানে কথিত যুদ্ধাপরাধের খোঁজে ১৫ বছর কাটিয়েছে। সেই তদন্ত আফগান সরকার স্থগিত রেখেছিল। সরকার বলেছিল যে, তারা নিজেরাই অপরাধগুলো তদন্ত করছে। হেগভিত্তিক আইসিসি হল শেষ অবলম্বনের একটি আদালত, যখন কোনো সদস্য দেশ যুদ্ধাপরাধ, মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধ বা গণহত্যার বিচার করতে অক্ষম বা অনিচ্ছুক তখনই হস্তক্ষেপ করে।
নতুন প্রসিকিউটর করিম খান এক বিবৃতিতে বলেন, আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত আফগান সরকারের পতন এবং তালেবানদের প্রতিস্থাপন ‘পরিস্থিতির উল্লেখযোগ্য পরিবর্তন’ উপস্থাপন করে। আফগানিস্তান তদন্তে যুক্তরাষ্ট্রের কথিত অপরাধের অন্তর্ভুক্তি ওয়াশিংটনকে ক্ষুব্ধ করেছিল। প্রাক্তন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রশাসন ইস্যুতে খানের পূর্বসূরী ফাতু বেনসৌদার ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছিল। খান বলেন যে, তিনি এখন আইসিসির ‘সীমিত সম্পদ’ এর কারণে আফগানিস্তানে তার মনোযোগ সংকীর্ণ করবেন, কারণ এটি বিশ্বজুড়ে বিভিন্ন পরিস্থিতি তদন্ত করে।
তিনি বলেন, ‘তাই আমি আফগানিস্তানে আমার অফিসের তদন্তকে তালেবান এবং ইসলামিক স্টেট-খোরাসান প্রদেশ (‘আইএস-কে)-এর সঙ্ঘটিত অপরাধ তদন্ত এবং অন্যান্য দিক উপেক্ষা করার সিদ্ধান্ত নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। এটি ‘তালিবান এবং ইসলামিক স্টেট-এর কথিত অপরাধের গুরুতরতা, স্কেল এবং ক্রমাগত প্রকৃতির’ এবং ‘আদালতের কক্ষে যুক্তিসঙ্গত সন্দেহের বাইরে প্রমাণিত হতে সক্ষম বিশ্বাসযোগ্য মামলাগুলো তৈরি করার প্রয়োজন’-এর কারণে হয়েছিল।
আইসিসির প্রসিকিউটর আইএস-কে’র দাবি করা কাবুল বিমানবন্দরে ২৬ আগস্টের মারাত্মক হামলার উল্লেখ করেন, যার মধ্যে ১৩ মার্কিন সেনা সদস্য এবং ১শ’রও বেশি আফগান নাগরিক নিহত হয়েছিল। তিনি বলেন, ‘তদন্তের সেসব দিকের ব্যাপারে যাকে অগ্রাধিকার দেওয়া হয়নি, আমার অফিস তার প্রমাণ সংরক্ষণের দায়িত্বগুলো যতটুকু উত্থাপিত হবে ততদিন বেঁচে থাকবে’।
আইসিসি ২০০২ সালে বিশ্বের সবচেয়ে খারাপ অপরাধের তদন্তের জন্য প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল যেখানে সদস্য দেশগুলো তাদের তদন্ত করতে অক্ষম ছিল বা অনিচ্ছুক ছিল। প্রাক্তন প্রসিকিউটর বেনসৌদা আইসিসির বিচারকদেরকে ২০১৭ সালে আফগানিস্তানে একটি আনুষ্ঠানিক তদন্ত অনুমোদন করতে বলেছিলেন। আপিল বিচারক ২০২০ সালে সেটি করার অনুমোদন দিয়েছিলেন। সূত্র : ডন অনলাইন।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (4)
Nadim Abbas Chowdhury ২৮ সেপ্টেম্বর, ২০২১, ৬:৩৪ এএম says : 0
আমেরিকার যুদ্ধাপরাধের তদন্ত করতে হবে
Total Reply(0)
সাইফ আহমেদ ২৮ সেপ্টেম্বর, ২০২১, ৬:৩৫ এএম says : 0
মার্কিন বাহিনীর অপরাধ তদন্ত করার মতো শক্তি কি আইসিসি রাখে!
Total Reply(0)
মিরাজ আলী ২৮ সেপ্টেম্বর, ২০২১, ৬:৩৫ এএম says : 0
আফগান যুদ্ধের দায়ে আমেরিকাকে কাঠগড়ায় দাঁড় করিয়ে শাস্তি দিতে হবে
Total Reply(0)
সৈকত ফকির ২৮ সেপ্টেম্বর, ২০২১, ৬:৩৬ এএম says : 0
ন্যাটো বাহিনীর ২১ বছরের যুদ্ধাপরাধ ঘটনা তদন্ত করা হোক
Total Reply(0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন