শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ১৮ রমজান ১৪৪৫ হিজরী

জাতীয় সংবাদ

বিএনপির জনসমর্থনে সরকারের হৃদকম্পন শুরু হয়েছে: মির্জা ফখরুল

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ২৯ সেপ্টেম্বর, ২০২১, ৫:৪২ পিএম

বিএনপির জনসমর্থনের জোয়ারে সরকারে হৃদকম্পন শুরু হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেন, এখনো ঘরে ঘরে গিয়ে পুলিশি আক্রমণ চলছে, হয়রানি হচ্ছে, তল্লাশি চলছে। কেনো কারণ কী? কারণ বিএনপি জেগে উঠছে। ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের তত্ত্বাবধায়নে নতুন করে বিএনপিকে সাজানো হচ্ছে, কমিটি গঠন করা হচ্ছে। এতে করে নতুন জোয়ার সৃষ্টি হয়েছে,নতুন প্রাণের সৃষ্টি হয়েছে। আর সেই জন্যেই তাদের (সরকার) হৃদকম্পন। তারা ভয় পেয়েছে, কাঁপছে। এজন্য তারা বিএনপির ওপরে চড়াও হয়ে আক্রমণ করছে।

বুধবার জাতীয় প্রেসক্লাবে মহানগর দক্ষিণ বিএনপির উদ্যোগে করোনা ও ডেঙ্গু হেল্প সেন্টারের কার্যক্রম উদ্বোধন উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।

সরকারকে সতর্ক করে দিয়ে মির্জা ফখরুল বলেন, পৃথিবীতে কোনো স্বৈরাচার, কোনো একনায়ক, কোনো ফ্যাসীবাদী শাসক বা কোনো অত্যাচারি শাসক কোনোদিনই টিকে থাকতে পারে নাই। জনতার উত্তাল রোষের মধ্য দিয়ে তাদেরকে পরাজয় বরণ করতে হয়েছে। তখন আর তাদেরকে খুঁজে পাওয়া যায় না।

সরকারের উদ্দেশ্যে বিএনপি মহাসচিব বলেন, এখনো সময় আছে, দেয়ালের লিখনগুলো পড়ুন, মানুষের চোখের ভাষা দেখুন, মানুষের মনের কথা বুঝার চেষ্টা করেন। এখনো সময় আছে, ব্যর্থতার জন্য পদত্যাগ করেন। আপনারা যে অপরাধ করেছেন সংবিধানকে লঙ্ঘন করে জনগণের ভোটের অধিকারকে বন্ধ করে দিয়ে, আগের রাতে ভোট চুরি করে সেখানে থেকে যদি রক্ষা পেতে চান অবিলম্বে পদত্যাগ করুন। একটি নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচন দিন জনগণ যাতে তাদের পছন্দ মতো সরকার নির্বাচন করতে পারে। অন্যথায় পালাবার পথ খুঁজে পাবেন না।

নেতা-কর্মীদের তিনি বলেন, কথা একটাই- এখন সময় এসেছে উঠে দাঁড়াবার। এই সরকারকে পরিস্কার করে বলে দেয়ার যে, তোমাকে আমরা চাই না। এখন বিদায় নিতে হবে এবং নির্বাচন দিয়ে দিতে হবে। জনগণের নির্বাচন দিতে হবে। অন্যথায় জনগণই তোমাকে সরাতে বাধ্য করবে।

বেগম খালেদা জিয়াই বিএনপির নেতা:

মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, নেতার কথা বলে ওবায়দুল কাদের (আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক) সাহেব। আরে নেতা তো একজনই- দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া। তিনিই একমাত্র নেত্রী যিনি এই দেশে দীর্ঘ ৯ বছর স্বৈরাচারকে পরাজিত দেশে জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। এখনো গণতন্ত্রের জন্য সংগ্রাম করতে গিয়ে, লড়াই করতে গিয়ে গৃহে অন্তরীন হয়ে আছেন। মিথ্যা মামলা দিয়ে তাকে বেআইনিভাবে সাজা দেয়া হয়েছে। রাজধানী ঢাকায় প্রতিদিন ডেঙ্গুতে মানুষজনের আক্রান্ত হওয়া ও মৃত্যুবরণ করার ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করে এরজন্য সরকারের ব্যর্থতাকে দায়ী করেন তিনি।

আবার এক নেতার পূজারী শুরু হয়েছে মন্তব্য করে বিএনপি মহাসচিব বলেন, ১৯৭৫ সালে বাকশাল হয়েছিলো তার আগে যেমন এক ব্যক্তির পূজোঁ চলছিলো আজকে আবার সেই একইভাবে এক ব্যক্তির পূজোঁ শুরু হয়েছে। মঙ্গলবারের পত্র-পত্রিকাগুলো যদি দেখেন তাহলে দেখবেন যে, কীভাবে সমস্ত গণমাধ্যমকে নিয়ন্ত্রণ করা হয়েছে। আবার সেই পুরনো শ্লোগান নিয়ে এসেছে- এক নেতা এক দেশ, এখন হচ্ছে যে, হাসিনার বাংলাদেশ।

স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস বলেন, বিএনপির শাসনামলে একটা শ্লোগান উঠেছিলো এই মুর্হুর্তে দরকার, তত্ত্বাবধায়ক সরকার। দাবি তুলেছিলো জামায়াতে ইসলাম, সমর্থন দিয়েছিলো এই আওয়ামী। জামায়াত-আওয়ামী লীগ মিলে দাবি তুললো, দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া মেনে নিলেন। আজকে আমরা দাবি করছি, এই মুহুর্তে দরকার তত্ত্বাবধায়ক সরকার। তত্ত্বাবধায়ক সরকার ছাড়া বাংলাদেশে কোনো নির্বাচন হবে না। ওই নির্বাচন কমিশন বদলাবেন, সার্চ কমিটি, মার্চ কমিটি করবেন। সার্চ কমিটি-মার্চ কমিটি আমরা বিশ্বাস করি না। আমরা বিশ্বাস করি, এই দেশের গণমানুষের অধিকার নিশ্চিত করতে হলে এই সরকারকে রেখে কোনো নির্বাচন করা যাবে না। সুতরাং জনগণের দাবি মেনে নিয়ে দয়া করে পদত্যাগ করুন, তত্ত¡াবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচন দিন, নিজেদেরকে ভালো রাখুন। নইলে দেশে যে একটা পরিস্থিতি সৃষ্টি হবে সেই পরিস্থিতির জন্য আপনাদের ওপর দায়-দায়িত্ব্ বর্তাবে।

মহানগর দক্ষিণ করোনা হেল্প সেন্টার পরিচালনা কমিটির আহবায়ক মোশাররফ হোসেন খোকনের সভাপতিত্বে ও মহানগর দক্ষিণের সাধারণ সম্পাদক রফিকুল আলম মজনুর সঞ্চালনায় আলোচনা সভায় দক্ষিণের আহ‌বায়ক আবদুস সালাম, বিএনপির স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক ডা. রফিকুল ইসলাম, কৃষক দলের সভাপতি হাসান জাফির তুহিন ও মহানগর দক্ষিণের সহ-সভাপতি নবী উল্লাহ নবী বক্তব্য রাখেন।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন